আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজশাহীর সংগীতাঙ্গনের কান্ডারী যাঁরা

পড়তে চাই বেশি বেশি ধানের দেশ, গানের দেশ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি এই বাংলাদেশ। যে দেশের নদীতে নদীতে গান, যে দেশের মাঠে মাঠে গান বিভিন্ন দিবস উৎযাপন উপলক্ষে গীত হয় দিবস ভিত্তিক গান, সে দেশই০-তো তাঁর সন্তান নিয়ে গর্ব করার অধিকার রাখে। হ্যাঁ দে যেমন গর্বকরার অধিকার রাখে, তেমনই গর্ব করার অধিকার রাখে তার সুযোগ্য সন্তনরাও। তাই বলতে পারি আমার প্রিয় গর্বের দেশ বাংলাদেশ, আমরা তার গর্বতী সন্তান। এই গর্বীত সন্তানদের অনেকেই এই বাংলাদেশের মাটিতে তথা অন্যান্য একটি শহর রাজশাহীতে আলো হয়ে জ্বলে উঠেছিলেন এবং স্বমহিায় উজ্জ্বল আলোর কিরণ ছাড়য়ে দিয়েছিলেন বলেই এই রাজশাহী শিল্প সংগ্ধতির একটি ঐতিহ্যবাহীব্যকতিতে পরিণত হয়েছিল; যেখানে জন্ম নিয়েছে অনেক জ্ঞানী গুণী শিল্পীদ্ধলো কৌশল।

একথা বলার অপেক্ষা রাখে না। রাজাহীর সংগীতাকাশে যাঁরা উজ্জ্বল নক্ষেত্রের মত একদিন জ্জ্বলে উঠেছিলেন; যাঁরা একদিন রাজশাহীর সংগীতাদানের কান্ডারী হিসাবে ছেঁড়া পালের হাল ধরেছিলেন; তারা আজ অনেকেই পরলোকের অধিবাসী। তাঁরা সবাই এখন আমাদের কাছে শুধু স্মতি। বলতে গেলে এসবগুণী জনরাই রাজশাহীর গানের বাগন-নানান বরণ ফুলের মালায় সজ্জিত করেছিলেন। গানের ভূবণকে নতুন আলোক মালায় সাজিয়ে ছিলেন।

গানের রাজ্যে এসব গুণীজনরাই রাজা-রাজাধিরাজ। সুরের জগৎ সৃষ্টির মূলে এ সবগুণী জনরাই আস্তরীক ভাবে কাজ করেছিলেন বলেই এই প্রজন্মে অনেক নামী দামী শিল্পী পেরিয়ে এসেছি। আজ এই সবগুণী শিল্পী কলা কুশলীদের কথা কেউ আর তেমন বলেনা কেউ আর তেমন স্মৃত চারণ করেনা। কেউ কেউ ভক্তি ভরে দু’চারটি কথা বলে বইকি। কিন্তু যেভাবে আলোচনায় আসা প্রয়োজন ঠিক সেভাবে আরোচনায় আসেন।

আমরা যদি এই সব গুণীজনের কথা না বলী তাঁদের কৃতিত্বের কথা না তুলে ধরী তাঁদের শ্রদ্ধা না করি; তা’হলে লাভ ক্ষতির প্রশ্নতুলছিনা তবে তাঁদের সম্বন্ধে এই প্রজন্মের শিল্পীরা কিছুই জানতে পারবেনা বা জানবেনা। এই প্রজন্ম পুরোটাই অন্ধকারে নিমজ্জিত রয়ে যাবে। এই সব গুণীজনদের নিয়ে তাঁদের মত্যু বার্ষিকী জন্ম বাষির্কী পালন করা এবং অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁদের জীবনী নিয়ে আলোচনা করা আবশ্যক। প্রস্থেনে “স্মর নীকা” বের করে নতুন প্রজন্ম কে অতি সাহিত্য দান করা সবার জন্যই মঙ্গল। আমি যাঁদের স্বচক্ষে দেখেছি; আমি তাঁদের সম্বন্ধে যতদুর জানি বা বুঝি এখন তাই-ই নিয়ে কিছুকথা বলার চেষ্টা করবো।

