আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাভার ট্র্যাজেডি: গ্রেপ্তারকৃত দুই গার্মেন্ট মালিক ও রানার আশ্রয়দাতা মিঠু বিএনপির লোক

আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব। সাভার রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুই গার্মেন্ট মালিককে ১২ দিনের ও দুই নির্মাণ প্রকৌশলীকে গতকাল ৮ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। সাভারের রানা প্লাজা ভবনধসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশের পর ওই ভবনের দুই পোশাক কারখানার মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এ দুই মালিক বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। এরা হলেন নিউ ওয়েভ বটমস লিমিটেডের মালিক বজলুস সামাদ আদনাদ ও নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেডের মালিক মাহমুদুর রহমান তাপস।

ঘটনার পরপরই তারা পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। তবে বিজিএমইএর নেতাদের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাছাড়া গতকাল তাদের ১২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হলেও জামাই আদরে রাখা হবে তাদের। সাভার থানা পুলিশকে মোটা অংকের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট একটি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্রটি জানিয়েছে, রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানার সঙ্গে স্থানীয় সংসদ সদস্য মুরাদ জংয়ের সখ্য থাকায় ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে রানার সঙ্গে হাত মেলান এ দুই পোশাক কারখানার মালিক। নিজেদের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততার কথা জানাজানি না হলেও রানা জানতেন তাদের সম্পর্কে। এছাড়া বিরোধী দলের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে তাদের কারখানার শ্রমিকদের ব্যবহার করতেন। গত মঙ্গলবার ওই ভবনে ফাটল দেখা দেওয়ার পর মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। ঘোষণাও দেওয়া হয় বন্ধের।

তবে এ দুজন পরের দিনের বিএনপির হরতাল সফল করতে এবং পিকেটিংয়ে লোক সংগ্রহের টার্গেটে কারখানা চালুর প্রস্তাব দেন। পরে সকলেই ভবনে সামান্য ক্ষতি হয়েছে এমন বিবেচনায় কারখানা চালু থাকবে বলে ঘোষণা দিলে দুর্ঘটনায় পতিত হন কারখানার সকল শ্রমিক। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ফাটল দেখা দেওয়ার পর শ্রমিকদের মধ্যে পিকেটিংয়ে কারা কারা থাকবে তাদেরও একটি তালিকা করা হয়েছিল। তাদের বেশিরভাগই ছিল নিউ ওয়েভ বটমস্ লিমিটেড ও নিউ ওয়েভ স্টাইল লিমিটেডের শ্রমিক। এর আগেও সাভারের বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে এসব শ্রমিকদের ব্যবহার করা হয়েছে।

সূত্রটি আরও জানায়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টি করে সাভার এবং আশুলিয়া এলাকায় গত চার বছরে বিভিন্ন ইস্যুতে রাজপথ গরম করেছে পোশাক শ্রমিকরা। হরতাল অবরোধে এসব শ্রমিক রাজপথে গাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুরসহ ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়েছে। এদের মধ্যে যারা পুলিশের হাতে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের ছাড়িয়ে আনতে জোর তদবির করেছেন এ দুই পোশাক কারখানার মালিক। রাজধানীর সঙ্গে দেশের উত্তরবঙ্গের একমাত্র প্রবেশ পথ বন্ধ করে ঢাকাকে অচল করার পরিকল্পনা চলেছে অসংখ্যবার। এরই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি হেফাজতের লংমার্চ কর্মসূচি, জামায়াত-শিবিরের সঙ্গে রাজপথে তাণ্ডব এবং রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় বিরোধীদলীয় জোটের কর্মসূচি পালনে এসব শ্রমিককে কাজে লাগানো হয়েছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

সূত্র আপডেট: বিএনপির ঘরে আ'লীগের সঙ্গে... সাভারের রানা প্লাজার মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় যশোরের বেনাপোল সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। র‌্যাবের গোয়েন্দা বিভাগ তাকে গ্রেফতার করে। তিনি স্থানীয় বলফিল্ড এলাকায় মনিরুজ্জামান জেটি নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়াটিয়া শাহ আলম মিঠুর বাসায় পালিয়ে ছিলেন। মিঠু একজন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও বিএনপির নিবেদিতপ্রাণ কর্মী। আশ্রয়দাতা হিসেবে তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।

সূত্র  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।