জানতে চাই, জানাতে চাই চারিদিকে শুধু লাশ আর লাশ। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে আশুলিয়ার নিশ্চিন্তপুর।
টিভিতে যখন দেখলাম, সেই মৃত্যুপুরী থেকে একের পর এক আগুনে পোড়া বিকৃত লাশ বের করা হচ্ছে, তখন মনের অজান্তেই কখন যে চোখে পানি চলে আসছিল তা বুঝতেই পারিনি। আজ আমি বাকরুদ্ধ, বলার সব ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। এই আধুনিক প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতার যুগে এত অনাকাঙ্খিত লাশের মিছিল কিভাবে সম্ভব?
তবে সবচেয়ে যেই বিষয়টা আমাকে হতবিম্ব করেছে তা হল- আগুন লাগার পরে অ্যালার্ম শুনে শ্রমিকেরা যখন বাইরে বের হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন, তখন নাকি তাদের বলা হয়েছিল মহড়া চলছে এবং মালিক পক্ষের লোকজন তাদের বাইরে বের হতে বাঁধা দেন।
শ্রমিকদের নিশ্চিন্ত করতে প্রতিটা ফ্লোরে উচ্চ স্বরে গান বাজানো হয়। আর যখন শ্রমিকেরা বুঝতে পারেন যে এটা কোন মহড়া নয়, তখন তারা দেখতে পান যে তাদের প্রতিটা তলায় তালা লাগানো।
এর আগে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটে ফ্লাইওভার ভেঙ্গে পড়ে অনেকেই নিহত ও আহত হয়েছেন।
সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে। কিন্তু আদৌ কি এই তদন্ত কাজ শেষ হবে? উপযুক্ত শাস্তি পাবে দোষী ব্যক্তিরা? দু’দিন পরে অন্য সব ঘটনার মত হয়ত এই ঘটনাটিকেও কবর দেওয়া হবে।
তখন কেউ আর এই ঘটনাটি নিয়ে এতো মাথা ঘামাবে না, সবাই সব কিছু ভুলে যাবে।
সরকারের কাছে একটাই অনুরোধ থাকবে- দেশের মাটিতে ঘটে যাওয়া অন্যসব ঘটনার মত যেন এই ঘটনাটিকেও কবর দেয়া না হয়। দ্রুত সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তিদের বের করে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।