এই সব গুণীজনদের অনেকেই আজ পরলোক বাসী। কেউ কেউ জীবিত আছেন। এই সব গুণীজনদের প্রতি আমার সশ্রদ্ধ ভর্ক্তি পূর্ণ সালাম। মরহুম ওস্তাদ মোজাম্মেল হোসেন মরহুম ওস্তাদ মহা মাষ্টার মরহুম ওস্তাদ আবুল জব্বার মরহুম ওস্তাদ আব্দুল আজিজ বাবু মরহুম সিরাজউদ্দৌলা মরহুম ** আব্দুল আলীম, মরহুম নাসিরউদ্দীন আহেম্মদ আব্দুল মালেক খান মো: রবিউল হোসেন স্বনীয় পন্ডিত বসু নাথদাস, স্বনীয়-শ্রী হরিপদ দাস, শিবনাথ দাস শ্রী আময়েষ রায় চৌধুরী ও তপন কুমার দার্স বিংশ শতাব্দীর ৭ম শ্রীমষ্ণশ্রী রায়শ্রী লক্ষ্মীকাত্ত দে ৮ম-নবম দশকের এবং শেষ পর্যন্ত এইসবগুণী জনরা চর্চার ক্ষেত্রে এবং শিল্পী তৈরীর কান্ডারী হিসেবে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছেন। বলাযেতে পারে এসব গুণীজনরাই উচ্চঙ্গ সঙ্গীতের ধারক বাহক।

আমি এসময় কালটাই রাজশাহীর সঙ্গীতাঙ্গনের “স্বর্ণ যুগ” বলে অবহিত করতে চাই। এতসব গুণীজনের সন্ন্যিধ্যে রাজশাহীর সঙ্গীতাঙ্গন ধন্য, ধন্য রাজশাহী বাসী। উল্লখিত এইসচ গুণীজনরা শিল্পী তৈরীর ক্ষেত্রে আপন আপন অবস্থান থেকে স্বস্বা ঘরানার শিল্পী তৈরী করেছেন। তা তার প্রশংসা করতেই হয়। তাঁরা তৈরী করেছেন।

উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী, নজরুল, রবীন্দ্র, পল্লিগীতি মুর্শিদী, ভাটিয়ালী, জারী, সারি, ভাওয়াইয়া প্রভৃতি গানের শিল্পী। অনেকেই এখন তাঁর বাংলাদেশ বেতার; বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং চলচিত্রের শিল্পী। এই প্রসঙ্গে একটি কথা এখানে বলা আবশ্যক, আর তা না হলে কথা অসম্পূর্ণতা থেকে যাবে। তাই বলতে চাই এইসব গুণীজনদের সান্নিধ্যে অনেকেই গান রচনার কলা কৌশল গান লেখার প্রেরণা সুর রচনার কলাকৌশল গানে সুরাবেপের প্রেরণা পেয়েছেন। এখন তাঁদের অনেকেই প্রতিষ্ঠিত সুরকার গীতিকার।

একটা গান তৈরীর ক্ষেত্রে-কারো চেয়ে কারো অবদান কমনয়। তাঁদের নাম স্বরণে থাকা বাঞ্চনীয়। তাঁদের নাম এখন উল্লেখ করতে চাই। এসব গুণী সূরকার গীতিকারদের অনেকেই মারা গেছেন অনেকেই জীবিত আছেন রাজশাহীর সঙ্গীতাঙ্গনের এই সব গুণী গীতিকার সুরকার বা বিশেষ ভূমিকা রেখেছে মরহুম ড. সারোয়ার জাহান, মরহুম আনোয়ারুল আবেদীন, মরহুম েেরজওয়ানুল হক (রামা) মরহুম মুস্তাফিজুর রহমনা, মরহুম মহাসিন রেজা মাহাতাব, উদ্দীন দাউদ আল রাহী, আব্দুল মান্নান প্রমুখ ব্যক্তিগণ। এইসব গীতিকার সুরকার তাঁদের গীত রচনায় মাধ্যমে নিজেদের কে সুপ্ততিষ্ঠিত করেছেন।

তাঁরা স্বমহিমায়-মহিমাঞ্চিত কৃতকর্মে ভাস্বর যেন সঙ্গীতাকাশের এক একটি উজ্জ্বাল নক্ষত্র। রাজশাহী বাসির জন্য তাঁরা সবাই গর্বের অহংকারের মূর্ত প্রতীক। আমার পরম সৌভাগ্য, খুব কাছে থেকে এসব গুণীজনদের দেখেছি মিশেছি উঠেছি, বসেছি। তাঁদেরই সবায়ই হৃদয় ছিস্ক বাহু বাৎসম্য। পসঙ্গতে উল্লেখ্য আমার সংগীতের হাতে খড়ি মরহুম ওস্তাদ আব্দুল জবাবারের কাছে।

