হোসে মরিনহোর সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর বিবাদের ব্যাপারটা শোনা গেছে বিভিন্ন সময়। দুই রথীর সম্পর্ক এবারের মৌসুমের শেষ দিকে এসে নাকি পৌঁছে যায় তিক্ততার পর্যায়ে। তিক্ততাটা এমন পর্যায়ে ছিল যে রিয়ালে নিজের বিদায়ী ম্যাচে রোনালদোকে খেলাননি মরিনহো।
দুজনের মধ্যে সমস্যাটা আসলে কী ছিল? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া দূরে থাক, সমস্যার কথাই এত দিন স্বীকার করেননি মরিনহো। এ নিয়ে মুখ খোলেননি রোনালদোও।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর, রিয়াল ছেড়ে চেলসিতে ফেরার পরই ‘বোমা’ ফাটিয়েছে হোসে মরিনহো। স্প্যানিশ একটি টেলিভিশনকে পর্তুগিজ এই কোচ বললেন, ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো নিজেকে “সবজান্তা” ভাবে। কোচের উপদেশ-সমালোচনা মানার ব্যাপারটি একেবারেই নেই ওর মধ্যে। ’
মরিনহো বলেন, ‘আমার সঙ্গে দারুণ তিনটি মৌসুম কাটিয়েছে রোনালদো। জানি না, এগুলো তাঁর ক্যারিয়ারের সেরা সময় কি না।
কারণ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গেও সে দারুণ কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছে। ’
২০০৪ সালে চেলসির দায়িত্ব নিয়েই মরিনহো বীরদর্পে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি ‘স্পেশাল ওয়ান’। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চেলসির রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করে সেই মর্যাদাও রেখেছিলেন তিনি। তবে ২০০৭ সালে তাঁকে বরখাস্ত করে চেলসি কর্তৃপক্ষ। মরিনহো রিয়াল মাদ্রিদে যোগ দেন ২০১০ সালে।
বার্সেলোনার আধিপত্য ছাপিয়ে গত বছর তাঁর অধীনেই স্প্যানিশ লিগ জেতে রিয়াল। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৬ সাল পর্যন্ত রিয়ালে থাকার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু চলতি মৌসুমের ব্যর্থতায় বিদায়ঘণ্টা বাজে মরিনহোর। নয় বছর পর এ সপ্তাহে আবারও নিজের এক সময়ের ঘর চেলসিতে ফিরেছেন ‘স্পেশাল ওয়ান’। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।