একটা ভালো চিন্তা ভাবনা, উচ্চশিক্ষার নামে এত এত গ্রাজুয়েট মাস্টার্স বানানোর কোনো কারণ দেখি না।
উচ্চশিক্ষা: বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি আবাসিক এলাকায় পরিণত হবে
সৌমিত্র শেখর | তারিখ: ০৩-০৫-২০১৩
" বিশ্ববিদ্যার আলয় হলো বিশ্ববিদ্যালয়—এ কথা সর্বজনবিদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশ্বজ্ঞানের চর্চা ও প্রসার হবে এবং হতেই থাকবে। এর জন্য চাই অনুশীলন ও চর্চার কেন্দ্রের সম্প্রসারণ। পাশ্চাত্যে ‘স্কুল অব থট’ এক কেন্দ্র থেকে আরেক কেন্দ্রে পরিশীলিত হয়ে বিকশিত হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও ছিল এর বাতিঘর। আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় বিশ্ববিদ্যাচর্চা খুব যে অবহেলিত (যেমনটি হরহামেশা বলা হয়) তা নয়। তবে এখানে বিশ্ববিদ্যার নবতম ধারাসমূহের চর্চার ধারাবাহিকতা রক্ষা করা যায় না, সূচনাটা করা যায় মাত্র। এর একটি প্রধান কারণ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বিশ্ববিদ্যাচর্চাকেন্দ্রের বদলে পরিণত হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আবাসস্থলে। সরকারের অর্থায়নে পরিচালিত দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে এ কথা বলা চলে।
পাশ্চাত্যে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের অনেকেই থাকেন কোন না-কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গবেষণা ও অধ্যাপনাসূত্রে সংশ্লিষ্ট। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নোবেল পুরস্কার অর্জনের মতো গবেষণার সূতিকাগার হতে পারছে না।
১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরম্ভ করে যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক অবকাঠামো ও পরিচালনার দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে, সেখানের মোট ভূমির সিংহভাগ ব্যয় হয়েছে শিক্ষা ভবন বা একাডেমিক বিল্ডিং নির্মাণের জন্য নয়, ছাত্রছাত্রী-শিক্ষক-কর্মচারীর আবাসন খাতে। এর পরও ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীদের প্রধান দাবি, স্ব-স্ব আবাসিক ভবন নির্মাণের জন্য, একাডেমিক বিল্ডিং নির্মাণ নয়। ছাত্রসংগঠনগুলোও হল নির্মাণের দাবিতে যতটা সোচ্চার, একাডেমিক বিল্ডিং নির্মাণের দাবিতে ততটা অনড় নয়।
ফলে আগামী ৫০ বছর পর আমাদের প্রধান বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি পরিপূর্ণভাবে আবাসিক এলাকায় পরিণত হয়, তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। "
বাকিটা পড়ুন এখানে
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।