আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ইম্প্রেশনিস্ট আর্টিস্ট :: জর্জ স্যুরা' (Georges-Pierre Seurat)

মাথায় অনেক গল্প আসে; কিন্তু লেখার মত পর্যাপ্ত ধৈর্য-শ্রম-অধ্যবসায় নেই। গল্পগুলোকে তাই ছোট করে কবিতা বানাই.... চিত্রশিল্পে ফ্রান্সের 'ইম্প্রেশনিজম' আন্দোলন ছিল এক ঝাঁক তরুণ-তরুণী শিল্পী'র এক অসাধারণ অ্যাডভেঞ্চার গল্পের মত ! সাহসী দৃষ্টিভঙ্গি আর বিস্ময়কর প্রতিভা (BBC'র ভাষায় 'Annoying talent' !!) দিয়ে তারা তৈরি করে যাচ্ছিলেন চিত্রশিল্পের নতুন ইতিহাস, সৃষ্টি করে যাচ্ছিলেন একের পর এক বাস্তব আর জীবন্ত সব পেইন্টিংস ! ব্যক্তিজীবনে তাদের কেউ কেউ ছিলেন ছবিগুলো'র মতই উদ্দাম আর প্রাণবন্ত, আবার কেউ ছিলেন গাঢ়-রকমের রহস্যময়। সবচেয়ে চাপা-স্বভাব আর রহস্যময় শিল্পী'র নাম নিতে গেলে সবার আগেই চলে আসবে সম্ভবত জর্জ স্যুরা' (Georges-Pierre Seurat)-এর নাম। মাত্র ৩১ বছর বয়সে মারা যাওয়া এই শিল্পী'র জীবন আর বিস্ময়কর শিল্পকর্মের বেশিরভাগই আজও রয়ে গেছে চরম রহস্যে ঘেরা ! আজ বলব 'জর্জ স্যুরা' নামে শিল্পজগতের এক বিস্ময়-বালকের কথা। ক্যানভাসে কিছু রঙের ম্যাজিক দেখার জন্য প্রস্তুত হয়ে বসুন! ইম্প্রেশনিজমের রং-ঝলমলে জগতে আপনাকে স্বাগতম ! জর্জ স্যুরা' ইম্প্রেশনিজম আন্দোলনের প্রধানতম শিল্পীদের মধ্যে পড়েন না।

বয়সের দিক থেকেও তাকে বলা যায় পিসারো, মনে', দেগা, রেনোয়া'-দের পরের প্রজন্ম। তাই তাকে রাখা হয় 'পোস্ট-ইম্প্রেশনিস্ট' কাতারে। ইম্প্রেশনিস্ট আর্টিস্টদের গল্প বলতে এসে আমি প্রধান শিল্পীদের বাদ দিয়ে হঠাৎ স্যুরা'র গল্প বলছি, এর কারণ স্যুরা'র স্টাইলের অতুলনীয়তা - আর তার ছবিগুলো'র কিছু চমকপ্রদ ফিচার ! চাপা-স্বভাবের এই ছেলে হঠাৎ এমন একটা ইউনিক স্টাইল নিয়ে হাজির হয়েছিল যে, বাঘা বাঘা ইম্প্রেশনিস্ট'রা পর্যন্ত থতমত খেয়ে গিয়েছিলেন ! আর্টের সাথে সায়েন্স মিশিয়ে সদ্য টিন-এজ পেরোনো স্যুরা' দেখাতে শুরু করলেন বিস্ময়কর এক কর্মকান্ড, যেটা দেখার জন্যে কেউই প্রস্তুত ছিলেন না! (স্যুরা'র ফটোগ্রাফ। এই একটা ছবি ছাড়া ব্যক্তি স্যুরা'কে চেনার মত আর খুব বেশি কিছু পাওয়া যায়নি !) ১৮৫৯ সালের ডিসেম্বরে স্যুরা'র জন্ম, চিত্রকলা'র স্বর্গ প্যারিসে। ১৮ বছর বয়সে তিনি ফ্রান্সের (এমনকি বিশ্বেরও) অন্যতম ঐতিহ্যবাহী আর্ট ইন্সটিটিউট École des Beaux-Arts (স্কুল অফ ফাইন আর্টস)-এ ভর্তি হন।

