আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চুয়েটের আন্দোলনের ফলাফল বিশ্লেষণ

অবশেষে কোন শাস্তি পেল যারা সেদিন অক্টোবরের ১০তারিখের আন্দোলনে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সাথে নিজেদের বুকের পাটা দেখাতে গিয়েছিল। তাদের পাটার সাথে সাথে বুকও ফেটে উন্মুক্ত হয়ে গেছে। শাস্তি দেওয়ার হিসেবে প্রায় দীর্ঘ ৪ বছর পর এই প্রথম কোন শাস্তি দিল চুয়েট প্রশাসন। স্বভাবতই এতদিন কোন শাস্তি না হওয়ায় সবার মনে ধারণা ছিল এ ঘটনারও কোন ফলাফল আসবে না। চুয়েটের প্রশাসনকে এজন্য ধন্যবাদ জানাই যে স্রোতের প্রতিকূলে নৌকা চালিয়ে ছাত্রলীগের ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দিয়েছেন।

যে ছাত্রলীগ এতদিন ক্যাম্পাসে দাপট দেখিয়ে চলেছে তারাই এখন ইঁদুরের গর্তে লুকিয়ে। যাদের জায়গা ছিল সবসময় গোলচত্বর দখল করে রাখা,কেন্টিনের সামনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রাখা সেই তারাই এখন একঘরে। মনে হয় গোল চত্বর যেন তাদের নিজস্ব সম্পত্তি! ধন্যবাদ ভিসি স্যারকে এরকম একটি সাহসী পদক্ষেপের কারণে। যে ভিসিকে তারা ১ মাস ক্লাসবর্জন!!!(যদিও তারা সারা বছরই ক্লাস বর্জন করে থাকে হরতালের দিন ছাড়া!!!!) কর্মসূচির মাধ্যমে আনলো সেই ভিসিই এখন তাদের বিপক্ষে। দোকানে ফাউ খাওয়া,ডাইনিং থেকে চাঁদাবাজি করা,ইভটিজিং করা এসব তো তাদের প্রাত্যাহিক কার্যবলী।

এসবের প্রতিবাদ করলে পুরস্কার জুটে মারধর। এবার ফলাফলের চার্জশীটে আসি নাইমুর-যে ছেলেটি সিনিয়রদের গায়ে হাত তোলার স্পর্ধা করেছে আর তাছাড়া তার আগেও এরকম রেকর্ড় আছে তাই তার শাস্তিটা ১ বছর বহিষ্কার হওয়াটা যুক্তিযুক্ত হয়েছে। আর আবারও যদি এ ঘটনা ঘটাতে চায় তবে আজীবন বহিষ্কার। জীবন-যে প্রখম আলোর চুয়েট প্রতিনিধি আমাদের সবার প্রিয় তুষারকে মেরেছে আর ঘটনার দিন রড হাতে মহড়া দিয়েছিল উদ্ধত ভাবভঙ্গি প্রকাশ করেছিল তারও ১ বছরের বহিষ্কারের শাস্তি সঠিক সিদ্ধান্ত। তাসনীম-একজন ছাত্র হয়েও সেদিন কোন ক্ষমতাবলে তাসনীম সিন্ডিকেটের মিটিংয়ে ছিল এটা বড় রহস্য।

রড় দিয়ে ঘটনার দিন এক ছাত্রকে মারা আর ছাত্রদেরকে হুমকি দেয়া এতো তার সঙ্গেই যায়। দোলন স্যারকে মোবাইল ফোনে হুমকি দেয়াটা তার মারাত্মক ধরণের ভুল ছিল। তার শাস্তিটা ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার আপাতত ঠিকাছে। এতো গেলো পলিটিক্যাল পুলাপাইনের কীর্তির কথা কিন্তু সবচেয়ে বড় আশ্চর্য বোধক চিহ্ন এখানে যে সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ঐদিনের আন্দোলনের পুরোটায় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেয়া সবার প্রিয় রাসেলকে ৬ মাসের জন্য বহিষ্কারের আদেশ দেয়া। যদিও বলা হয়েছে মুচলেকা দিলে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করে নেয়া হবে যদি না হয় তবে আন্দোলনের আগুন দ্বিগুণ জ্বলবে।

যার নেতৃত্ব না পেলে হয়তোবা এ আন্দোলন এতদূর পর্যন্ত আসত না সেই ছেলেটির উপর এ অন্যায় কেউ মেনে নিতে পারে না রাসেল তোমার ভয় নেই আমরা দ্বিতীয়বার মাঠে নামার জন্যে প্রস্তুত আছি! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।