তিনি আমার সবক্ষৎগুরু। তাঁর কাছে যাঁরা গ্রণণ বেশিদিন সম্ভব হয়নি। কারণ, তাঁর অকাল মৃত্যুতে শিক্ষার ছেদ পড়েছিল, শুধ আমার কোন অন্য যেকোন শিক্ষার্থী ভাইা বোন শিল্পীর ভান্যে এ বিপর্যয় ঘটেছিল বইকি। যাহোক, পরর্বীতে আমি যাঁর কাছে তালিম নেয়ার সুযোগ পাই তিনি হচ্ছেন মরহুম ওস্তাদ শেখ মোজাম্মেল হোসেন, তাঁর প্রতি আমার সশ্রদ্ধ ভক্তিপূর্ণ সালাম। এক্ষেত্রে কাকলী সঙ্গীত বিদ্যালয়ের নামে করতে হয়।

এই সংগীত বিদ্যালয়টি শিল্পী তৈরীর ক্ষেত্রে শিল্পী তৈরা কারিগর হিসেবে যথেষ্ট ভূমিকা রেখেছে। এই সংগীত বিদ্যালয়েই মরহুম ওস্তাদ শেখ মোজাম্মেল হোসেন উঠাবসা করতেন। বহু ছাত্র/ছাত্রীরা এই বিদ্যালয়েই ওস্তাদ মোজাম্মেল হোসেনের কাছে তালিম শিখতেন। আমি এই সংগীত বিদ্যালয়েই ত৭ার কাছে তালিম নিয়েছি সেই সুবাদে ওস্তাদজীর সাথে ঘনিষ্ট ভাবে মেলা মেশার সুযোগ হয়েছিল। তিনি অসুস্থ ছিলেন কিন্তু শিল্পী মন ছিল সদ্য ফোট গোলাপের কুঁড়ি সবসময় তাঁকে সজীব থাকতে দেখেছি।

রাগ যে ছিলনা তা নয় তাতে তবে তা ছিল মর্জিতপূর্ণ। এই বিদ্যালয়েই মাঝেমাঝে ওস্তাদ আব্বাস আলীর এস,এম, সাদেক ও মেরাজউদ্দীন ছাত্র/ছাত্রীদের ক্লাস নিতেন। ক্লাশ নিতেন মরহুম ওস্তাদ আবদুল জব্বার ক্লাশ নিতেন শ্রী শিবনাথ দাস। সংগীত শিল্পী গড়ার কারিগর হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ আর একটি সংগীত বিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ যোগ্য আরতা হচ্ছে “সংগীত শিক্ষা ভবন” অবশ্য এই ব্যিালয়টি সব চেয়ে পুরোনো বলে অনেকেই বলেথাকেন। যে “সঙ্গীত শিক্ষা ভবন” থেকে দেশের দামী শিল্পী তৈরী হয়েছেন।

দেশকে তথা রাজশাহীর সুনাম বয়ে আনতে তাঁদের অবদান অনস্বীকার্য্য। দেশের বরেণ্য শিল্পী সুরকার তাঁদের অবদান অনস্বীকায্য। দেশের বরেণ্য শিল্পী সুরকার গীতি কর এই ভবন থেকে তৈরী হয়েছিল। এই বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠিত ও শিক্ষাগুর স্বর্গর্য শ্রী হরিপদ দাস। এখন এই বদ্যালয়টি পরিচালনা করেছেন তাঁরই স্থযোগ্য সগুনে শ্রী অনুপ কুমার দাস।

এই বিদ্যালয়ের ছত্র/ছাত্রীদের অনেকেই পর্যয়ের শিল্পী হিসেবে সুপ্রেতিষ্ঠিত। উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিল্পী মরহুম চৌধুরী ফায়জুর রহমান, মরহুম আব্দুল জব্বার, মরহুম সিরাজ উদ্দীন সুরকার গীতিকার ও শিল্পী প্রনব কুমার দাস এবং মহরহুম ড: সারোয়ার জাহান, রিফুকল আলম, শামসুজ্জামান, জান্নাতুলফেরদৌস, শ্রী মঞ্জুশ্রী রায়, বিজয়া রায় প্রমুখ শিল্পীগণ এই বিদ্যালয়ের ছাত্র/ছাত্রী ছিলেন। আরো অনেকেই ছিলেন যাঁদের নাম বলী সম্ভব হলো না বলে দু:খ প্রকাশ করছি ছাত্র ছিলেন অতীন্দ্রনাথ গুপ্তা, শ্রী রায় নাথদাস, শ্রী শিবনাথ দাস, গোপাল চন্দ্র দাস, শ্রী লক্ষ্মী কালুদে সুকুমার বৃত্তি-চর্চার অন্যতম মাধ্যম এই সংগীত। এই সুকুমার বৃত্তি চর্চার শক্তি শালী মন নিয়ে যিনি রাজশাহীকে আবিষ্কার করেছেন নূতন মাত্রা দানকরেছেন নিরলস শ্রম মেধা দিয়ে আমি বলবো তিনি রাজশাহীর কিংবদন্তি মরহুম ওস্তাদ আব্দুল আজীজ বাচ্চু। তাঁর অসামান্য প্রতিভা দূরদ শক্তিও বিচক্ষনতার বলে ড়বে উঠেছিল ঐতিহ্যবাহী সুরবাণী সঙ্গীত বিদ্যালয় এই সুরবাণী সংগীত বিদ্যালয় এঙ্কনাত্র বিদ্যালয় যে বিদ্যালয় থেকে বেরিয়ে এসেছে বহুসংখ্যক স্বনাসধন্য গুণী গুণী শিল্পী কলা কৌশলী যাঁরা রাজশাহীকে দান করেছে নতুন সৌন্দয্য নুতুন অঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ব।