তবে ওই স্কুলে তার ছাত্রজীবন স্থায়ী হয়েছিল মাত্র বছরদেড়েকের মত। প্রথাগত কনভেনশনাল আর্ট তাকে টানলো না, বরং তিনি আকৃষ্ট হলেন 'ইম্প্রেশনিস্ট'দের উজ্জ্বল আর বাস্তব জীবনের দৃষ্টিভঙ্গিতে। তিনিও আঁকতে বসে গেলেন রং-ঝলমলে চেনা জগতের গল্প - কিন্তু একেবারেই ইউনিক আর অচিন্ত্যনীয় একটা ফর্মে ! তার ছবিতে ক্লদ মনে'র মত দৃঢ় ব্রাশ-স্ট্রোক নেই, রেনোয়া'র মত জীবন্ত অভিব্যক্তিও না, দেগা'র মত উজ্জ্বলতার ইল্যুশন বা সেজানের মত গাঢ় রঙের আঁচরও নেই - তিনি ক্যানভাস ভরিয়ে ফেললেন অসংখ্য অসংখ্য ঝিকিমিকি 'ডট' বা 'পয়েন্ট' (বিন্দু) দিয়ে ! কাছ থেকে দেখলে অনেকগুলো ঘন(ডার্ক) রং-এর ফোঁটা, কিন্তু ওই জিনিসই দূর থেকে দেখলে একদম 'আলোর বন্যা' ! কী মেশালেন তিনি ঐ ক্যানভাসে? উত্তরটা হল - বিজ্ঞান ! পিওর সায়েন্স ! স্যুরা'র চিত্রকর্মে বিজ্ঞানের ব্যবহারটা রীতিমত অভূতপূর্ব। অনেক ক্রিটিক মনে করেন, স্যুরা' আসলে ক্যানভাসের উপর সায়েন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট করে গেছেন; আর আমরা, মানে তার দর্শক'রা হল ওই এক্সপেরিমেন্টের গিনিপিগ ! নিচের সব'টা পড়ার পর হয়তো আপনার কাছেও ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হবে না। দর্শকদের চোখের রেটিনা'র উপর স্যুরা'র 'ডট'-এর ট্রিক আজও খেল দেখিয়ে যাচ্ছে অনবরত।

École des Beaux-Arts-এ পড়ার সময় স্যুরা' হাতে পান Charles Blanc-এর লেখা 'Grammar of the Art of Drawing' বইটা। Charles Blanc সেই সময় École des Beaux-Arts-এর ডিরেক্টর। তার বইয়ে রং ব্যবহারের নীতি'র (Laws for colors) উপর জানতে পারেন স্যুরা'। আগ্রহী শিল্পী এরপর নিজেই শুরু করেন বিস্তারিত গবেষণা। আলোর মিশ্রণ আর রঙের মিশ্রণের মাঝে দেখতে লাগলেন চমকপ্রদ পার্থক্য ! ব্যাপারটা একদম সহজ করে বলি, শাদা কাগজে রং-তুলি দিয়ে লাল রং, তার উপর নীল রং আর তার উপর সবুজ রং মেশালে - সবটা মিলে একটা গাঢ় মেরুন-টাইপের রং চলে আসে।

