সাভার ট্রজেডীর পর সংবাদ মাধ্যমে একের পর এক দালানে ফাটল ধরার ঘটনা বেরিয়ে আসছে। এগুলো নিশ্চয় একদিনে জামাতে হয়নি। দিনের পর দিন লোভ, অব্যাবস্থাপনা আর দূর্নীতির ফলে কোন নিয়ম নীতি অনুসরন না করে শুধুমাত্র অর্ঠলোভের কারনে অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে দালান তৈরী করার ফসল এগুলোই। আর কয়টা ঘটনাই বা সংবাদ মাধ্যমে আসে। এরকম অনেক খবর সংবাদপত্রে আসে না।
আসলে ফাটল ধরেছে বাংলাদেশ নামক দালানটার বুক চিরে। যে দালানের প্রতিটি ইট, সুড়কী, রড, সিমেন্ট হচ্ছি আমরা। যাদের মধ্যে আছে কিছু লোক যারা টাকা বাচিয়ে তাড়াতাড়ি ধনী হওয়ার জন্য দালান তুলতে কোন নিয়ম-নীতি অনুসরন করেনি, কোন যোগ্য প্রকৌশলী বা স্থপতির পরামর্শ নেয়নি। আছে মুনাফাখোর ব্যাবসায়ী যে নিম্নমানের সামগ্রী তৈরী ও বিপণন করছে। আছে প্রকৌশলী-স্থপতি যে ছাত্র রাজনীতি করতে করতে পড়াশোনার পেছনে সময় ব্যায় না করে টাকা খরচ করে সার্টিফিকেট কিনে এখন যাচ্ছে তাই প্লান দিচ্ছে ও টাকা খেয়ে যাচ্ছে তাই প্লান পাস করাচ্ছে।
আছে দূর্নীতিবাজ সরকারী কর্মকর্তা যে পয়সা খেয়ে বা রাজনৈতিক লাভের জন্য অনিরাপদ স্থাপনাকে নিরাপদ বলে ঘোষনা দিচ্ছে, পরিদর্শন না করেই টাকা খেয়ে নিরাপত্তাকে থোড়াই কেয়ার করছে, আছে লোভী সাংবাদিক যা টাকা খেয়ে ঘটনা জনসম্মুখে প্রকাশ করছে না, আছে রাজনৈতিক নেতা যে এদের কাছ থেকে টাকা খেয়ে জনসেবা (!) করছে। আছে শিল্পপতি যে অধিক মুনাফার লোভে এসব দালানে কারখানা বসাচ্ছে ( কিন্তু নিজের আসল অফিসটা কিন্তু ঠিক জায়গায় রেখেছে।
আর আছে কিছু মেহনতী মানুষ যারা দুবেলা অন্ন জুটাতে এসব মরনফাঁদে কাজ করছে। উপরের গোষ্ঠীর লোভ-লালসার বলি হন যারা।
আসলে দিনের পর দিন বাংলাদেশ নামক দালানটার বুক চিরে গভীর ফাটল সৃষ্টি হয়েছে।
এখনি ব্যবস্থা না নিলে হয়তো রানা প্লাজার মত একদিন ধ্বসে পড়বে বাংলাদেশ নামক দালানটি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।