প্রবাসী
আন্তর্জাতিক মিডিয়া অনুসারে এই মুহুর্তে পৃথিবীর দরিদ্রতম প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন উরুগুয়ের প্রেসিডেন্ট হোসে মুইকা ( Jose Mujica )। তিনি বাস করেন রাজধানী মন্টিভিডিওর বাইরে ছোট একটা টিনের বাড়ীতে যার রক্ষী হল মাত্র দুইজন পুলিস । তার দুটো গাড়ী, ছোট একটি ফার্ম এবং সার্বক্ষনিক সঙ্গী হল তিনপেয়ে কুকুর “ম্যানুয়েলা”।
বিবিসির সাথে এক সাক্ষাতকারে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার এই প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান করে প্রেশিডেন্ট মুইকা বলেন “দরিদ্র হল সেই ব্যাক্তি যার অভাব আছে, যার আরো বেশীবেশী দরকার, আমার তো অভাব নেই, আমি আমার জীবন নিয়ে সন্তুস্ট। উন্নয়ন বলতে যা বোঝান হচ্ছে তা হল মানুষকে ক্রমাগতভাবে বেশী বেশী ভোগের দিকে ঠেলে দেওয়া যার অবশ্যম্ভাবী পরিনতি হল আর্থিক সঙ্কট।
হোসে মুইকা ২০১০ সালে বিপুল ভোটে প্রতিদ্বন্দী প্রেসিডেন্ট লুই লাকাইয়েকে( Luis Lacalle ) পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন। ৬০ এবং ৭০ দশকের এই বামপন্থী নেতা উরুগুয়ের গেরিলা গ্রুপের সদস্য ছিলেন যার সাক্ষী হিসেবে তার শরীরে আজো রয়ে গেছে ৬টি বুলেট। তিনি ১৪ বছর জেলে কাটিয়েছেন । তার মাসিক বেতন ১২,০০০ ডলারের ৯০% তিনি দান করে দেন এবং তিনি “গাঁজা”কে বৈধতা দেওয়ার পক্ষপাতী।
প্রেসিডেন্ট মুইকার মেয়াদকালের অর্থেকের বেশী সময় কেটে গেছে।
তার জনপ্রিয়তা এখন নিম্নমুখী। বিসি’র সাথে সাক্ষাতকারে মন্টিভিডিওর এক গৃহবধু বলেন “ তিনি কি রকম জীবন যাপন করেন তা নিয়ে আমার কোন মাথা ব্যাথা নেই, প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি কি করলেন সেটাই প্রধান বিবেচনার বিষয়। তার জীবনযাত্রা প্রনালী নিয়ে সমালোচনা করেন অপর এক মন্টিভিডিও নিবাসী “ একজন প্রেসিডেন্টের ন্যুনতম কিছু জীবন যাত্রা প্রনালী মেনে চলা উচিত।
দক্ষিন আমেরিকার দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ উরুগুয়ে আয়তনে বাংলাদেশ থেকে সামান্য বড় –আয়তন ৬৮ হাজার বর্গমাইল। প্রতিবেশী দেশ হল আর্জেন্টিনা।
লোকসংখ্যা ৩৩ লক্ষ যার মধ্যে ১৮ লক্ষের বাস রাজধানী মন্টিভিডিওতে। প্রধানত কৃষিভিত্তিক অর্থনীতির মধ্যম আয়ের দেশ উরুগুয়ের জনপ্রতি আয় ১৫,০০০ ডলার । দেশটির সরকারী ভাষা স্প্যানিশ এবং শিক্ষার হার ৯৮% ইউ এন,ডি,পি এর মানব উন্নয়ন সুচকে দেশটির অবস্থান উচ্চ মানে। প্রধানতঃ সমতল ভুমী এবং ছোট ছোট পাহাড়ের দেশে উরুগুয়ের আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ণ।
সুত্র-১) এখানে
২)এখানে
৩)এখানে
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।