কথায় আছে বাঙালি অলস-আমোদপ্রিয়-শামুক প্রকৃতির জাতি। বাঙালির সম্বন্ধে আরও অনেক বিশেষণ হাটে-বাজারে উড়ে বেড়ায়, কান পাতলেই তা শোনা যায়। অলস হিসেবে বাঙালিদের এ বদনামটা দীর্ঘ দিনের।
এদিকে বাঙালিদের অপবাদ দিলেও কম কুঁড়ে নন এই নিন্দুক পশ্চিমারা। বরং বাঙালিদের পেছনে ফেলে অলস মানুষের তালিকায় সেরা বিশে জায়গা করে নিয়েছেন তারা।
সম্প্রতি বিজ্ঞান সাময়িকী দ্য ল্যানচেট পৃথিবীর ১২২টি দেশের মানুষের মধ্যে গবেষণা চালিয়ে সবচেয়ে অলস দেশের তালিকা প্রকাশ করেছে।
এই তালিকায় প্রথম স্থানে আছে দক্ষিণ ইউরোপের দেশ মালটা। বলা হয়েছে দেশটি প্রায় ৭১ দশমিক ৯ ভাগ মানুষ অলস।
৬৮ দশমিক ৮ ভাগ অলস নাগরিক নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরব।
তৃতীয় অবস্থানে সুইজারল্যান্ড।
ইউরোপের এই দেশে অলস লোক মোট জনসংখ্যার ৬০ ভাগ। এই দেশের মানুষের মধ্যে ৬০.০ শতাংশ নিষ্ক্রিয়। নিজেদের পরিশ্রমী হিসেবে নিয়ে গর্ব করা ব্রিটিশ জাতির অবস্থান অলস তালিকার আট নম্বরে। গবেষণায় দেখা গেছে দেশটির ব্রিটিশদের মধ্যে ৬৩.৩ শতাংশ মানুষই অকর্মার ঢেঁকি।
তালিকায় সেরা বিশে আছে সার্বিয়া, আর্জেন্টিনা, মাইক্রোনেশিয়া, কুয়েত, ব্রিটেন, আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, জাপান, ডমেনিকান রিপাবলিক, নামিবিয়া, ইরাক, তুরস্ক, সাইপ্রাস, ইতালি, আয়ারল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভুটান।
ইউরোপের জন্য উদ্বেগের বিষয় হলো তালিকায় তাদের প্রতিনিধিত্বই সবচেয়ে বেশি।
তবে লক্ষ করার মতো বিষয় হচ্ছে, এই তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র অলস দেশ হিসেবে নাম উঠে এসেছে ভুটানের। যদিও তালিকার সবচেয়ে শেষ স্থানটি তার জন্য বরাদ্দ। সুতরাং কর্মঠ দক্ষিণ এশিয়ান হিসেবে আমরা গর্বই করতে পারি।
তাছাড়া কদিন আগে দ্য ল্যানচেটই জানিয়েছে, বাংলাদেশ পৃথিবীর সবচাইতে পরিশ্রমী মানুষের দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম।
সুতরাং অলস বাঙালি বিশেষণটি ভুল প্রমাণ করার গর্ব আমরা এখন করতেই পারি। তাই না?
সূত্র: ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।