আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভূতের অস্তিত্ব ( দ্বিতীয় খণ্ড )।

প্রদীপ হালদার,জাতিস্মর। বিজ্ঞান বলছে যে, কোন নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট যদি ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে চলে যায়,তাহলে এই ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটকে আর নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে নিয়ে যাওয়া যায় না। বরং নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট থেকে নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে যাওয়া সম্ভব। ভূতের শরীরের গঠন সম্বন্ধে কোন মানুষ কিছুই জানে না। ভূত কি করতে পারে তাও মানুষের কাছে পরিষ্কার নয়।

মৃত্যুর পর আমি ভূত ছিলাম। সেই অভিজ্ঞতাকে নিয়ে আমার গবেষণা। আমরা জেনেছি আমাদের শরীরের সিস্টেম এবং শরীরের বাইরে পরিবেশের মধ্যে প্রেসার বা চাপের তফাৎ আছে বলে শরীরের সিস্টেম থেকে ওয়ার্ক ট্রান্সফার হয় অর্থাৎ কাজ করতে পারি। এই অবস্থা হলো মেকানিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট। আমাদের শরীর হিট ইঞ্জিন।

এনার্জি সাপ্লাই না হলে আমরা কাজ করতে পারবো না। সেজন্য যে খাদ্য আমরা খাই,সেই খাদ্য থেকে শরীরে এনার্জি সাপ্লাই হয়। তাই শরীর কাজ করতে পারে। আমাদের শরীর থার্মাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট অবস্থায় থাকার জন্য আমাদের শরীরে হিট এনার্জির আদান প্রদান হয়। আমাদের শরীরের সিস্টেম এবং সিস্টেমের বাইরে পরিবেশের মধ্যে তাপমাত্রার তফাৎ থাকলে তবে হিট এনার্জির আদান প্রদান ঘটে।

হিট এনার্জি শরীরে ঢুকলে এনট্রপি বাড়ে। তাতে শরীর ডিসঅর্ডার হতে পারে,কিন্তু হিট এনার্জি শরীর থেকে বের হবার জন্য শরীর আবার অর্ডার ফর্মে থেকে যায়। আমরা যে অক্সিজেন গ্যাস গ্রহণ করি,তার কারণ হলো আমরা কেমিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট অবস্থায় থাকি, আর এটা হয় কনসেন্ট্রেশান গ্রেডিয়েন্ট এর জন্য। আমাদের শরীরের ভলিউম ধীরে ধীরে বাড়ে এবং টেম্পেরেচার কনষ্টান্ট থাকে,অথচ হিট এনার্জির আদান প্রদানে কনষ্টান্ট টেম্পেরেচারের কোন পরিবর্তন ঘটে না। এটা আইসোথার্মাল প্রসেস এবং ইররিভারসিবেল প্রসেস।

আমাদের শরীরের ভলিউম ফিক্সড্‌ থাকে। এটাকে কন্ট্রোল ভলিউম বলে। এবার এখান থেকে ভূতের সৃষ্টি করবো। কেমিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট থেকে কেমিক্যাল ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে গেলে আর অক্সিজেন গ্যাস গ্রহণ করতে পারবো না। আর কেমিক্যাল ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট কে কেমিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়।

সেজন্য মানুষের মৃত্যুর অর্থ হলো কেমিক্যাল ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে চলে যাওয়া। আর এই কেমিক্যাল ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটকে কেমিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেটে নিয়ে যাওয়া যায় না বলে ভূতের শরীর কেমিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট অবস্থায় থাকে না। তাই ভূতের শ্বাস প্রশ্বাস নেই, খাদ্য খায় না, কোন পানীয় দ্রব্য গ্রহণ করে না। বিজ্ঞান বলছে,মৃত্যুর সময় ফিজিক্যাল ডেথ আগে হয়। পরে মেন্টাল ডেথ।

আমি এটাকে সত্য বলে স্বীকার করছি। ফিজিক্যাল ডেথ-এর অর্থ হলো মানুষ কেমিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট থেকে কেমিক্যাল ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট অবস্থায় চলে গেলো। এবং তখন মেন্টাল ডেথ হয় নি। তাহলে ব্রেন তখন কাজ করছে। আর এর অর্থ হলো শরীর তখন মেকানিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট অবস্থায় আছে।

ধরে নিলাম হিট এনার্জির আদান প্রদান বন্ধ,অর্থাৎ থার্মাল নন ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট ,থার্মাল ইকুইলিব্রিয়াম ষ্টেট অবস্থায় চলে গেলো। তাহলে মেকানিক্যাল নন ইকুলিব্রিয়াম ষ্টেট থেকে মেকানিক্যাল নন ইকুইলিব্রিয়াম সিস্টেম বাতাসের মধ্যে তৈরী হয়। এটাই ভূত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।