নামটা মনে রাখবেন আমি খুব প্রাচীন মনস্ক। আধুনিকতার নামে নষ্টামো
আমি দু চোখে দেখতে পারিনা, তবে আমি নিজে যে মহাপুরুষ গোছের কিছু, তা না, তবে আমি অন্য দশ জনের চেয়ে আলাদা, সেটা আমি বলতে পারি।
মানুষ কে সহজে বিশ্বাস করে ধোঁকা খাই।
আমি বুদ্ধিমান-বোকা, তবে মাঝে মাঝে ঝামেলা লাগিয়ে, নিজে ঠিকই ঝামেলা এড়িয়ে চলি!
আমি বইয়ের পোকা, বই পড়তে খুউব ভালোবাসি।
আমি নিজেকে আর ১০টা মানুষের মতো ভাবি না।
নিজেকে আমার special মনে হয়। অবশ্য সেটা আর ১০টা মানুষের মতোই একটা ফালতু ভাবনা।
আসলে আমি একজন তুচ্ছ মানুষ।
আমি ভালোবাসার কাঙাল। একবুক ভালবাসা নিয়ে ঘুরে ঘুরে মরি।
কিন্তু আমার ধারণা, আমাকে কেউ ভালবাসে বা, আমার কথা কেউ চিন্তা ও করে না, আমি মরে গেলে বোধয় কেউ কাঁদবেও না!! হা হা!
না! কেউ না কেউ তো অবশ্যই কাঁদবে, কেউ না কেউ তো সত্যিই আমাকে মন থেকে ভালবাসে! কিন্তু আমি তা বুঝতেও পারি না!
নিজের সম্পর্কে বলতে গেলে ত কত কিছুই বলতে হয়...
সপ্তম শ্রেণি তে যখন পড়ি, ২০০৭ এ, তখন এ আমার মাঝে কবি প্রতিভা বিকশিত হয়!
সেদিন রাতে অন্ধকারে লুকিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেলেছিলাম, তবে পরদিন আম্মু কে সেটা দেখালে তিনি বিশ্বাস করেন নি, ভেবেছিলেন অন্য কারো কবিতা টুকলিফাই করেছি! তারপর বেশ কিছুদিন কাব্যচর্চা অব্যাহত ছিল। তখনকার কবিতা গুলো ছিল হাস্যকর! কিন্তু আমার আবার বই পড়ার বেশ শখ। বই পড়তে পড়তে আরো অনেক কিছু শিখে গেলাম, ভাষা হল আরো সুন্দর এবং মার্জিত! এখন অবশ্য কবিতা-টবিতা বিশেষ লিখি-টিখি না! কারণ আমার ক্রমশ ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে কবিতা ত অনেক অনেক মানুষ ই লেখে, প্রেমে পড়লে ত সবাই কবি হয়ে যায়! কিন্তু অতো কবিতা পড়বে কে! তাই কবিতা লেখা ছেড়ে দিয়েছি, তবে মাঝে মাঝে যখন মনের মাঝে অত্যধিক আবর্জনার আবির্ভাব ঘটে, তখন কবিতা লিখে ফেলতে বাধ্য হই!
আমাকে যতটা happy দেখায়, আমি কিন্ত ততটা না! পুরাতন প্যাচাল! কিন্তু আসলেই সেটা আমার জন্য সত্য! আমি নিজের মাঝে নিজেকে চেপে রাখি! মনের কথা গুলো কে প্রকাশ করি না! তারপর আমার বই পড়ে লেখক হবার একটা বাসনা জন্ম নিল, কিন্তু আমার ভাষা বিশেষ ভাল না! তাই ভাবলাম diary লিখব। কিন্তু সেটা দিনলিপি না হয়ে, শেষ পর্যন্ত ‘আমার মনের ময়লা ফেলার জায়গা’ হয়ে গেলো!
কিন্তু এমন অনেক কথা আছে, যা আমার diary কে ও আমি বলিনি! একদিন কি হল, আমি আমার diary তে বিরাট গোপন একটা কথা লিখেছি, যেতা বহুত আগেই আমার সেখানে লেখার কথা ছিল, কিন্তু আমি চেপে রেখেছিলাম। পরেরদিন দেখা গেল, আব্বু আমার diary লুকিয়ে লুকিয়ে পড়ে ফেলেছে! এটা কি ঠিক হল! তারপর থেকে আমি diary ও খুব কম লিখি! এখন facebook ই আমার digital দিনলিপি! আব্বু ওটা পড়েছিল, কারণ তার ছেলে কিছু ভেবে মনে মনে কষ্ট পাক, এটা সে চায় না!
