৪৫ তম ওভার রুবেল করার পেছনে আমার মতে যে কারন গুলি ছিল সেগুলি হল
এটি কিন্তু রুবেল এর ওই স্পেল এর প্রথম ওভার ছিল না। ওর স্পেল এর ৩ কি ৪ নম্বর ওভার ছিল। আর আগের ওভারগুলি ও ভালই বোলিং করেছে। তাই সেই আগের করা ওভার গুলির ধারাবাহিকতায় রুবেল ৪৫ তম ওভার রুবেল করেছে। এখন ওই মুহূর্তে রুবেল কেন আসল বোলিং করতে তার পেছনে বেশ কয়েকটি কারন আছে বলে মনে করি।
সেই মুহূর্তে মুশফিক এর কাছে যে স্পিন অপশন গুলা ছিল তা হল গাজী (১ওভার), মাহমুদুল্লাহ( ১ওভার), নাঈম (৫অভার)...... এরা সবাই অফস্পিনার এবং ক্রিজে তখন ২জনই ডানহাতি। তাই উইথ দ্যা টার্ন এ এদের বিপক্ষে বিগ শট এ যাওয়া বেশ সহজ ছিল। তাই আমার ধারনা রান আটকে রাখার জন্য মুশফিক রুবেলকে এনেছিল এবং ৪৫ ওভার এর আগে সেটি বেশ ভালই কাজ করছিল। আর অপর পাশে মমিন দিয়ে মুশফিক এর চেষ্টা করার পেছনেও সবার আগে যে কারন ছিল তাহল সে বাঁহাতি স্পিনার। তাই পুরো সিরিজে যে ১ টি ওভারও করেনি সে সেই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বোলিং করেছে।
অনেকে আবার দেখছি এটা বলছে পেসারই যখন দিল মাশারফিকে কেন দিল না। স্লগ ওভারে বোলিং করার অভিজ্ঞতা কিন্তু মাশরাফিরও তেমন একটা সুখকর না। আর আগেই বলেছি ৪৫ তম ওভার করার আগে কিন্তু রুবেল ভালই বল করেছে।
যাই হোক, শিশির থাকা সত্তেও স্পিন বল প্রচুর টার্ন করছিল এবং বেশ গতির সাথেই করছিল। আমাদের ম্যাচটা কমপক্ষে ৫০ রানে জেতা উচিত ছিল।
কিছু ড্রপ সুযোগ, আম্পায়ার এর বাজে সিদ্ধান্ত ( থমাস এর ওইটা কিভাবে রান আউট হল না আমি তা এখনও বুঝতে পারছিনা) আর মিস ফিল্ডিং তো ছিলই। সেমুএলস এর ব্যাটিং স্টেট যদি দেখি ১৪৮ বলে ১২৬ ( ১৭ চার, ২ ছয়)। মানে ৮০ রান ১৯ বলে, বাকি ৪৬ রান ১২৯ বলে। আমরা প্রচুর খারাপ বল করেছি। বিশেষ করে প্রচুর শর্ট লেংথ বল হয়েছে, যেখানে অপেক্ষাকৃত ফুল লেংথ এ বল ফেলতে পারলেই বল প্রচুর টার্ন করছিল।
ফলে আমরা প্রায় প্রতি ওভারেই বাউন্দারি দিয়ে দিচ্ছিলাম এবং বেশ লম্বা সময় ধরে আমরা ব্যাটসম্যান এর উপর চাপ দিতে পারিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।