নদির কুল নাই রে------- ।
দুর্নিতীর অভিযোগের ব্যাপারে সরকার বাহাদুর নাকি কার্য্কর পদক্ষেপ নিতে পারেনি, একারনে বিশ্বব্যাংক ঋন চুক্তি বাতিল করেছে বাংলাদেশের সাথে ।
নিজেদের টাকায় আমাদের সরকার বিপুল পরিমান টাকা ব্যায় করে সপ্নের পদ্মা সেতু বানাতে চায়।
বিশ্বব্যাংকের এমন সিদ্ধান্ত আমাদের কাছে বিনা মেঘে ব্জ্রপাতের মতোই মনে হয়েছে। সাথে সাথে এও মনে হয় ওরা যে মানুষদেরকে ছুটি দিতে বা আর ও কিছু শর্ত্ দিয়ে ছিল তা পুরন করতে আমাদের সরকার বাহাদুর কি পারত না।
এমন কি হতো আবুল কে ছেড়ে দিয়ে বিশ্বব্যাংককে পাশে রাখতে। আবুলকেই বরং পাশে রাখতে গিয়ে বিশ্বব্যাংকই দূরে চলে গেল। নিশ্চয়ই এক আবুলই হয়তো অনেক দামি বিশ্বব্যাংকের চেয়ে। আমরা কি এতো জটিল বিষয় বুঝি। সরকারই ভালো বোঝে তার কাছে কে দামি আর কে কমদামি।
তা না বুঝলে কি দেশ চালানো সহজ কথা। থাক সেসব।
অর্থমন্ত্রী তালহারা হলেন। হলেন প্রধানমন্ত্রী নিজে। যোগাযোগ মন্ত্রী সহ পর্যায়ক্রমে দলের এমপি নেতা শুভাকাংখিরা।
সবাই কন্ঠ্ মিলিয়েই বললেন- চো্র আবুল না, আসল চো্র বিশ্বব্যাংক নিজেই। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বললেন ঐ দুর্নিতীবাজ বিশ্বব্যাংকের তদন্ত হবে ওর কাছে খয়রাতি আর না, আমরা মুক্তি যুদ্ধ করতে পারি আর ব্রীজ বানাতে পারব না তা হয় নাকি। দেশের টাকা দিয়েই এ কাজ হবে। বিভিন্ন টিভি ক্যামেরার সামনে পিছনে, সভা সেমিনারের কল্যানে দেখতে থাকি মন্ত্রী, উজির,নাজির সেপাই সবাই বিশ্বব্যাংককে উচু স্কেলের গলায় তুলো ধুনা করছে্ন। কেউ বলছে এডিপি থেকে টাকা বাচানো যাবে।
তা দিয়ে ১ টা পদ্মা সেতু বানানো খুব সোজা। কেওবা ২/৩ টা পদ্মা সেতু বানানোর কথাও বলছে। বীমা কোং এর নেতারা বললেন তারা ১১০০০ কোটি দিবেন। আমাদের সরকার ব্যাংকে এ্যাকাউন্ট্ খোলার কথা বলল। মালয়েশিয়া, কাতারে ঘনঘন যাতায়াত বাড়ল যোগাযোমন্ত্রীর যদি ওরা দেয়।
---বাহঃ কি আনন্দ আজি আকাশে বাতাশে। কি দেশাত্তবোধ। ...। ।
এরি মাঝে সবচেয়ে দেশপ্রেমে এগিয়ে থাকল রাজশাহী ভারসিটির ছাত্রলীগ শাখা ও কিছু শিক্ষক।
তারা কাঠের বাক্সে লিখল -পদ্মা সেতুর জন্য মুক্ত হস্তে দান করুন। দান বাক্সে যেভাবে স্কুল মসজিদ মাদ্রাসা উন্নয়নে পয়সা ফেলা হয়।
এর ভিতর মারামারি হলো। ভাগাভাগি নিয়ে কে যেনো মারামারিতে মারা গেল। অর্থমন্ত্রী রাগে ফুসে উঠে সাংবাদিকদের বললেন-ঐ ছাত্রদের পিটানো উচিত।
তিনি আশাবাদি। বলছেন বিশ্বব্যাংকের সহায়তা ছাড়া সেতু বানানো কঠিন কাজ। আরও বললেন বিশ্বব্যাংকের শর্ত্ আমরা পুরন করেছি। আবুল ইজ কুল ডাউন। যার বাংলা মানে – আবুল কুপোকাত ।
অর্থাত তার মতলব ভাল ছিলনা তাই তাকে পদত্যাগ করানো হয়েছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী নিজে বল্ লেন আবুল হোসাইন মহাদেশপ্রেমিক । যেখানে প্রধানমন্ত্রী তাকে মহাদেশপ্রেমিক বলছেন আর তিনি কিনা বলছেন সে কুল ডাউন। বিপরিত ধরনের কথা হয়ে গেলো। এটা ভেবে অর্থমন্ত্রী বো্ধহয় তার উক্তির কারনে লজ্জা পেয়েছিলেন।
আমরা জারা দালিত, ভাবতে লাগলাম কে কি বলচে, কেন বলচে ? অংক মেলেনা – ২+২=৫ হয় । ৪ হয় না।
কেউ পদত্যাগ করলে মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন দিতে হয় । না দিলে সেটা পদত্যাগ হয়্না। ডঃ শাহদিন মালিক তুলেছেন আইনের এই কথা ।
তাহলে আবুল এখনও মন্ত্রী ।
আবুল ইজ কুল ডাউন। আবুল ইজ মহাদেশপ্রেমিক। কোনটা ঠিক কে সত্য বলল ,প্রধানমন্ত্রী না অর্থমন্ত্রী।
ভাবি কিন্ত ...কুল নাইরে...।
। আমার মতো বেকুব যারা তাদের মাথায় ঢোকে না। এগুলি শুনে কিছু বুদ্ধিমান লোক হাসাহাসি করে। কেন তা বুজিনা ।
আমাদের কিছু বিশিস্টজনেরা বললেন “ দেশিয় ঋনে সেতু করলে নাকি ১০ গুন সুদের ঘানি জনগনকে বইতে হবে।
দেশের ক্যাপিট্যাল মার্কেট,মানি মার্কেট ও ব্যাংকের বেহালদশার ভিতর কি করে সরকার সেতুর টাকা পাবে । রিজার্ভের উপর চাপবাড়লে তা নাকি অর্থনীতি্র জন্য আশনি সংকেত হয়ে যায়। এটি একটি আবেগ প্রবন সিদ্ধান্ত-বললেন বিশিস্টজনেরা!
লন্ডনে গিয়েও প্রধানমন্ত্রী আল জাজিরাকে বললেন – কোন দুর্নিতী হয়নি। আবুল দেশের ভালোর জন্যই পদত্যাগ করেছেণ । শুনে কিছু মাণুষ আবার হাসাহাসি করে।
আবার ভাবি, কুল পাইনা। কে যেন গায়-নদির কুল নাই রে------- ।
কিছু বেকুবের বুকের ভিতরে কেমন জানি মোচড় দিয়ে উঠে । হটাত চোখ ফেটে কান্না আসতে চায়। কিসের কষ্ট? আমার জাতীয় পতাকা কার হাতে?
কে যেন আবার গায়-নদির কুল নাই রে------- ।
। । ।
সব াবুলরা খারাপ না, ামাদের রাজু, টেসটে ১০০ কোরে প্রমান করলো । াননডে কেদেচিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।