কিন্তু একটা কাগজে আলাদা আলাদা করে পাশাপাশি লাল, নীল আর সবুজ রং করে কাগজটাকে ফ্যানের স্পীডে জোরে ঘুরালে দেখা যায় উজ্জ্বল একটা একটা রং দেখা যাচ্ছে ! রংটা সাদা'র কাছাকাছি, খুব উজ্জ্বল বাদামীও বলা যায় ! মানে দাড়ালো - মৌলিক তিনটা রং মেশালে ফলাফলটা আসে গাঢ় একটা শেড, কিন্তু ওই তিন রঙের আলো মেশালে পাওয়া যাচ্ছে উজ্জ্বল একটা কালার ! স্যুরা' এই অসীম সাহসী কাজটা করে বসলেন ক্যানভাসে। তুলি'র কোনও রং-কে তিনি অন্য রঙের সাথে মেশালেন না, বরং প্রত্যেকটা মৌলিক রঙের অসংখ্য বিন্দু পাশাপাশি বসিয়ে দিলেন ! ফলাফল'টা কী হল নিজের চোখেই দেখুন - ছবিতে দূরের ওই কটেজগুলো দেখতে পাচ্ছেন তো? লালচে বাদামী দেয়ালের? এবার ঐ দেয়ালটা খুব কাছ থেকে দেখা যাক। একদম ম্যাগনিফাইং গ্লাসে চোখ রেখেই দেখি - চিন্তা করেন কান্ডটা ! পুরো দেয়ালজুড়ে লাল-এর পাশাপাশি নীল আর সবুজেরও অসংখ্য 'ডট'। কিন্তু যখন দূর থেকে দেখা হয়, তখন এই নীল আর সবুজ প্রায় উধাও ! তখন এদের কাজ শুধু ওই লাল-এর গাঢ়ত্ব কমিয়ে একে 'ঝলমলে লাল' করে তোলা ! কোনও রং-এর মিশ্রণ না, রংগুলো পাশাপাশি আলাদাভাবেই আছে। কিন্তু এত সুক্ষ্ণ পজিশনিং যে, ঐ তিনটা রং মিলে আমাদের রেটিনায় একটাই উজ্জ্বল রঙের ইমেজ তৈরি করে দিচ্ছে ! পিওর 'অপটিক্স' ব্যবহার করে একদম নিখুঁত একটা ম্যাজিক ! আরও উদাহরণ দেখতে পারেন - একদম ডানে দাঁড়িয়ে থাকা গোঁফওয়ালা লোকটার 'ডিটেইলস ভিউ' দেখলে - দূর থেকে মূল ছবি দেখলে তার মুখে এতগুলো ভিন্ন রঙের শেড বোঝার কোনও উপায়ই নেই ! বাকি রংগুলো আলোর তরঙ্গে ভেসে গেছে।

জাদুকর এঁকেছেন এক জিনিস আর আপনাকে দেখতে বাধ্য করছেন অন্য জিনিস ! পুরোটাই অপটিক্যাল ফিজিক্সের এক অনন্য খেলা ! অপটিক্স - এটাই ছিল স্যুরা'র চিত্রকর্মের অন্যতম প্রধান উপাদান। ছবি আঁকার জন্য কোন শিল্পী থিওরিটিক্যাল ফিজিক্সের গবেষণা করতে বসবে? এ কাজ শুধু ইম্প্রেশনিস্টদের পক্ষেই সম্ভব - ব্যতিক্রম কিছু করাটাই ছিল তাদের স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, তার ওপর স্যুরা' তো ছিলেন তাদের মাঝেও ব্যতিক্রম একজন ! স্পষ্টতই - "His interest extended beyond painting to the science of optics. Seurat embraced theories of color, studied the works of Delacroix, and learned from material published by scientists…" [Impressionism: Isabel Kuhl, Parragon Books. Page 164] ইম্প্রেশনিস্টদের গ্যালারীতে স্যুরা'র পেইন্টিং প্রথম প্রদর্শিত হয় ১৮৮৬ সালে। সেবছরই ছিল সর্বশেষ 'ইম্প্রেশনিস্ট এক্সিবিশন'। অর্থাৎ আনুষ্ঠানিকভাবে এই আন্দোলনের যখন প্রায় সমাপ্তি তখনই স্যুরা'র সবেমাত্র শুরু। স্যুরা' প্রদর্শন করলেন দুই বছর ধরে আঁকা তার বড় ক্যানভাসের (প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত) ছবি "A Sunday Afternoon on the Island of La Grande Jatte"।

