ব্যাকরণের সব রীতিনীতি মেনে সাহিত্য রচনা করতে গেলে তবে তা একটা ভালো ব্যাকরণের বই হয়ে যাবে। —— তন্য শব্দগুচ্ছ ঘটনা ০১: আমাদের এলাকায় একজন অতি কদাকার মানুষ বসবাস করত। সে দেখতে এতই কুৎসিত ছিল যে, তাঁর সাথে কখনোই কেউ কথা বলত না। সে যেখানে যেত সবাই সেখান থেকে চলে যেত। কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে তাঁকে ডাকা হতো না।
বলতে গেলে সে একঘরে জীবনযাপন করত। এভাবে আস্তে আস্তে সে মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ল।
ঘটনা ০২: পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষটিকে পাঠানো হলো একটি অজানা দ্বীপে। সে দ্বীপের প্রতিটি মানুষই দেখতে প্রথম ঘটনার ঐ কুৎসিত মানুষটির মত। দ্বীপের মানুষগুলো প্রথম ঘটনায় বর্ণিত মানুষগুলোর মত আচরণ করা শুরু করল।
দ্বীপবাসী ঐ সুন্দর মানুষটির সাথে কথা বলত না, সে যেখানে যেত দ্বীপবাসী সেখান থেকে চলে যেত। দ্বীপবাসীর এমন আচরণে সে নিজেকে অস্পৃশ্য ভাবা শুরু করল। এভাবে অনেক দিন পার হয়ে যাবার পর পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর মানুষটির মনে হতে লাগল যে, সে হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে কুৎসিত মানুষ।
সুন্দরের কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা থাকা উচিত না। আসলে আমরা সবাই দেখতে প্রায় একই রকম।
তাই একটু অন্য রকম মানুষ দেখলেই আমরা তাকে কুৎসিত-কদাকার বলে ডাকা শুরু করি। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।