এই বিদ্যালেয় থেকে যাঁরা সংগীতে তালিম নিয়েছেন তাঁদের নামের একটি নির্দিষ্ট দেয়ার চেষ্টা করবো এখন। যাঁরা রাজশাহীকে তুলে ধরেছিল, যাঁরা রাজশাহীকে পরিচিত করেছিল তারাইতো দেশের সম্পদ শালী মানুষ। হয়তো এই ক্ষুদ্র পারসবে সবারই নাম উল্লেখ করা সম্ভব হবেনা তার জন্য দু:খিত। তবু স্মিতিতে যেসব শিল্পীদের নাম ধরে রেখেছি তাঁদের নাম সমূহ উল্লেখ করতে চাই। মরহুম এ.এইচ.এম. রফীক, নাসির উদ্দীন আহম্মেদ, এমদাদুলহক লালা মরহু রেজাউল হক, আব্দুল খালেক ছানা, হাবিবুর রহমান লাচু, নূর হামান রিজভী, এ্যান্ড্র কিশোর, কাজী বাচ্চু, সেখবদিউজ্জামান এম.এ, খালেক, কাজী মন্টু, নুরূলহক (তবলাবদ্দক) মীসীরর, নাসিম আরা নূরুল্লাহ লাভলী, আইনুল্লাহর বিউটি, ইফ্ফাৎ আরা নার্গীস, লোকমান আলী, রিজিয়া পারভীন, এস.এম. সেলিম আখতার শ্রীকানু, সেহিন গোলাম আনোয়ার হোসেন বাদশা।

আরও অনেকে। রাজশাহীর গানের ভূবনে আব্দুল আইজ বাচ্চু একটি অনন্যা নাম। যেম নাম শুনলে শ্রদ্ধায় মাথানত হয় ভয়ে হৃদয় কম্পিত হয় ভালবাসার ক্ষেত্রে মন প্রাণ আবেগে আপ্লত হয়। তিনি ছিলেন মানুষ হিসেবে কর্মনিষ্ঠা সত্য সিষ্ঠা অতশয় পরিচ্ছন্ন স্পষ্ট ভাষী। সংস্কৃতি স্বরণে নির্ণয়ে শিল্পী নির্বাচনে তিনি এতটাই সচেতন ছিলেন যাঁরা তার কাছে থেকেছেন, উঠেছেন, বসেছেন, তাঁরাই কেবলমাত্র অনুধাবনের ক্ষমাত রাখেন।

মনটা ছিল আকাশের মত বিশাল ও গভীর মমতায় ভরা। নতুন শিল্পীদের অনুপ্ররণা ও উৎসাহ দানে তাঁর দৃষ্টান্ত বিরল। আমার সৌভাগ্য হয়েছিল তাঁর সথে দৃষ্টান্ত একটি ছবি তোলার, ছবিটি তুলেছিলাম স্টুডিও আজাদ, ছবি নং-৩৩৩/১৯ রাজশাহী কোট রাজশাহী। একবার কিযেন প্রয়োজনে তাঁর ছাত্র হিসেবে একটি সনদ পত্র নিয়েছিলাম লেখা কি চমৎকার ঠিক যেন মুক্তোর মত ঝক ঝকে? আমি ওস্তাদ জীর লোখার প্রতি খুব দূর্বল ছিলাম। মাঝে মাঝে তাঁর নুকরণ করে লেখার চেষ্টা করাতাম।