প্রথম দানেই প্রায় বাজিমাত ! হঠাৎ করে মনে হচ্ছিল ইম্প্রেশনিজম-এ মনে', রেনোয়া', দেগা'রা যথেষ্ঠ ছিলেন না; আরও কিছু বাকি ছিল - সেই কিছু'টা নিয়ে এলেন এই রহস্যময় তরুণ জর্জ স্যুরা' ! A Sunday Afternoon on the Island of La Grande Jatte [1884-1885] ছবিটা সবার দৃষ্টি যেন নতুন করে খুলে দিল ! আলো নিয়ে, রং নিয়ে বিস্তর খেলাধুলা তখনও বাকি - সবাই বুঝতে পারলেন। ইম্প্রেশনিস্টদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীন এবং এই আন্দোলনের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা কামিল পিসারো'ও স্যুরা'র টেকনিক ব্যবহার করে ছবি আঁকা শুরু করলেন। স্যুরা'র টেকনিক তো পরবর্তীতে 'pointillism' বলে একটা নতুন ধারারই সূচনা করল - যে ধারায় প্রভাবিত হয়েছিলেন সমসাময়িক এবং পরের অনেক বিখ্যাত শিল্পী; খুব পরিচিতদের মধ্যে আছেন ভিনসেন্ট ভ্যান গফ। (অনেক জায়গায় দেখি Van Gogh-কে বাংলায় ভ্যান গগ লেখা হয়। তবে বৃটিশ'রা উচ্চারণ করে 'ভ্যান গফ' আর শিল্পীর মাতৃভাষা ডাচ-এ 'ফান গফ'।

আমি মনে করি, ইংরেজী শব্দের শেষে 'gh' থাকলে সচরাচর তার উচ্চারণ 'ফ'-ই হয়ে থাকে। আপনি চাইলে এর বিরুদ্ধে 'tough' যুক্তি দেখাতে পারেন, 'rough' তর্ক করতে পারেন, অথবা আমার বক্তব্যে 'laugh'-ও করতে পারেন। তবে আমার ধারণা আমি 'enough' উদাহরণ দিয়ে ফেলেছি অলরেডী) স্যুরা'র ছবিতে ফিরে যাই। উপরের ছবিটার আগে ১৮৮৩-তে স্যুরা আঁকেন 'Bathers at Asnières', যেটা ছিল তার প্রথম মাস্টারপিস। Bathers at Asnières [1883] এই দুই ছবি নিয়ে ডিটেইলস বলতে গেলে আলাদা পোস্ট লাগবে, শুধু বলে রাখি - ছবি দুটো'র খুব গ্রহনযোগ্য ব্যাখ্যা এখনও ঠিক দাঁড়ায়নি।

BBC'র ডকুমেন্টারীতে সোজা-সাপ্টা বলেই দেয়া হল - "If you ask ten art critics about Seurat, you’ll get ten different opinions. He was such a private and elusive painter…" এই ছবিদুটোকে মনে করা হয় পরস্পরের পরিপূরক। সীন নদী'র দুইপাশের দুইটা দৃশ্য। বামে বসে আছি কিছু ওয়ার্কিং-ক্লাস লোক, যারা অনেকটা নিঃসঙ্গ। আর নদীর ডানপাশে তুলনামূলক সচ্ছ্বল লোকজন। অথচ অন্য ইম্প্রেশনিস্ট শিল্পীদের ছবি'র মত স্যুরা'র ছবি'র লোকগুলো কেমন যেন স্থির, নিরানন্দ ! যেন জোর করে বসিয়ে রাখা ! কাহিনী কী? স্যুরা' তার ম্যাজিক এফেক্ট দেখানোর জন্য আরও অনেক নিরীক্ষা করতে লাগলেন।