আগেই বলেছি আমি বই পড়তে খুব ভালবাসি, কিন্তু একটা ঝামেলা হয়ে গেলো।
মুহম্মদ জাফর ইকবাল sir এর science fiction গুলো পড়ে আমার মাথা বিগড়ে গেলো, আমি প্রায় আধা নাস্তিক হয়ে গেলাম! আমার দৃঢ় বিশ্বাস আছে সৃষ্টিকর্তার উপর, তবুও...
এ জন্যই বলে, 'যে যত কম জানে, সেই তত সুখি’!
আমার ধারণা, আমি একজন মানসিক রোগী, অবশ্য শুনেছি যে পৃথিবীর সকল লোকের মাথায় ই কিছু না কিছু disturb থাকে!
আমি নিজেকে নিজে চিনতে চেয়েছিলাম, একটা সময় মনে হত, ধুর্ এখনো, নিজেকেই চিনতে পারলাম না! অবশ্য এখন তা মনে হয় না। আমার হঠাৎ হঠাৎ মনে হয় যেনো, চোখের সামনে যা দেখছি, ঠিক এই দৃশ্য আমি এর আগেও কোথাও যেন দেখেছি! আমার কাছে মনে হয় আমি যেন জাতিস্মর! পূর্ব জন্মের কোন এক কথা যেনো মনে পরে যাচ্ছে! কিন্তু ধর্মীয় restriction এর কারণে তাও বিশ্বাস করতে পারি না! কি এক অদ্ভুত মানসিক চাপ! তবে এই ঘটনা কোন মানসিক কারণেও তো হতে পারে! মানসিক বিজ্ঞান এ তো আর আমি বিশেষজ্ঞ না!
হয়তো আমার কথা গুলো আমার বয়সের সাপেক্ষে বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আমি মনে হয় আসলেই মনে মনে বুড়িয়ে গেছি!
আমি কিন্তু বিশেষ ভালো মানুষ না। আমি অতি দুষ্ট প্রকৃতির লোক। আমি বেশ সুযোগ পেলেই flirting করি (বাংলায় বলতে কুণ্ঠা বোধ করেছি, তাই ইংরেজি তে বললাম!)। আমার আত্মসম্মান বোধ কেমন তা আমি জানি না।
অনেক সময় অনেক আপনজনের মুখে একটু কটু কথা শুনেই ফ্যাচ করে কেঁদে ফেলেছি। এই কান্নাকাটির ব্যাপারে আমি বেশ ওস্তাদ! ছেলেদের নাকি কাঁদতে হয় না! অথচ আমি প্রচুর কেঁদেছি, ছিঁচকাঁদুনের মত! কাঁদতে বেশ ভালই লাগে আমার। কারন এতে চোখের ময়লা সাফ হয়ে যায়, উপরন্তু, মনের দুঃখও বেশ প্রশমিত হয়ে যায়! আমি এখনো কাঁদি, তবে আগের চে কম। আগে প্রচুর কাঁদতাম। থাক কান্না প্রসঙ্গ।
আমি TRUE LOVE THEORY তে বিশ্বাস করি না। যখনই ভালোবাসা আমার স্বার্থে আঘাত হানার উপক্রম করে, তখনই আমি নিজেকে টেনে অন্যদিকে divert করে ফেলি। এজন্য অনেক মেয়ে আমাকে PLAYBOY আখ্যা দেয়। যদিও এ পর্যন্ত একটি মাত্র love affair করেছি আমি।
আর আগে বড়ো বোকা ছিলাম, প্রতিদিনই একটু একটু করে বুঝতে শিখছি।
Life is beautiful but it's tough to lead a beautiful life.
আর ফেইসবুকে বন্ধু হবার আগে জেনে নিন আপনি যদি পাকিস্তান ক্রিকেট টিমের সমর্থক কিম্বা হিন্দি ছিঃনেমার ভক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে আমি আপনাকে ভালো চোখে দেখবো না
পুনশ্চঃ 'সন্ধি' আমার ডাকনাম আর 'পালোয়ান' আমার বংশের পদবি! এটা শুনে কপাল কুঁচকোনোর কিছু নেই, আমাকে দেখে পালোয়ান মনে না হলেও আমার প্রাচীন পুর্ব-পুরুষদের মাঝে কেউ হয়তো পালোয়ান ছিল!
'যাই হোক" ! ©সন্ধি মুহিদ ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।