“ওস্তাদজীবর মৃত্যুতে সব স্তরের মানুষ শিল্পীকলা কৌশল সকলেই শোকাভিভূত হয়েছিল। রাজশাহীর সঙ্গীত জগতের এক মহানায়কের প্রস্তনে সঙ্গীত জগতের বিরাট ক্ষতি আবধিত হয়েছিল বহীক। রাজশাহী বেতার তাঁর মৃত্যুতে সংবাদ এর ঘোষাণ দেয়ার সংগে সংগে সবাই মূহূমাস হয়েপড়েছিল। রাজশাহী শহরে যেন বেদনার কালেছায়া পড়েছিল। ছাত্র/ছাত্রী ছাড়া বন্ধ বান্ধব আত্মীয় স্বজনদের অহাজারীতে বাতাস ভারী হয়ে উঠে ছিল।

সে এক করুন দৃশ্য বাষাই বর্ণনা করা যায়না। আমি তাঁর ও সকল বেদেহী আত্মার মাগফিরাৎ কামনা করছি আল্লাহর কাছে। ” আব্দুল আজিজ বাচ্চু একটি শুধু নয়। একটি কালজয়ী ইতিহাস। সঙ্গীতাকাশের ঠিক যেন ধ্র“বতারা।

অনেকেই হয়তো এমন গুণী জ্ঞন আসরে কিন্তু আব্দুল আজিজ বাচ্চুর মত একজন যথার্যগুণী শিল্পী পাওয়া কি সম্ভব? আব্দুল আজিজ বাচ্চু সংগীত জগতের একটি যুগ রাজশাহী সঙ্গীত ইতিহাসের এক পরিপ্রন্থ অধ্যায়। সঙ্গীত জগতে তিনি আমর শিল্পীদের দ্বিগুণ প্রেরণের উৎস। ওস্তাদ আব্দুল আজীজ বাচ্চুর উত্তারিাধিকারী হিসেবে যাঁরা এখন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নাম দিয়ে ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠ দান দিচ্ছেন বা শিল্পী তৈরী ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রখেছেন তাঁদের নাম উল্লেখ করে আমরা সংক্ষপ্তি বক্তব্য শেষ করবো ইনশাহ আল্লাহ ওস্তাদ রবিউল হোসেন তাঁর হিন্দোল সংস্কৃতিক গোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিল্পী তৈরীর ক্ষেত্রে উল্লেখ যোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। ওস্তাদ রবিউল হোসেন এক্ষেত্রে প্রশংসা দাবীদার। অাব্দুল খালেক ছায়া তিনিও ছাত্র/ছাত্রীদের পাঠ দানরত তাঁর ভুলকান্ত অনন্য।

শেখ বদিউজ্জামান হাবিবুর রহমান, শ্রী মঞ্জুস্ত্রী রায়, কাজী বাচ্চু বেঁচে নেই। কিন্তু আমি বলবো তিনি বঁচে আছেন বেঁচে থাকবেন তাঁর কৃতি কার্যরজন্য সবারই চিন্তা চেতনায় মান মননে। তাঁর সম্বন্ধে কিছু কথা বলতে গিয়ে বার বার একটি কথাই মনে পড়ছে তিনি বলেছিলেন “সামাদরে তুই তোর একটি গানে বেঁচে থাববি-দেশের মানুষের কাছে সারাজীবন। ” গানটির স্থীয়ী তুরে দিলাম “জন্মু ভূমি মাগোতু’মি আমায় ভুলনা, মাগো তুমি তোমার নিজেই তুলনা। ” গানটির স্থরকরেছিলেন আব্দুল খালেক ছানা।

গানটি বাংলাদেশ বেতার থেকে মাঝে মাঝে প্রচারিত হয়। শিল্পীদ্বয়ের কণ্ঠে তাঁর একজন আব্দুল খালেক ছানা ও মওজিয়া নাহিদ। পরিশেষে বলতে চাই, আমরা রাজশাহীর এসব গুণী শিল্পীদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবো তাঁদের মৃত্যু বার্ষিকী-জন্ম বার্ষিকী পালন করে এমন কি স্বস্বনামে স্মষ্ঠকাবের করে তাঁদের কৃতির অবদানের কথা এ প্রজন্মের কাছে তুলে ধরবো। আর তা’হলো তাঁদের প্রতি বিমন্ত্র শ্রদ্ধা ভালবাসা জানানো হবে। আর এই শ্রদ্ধা ভালবাসার উত্তরন ঘটুক সবার মধ্যে একান্ত এই কামনা আমার।

সৌজন্য ঃ খব্দকার মো আব্দুস সামাদ তার কাছে ঋণী। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.