আরেকটা চমকপ্রদ ব্যাপার বলি। আপনি যদি বেশ খানিকক্ষণ ঘন লাল রঙের দিকে তাকিয়ে থাকেন, হঠাৎ করে ঐ লাল বস্তু সরিয়ে নেয়া হলে আপনার চোখের সামনে লাল-এর বিপরীত একটা হালকা উজ্জ্বল সবুজ আভা থেকে যাবে। স্যুরা' এই ইফেক্ট অ্যাপ্লাই করে সবুজ ঘাসের মাঝে মাঝে জায়গামত অসংখ্য লাল ডট রাখলেন, যে লাল-রং খালি চোখে দৃশ্যমান হল না, কিন্তু আপনার রেটিনা ঠিকই সেই তরঙ্গ রিসিভ করে তার ইফেক্ট হিসেবে ঘাসের সবুজকে আরও উজ্জ্বল সবুজ করে তুলল ! এখনও স্বীকার করতে আপত্তি আছে, স্যুরা' দর্শকের রেটিনা নিয়ে খেলছেন না? আর স্যুরা'র ছবির মানুষগুলো'র কী যেন সমস্যা আছে। নিচের ছবিগুলো দেখুন - নৃত্য বা সার্কাসের ছবি - সবার ফূর্তি করার কথা, অথচ মানুষের মুখগুলো কেমন নিরানন্দ ! মুখে অভিব্যক্তি নিয়ে কোনও ডিটেইলস তিনি আঁকলেন না, বরং আনন্দ-নিরানন্দ বুঝালেন সরলতম রেখা দিয়ে, অনেকটা এরকম - ইম্প্রেশনিস্টদের তো এমন হওয়ার কথা না ! তারা গাইতেন জীবনের জয়গান ! সব ছবিতে উচ্ছাসের ছড়াছড়ি ! গতকালের পোস্টে দেগা'র ছবিগুলোই দেখলেন, পরবর্তীতে রেনোয়া' নিয়েও পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা আছে অবশ্যই। তাদের নিখুঁত ঝলমলে আনন্দময় ছবিগুলো দেখলেই মন-টন ভাল হয়ে যায়; এদের মাঝে থেকে স্যুরা'র এই অবস্থা কেন? তবে কি স্যুরা বোঝাতে চাইলেন আনন্দের সব উদযাপনই আসলে মেকী? অত কিছু বোঝার উপায় নেই।

নিজে থেকে কোনও কথাই বলতেন না এই রহস্যময় শিল্পী। এমনকী তার যে একটা মিস্ট্রেস ছিল, এবং একটা সন্তানও ছিল - এই কথাও মৃত্যুর ঠিক আগের দিন বাবা-মা'কে বলে যান ! তার আগ পর্যন্ত কেউই জানত না ! ছবি'র বিষয়বস্তু যাই হোক, ফর্ম আর টেকনিকে স্যুরা অনন্য কিছু কীর্তি রেখে গেছেন, যা পরবর্তী শিল্পজগতে বিস্তর প্রভাব ফেলে। এমন বিজ্ঞানময় শিল্পের কথা অতিরিক্ত প্রতিভাবান ছাড়া আর কার মাথায় আসতো? স্যুরা'র সময়কাল আর ছবির মুড হয়তো প্রধান ইম্প্রেশনিস্টদের চেয়ে একটু দূরবর্তী ছিল, তাকে মূলধারা'র ইম্প্রেশনিস্টদের সাথে এক কাতারে ফেলা যায় কিনা এসব নিয়ে কথা থাকতেই পারে; তবে ছবি'র জগতে অল্প সময় থেকেই তিনি যে ম্যাজিক ইফেক্ট দেখিয়ে গেলেন, তাতে আমি অন্তত ইম্প্রেসড ! আপনি?  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১৭ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।