ব্লগিং করে আনন্দ , সত্য সুন্দর শেয়ার করতে চাই Friday, 26 April 2013 07:35:49 PM
বিদেশে পালিয়েছে রানা, ব্যাংক থেকে ২৩ কোটি টাকা উত্তোলন!
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
ঢাকা: সাভারের ধসে পড়া ভবন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। আজ শুক্রবার কোনও এক সময় তিনি পার্শ্ববর্তী কোনও দেশে আশ্রয় নিয়েছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র ঢাকা টাইমসকে জানিয়েছেন, গত দুদিনে সোহেল রানা তার ঘনিষ্ঠ এক সহযোগীকে দিয়ে সাভারের বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ২৩ কোটি টাকা তুলেছেন। ধারণা করা হচ্ছে এসব টাকা নিয়ে তিনি বিদেশে পারি জমিয়েছেন।
ভবন ধসের তিনদিন পার হয়ে গেলেও যুবলীগ নেতা সোহেল রানাকে পুলিশ ও গোয়েন্দারা তার খোঁজ বের করতে পারেননি।
তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে সুনির্দিষ্ট মামলা হলেও পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে চেষ্টাও করেনি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।
সূত্র জানায়, তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে স্রেফ আইওয়াশ হিসেবে। তাকে গ্রেপ্তারের কোনোই উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তাদের ধারণা হয়ত এই ঘটনায় ওই ভবনের পোশাক কারখানার মালিকদের গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু ধরাছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাবেন ভবন মালিক যুবলীগ নেতা সোহেল রানা।
জানা গেছে, স্থানীয় সংসদ সদস্য তৌহিদ জং মুরাদের আস্থাভাজন হওয়ায় সে পার পেয়ে যেতে পারেন। কারণ, ঘটনার পর এমপি মুরাদ নিজেই তাকে জনরোষ থেকে উদ্ধার করে নিরাপদ দূরুত্বে পাঠিয়ে দেন।
গত বুধবার সাভার থানায় রানাসহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে দু’টি মামলা হয়। এর মধ্যে রানার বাবা আব্দুল খালেকও রয়েছেন। বাকি তিনজন হলেন, গার্মেন্ট মালিক আনিসুর রহমান, আদনান ও তাপস।
একটি মামলা দায়ের করেছে রাজউক। ওই মামলায় রানাই শুধু আসামি। বাকি মামলাটি হত্যা মামলা। ওই মামলায় পাঁচজন আসামি।
জানা গেছে, সরকারের শীর্ষ মহলের চোখ ফাঁকি দিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়েছেন।
সব মহলে প্রশ্ন উঠেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে কীভাবে রানা বিদেশে চলে যেতে পারে। অনেকেই বলছেন, সরকারের উপর মহলের ইঙ্গিতেই হয়তো পালানোর সুযোগ পেয়েছে রানা।
এ বিষয়ে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান ঢাকা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডট কমকে বলেন, সোহেল রানাকে আমরা হন্যে হয়ে খুঁজছি। এ ছাড়া আরও ৫ মালিকের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে। তাদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সোহল রানা সাভারের বিধ্বস্ত রানা প্লাজার মালিক ও পৌর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। কিন্ত এনিয়ে চলছে নানা বিতর্ক। স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী বলছেন রানা যুবলীগের কেউ নন। কিন্তু রানা যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে সাভারের বিভন্ন জায়গায় স্থানীয় সাংসদের ছবি ব্যবহার করে পোষ্টারিংও করেছে। রানা মানিকগঞ্জ থেকে সাভারে এসে গত ২০ বছরে অন্যতম ধনী পরিবারে পরিণত হয়েছে।
রানার বিরুদ্ধে সাভার এলাকায় হত্যা-সন্ত্রাসের একাধিক অভিযোগ রয়েছে, তবে থানায় কোনো মামলা নেই।
২০০৩ সালে একটি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রানা। ২০০৮ সালে রানা প্লাজার অভ্যন্তরে নিহত যুবলীগ নেতা গাজী আবদুল্লাহ খুনের মামলায় এক নম্বর আসামি ছিলেন তিনি। তবে তদন্তের পর পুলিশের অভিযোগপত্র থেকে রানার নাম বাদ পড়ে যায়। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ভিপি হেলাল গুম ও হত্যার অভিযোগ রয়েছে।
তবে সে মামলার আসামির তালিকায়ও রানার নাম ছিল না। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, ভিপি হেলালের জায়গা দখল
উল্লেখ্য, বুধবার সাভার বাজারের কাছে নয় তলা ভবনটি ধসে পড়ে। আগের দিন ভবনটিতে ফাটল ধরায় সেখানে ব্যাংক, বিপণী বিতান এবং পোশাক কারখানায় ছুটি দেয়া হয়। কিন্তু বুধবার অন্যসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হলেও পোশাক মালিকরা কারখানা খুলে দিয়ে শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে বাধ্য করা হয়। কাজে যোগ না দিলে শ্রমিকদের তিন দিনের বেতন কাটার হুমকি দেয়া হয়।
ফাটল ধরার পর মিলাদ পড়ানো হয়েছে, কাজেই ভবনটিতে আর কোনো ঝুঁকি নেই, এমন প্রবোধও দেয়া হয় শ্রমিকদের।
(ঢাকাটাইমস/এপ্রিল২৬/এমএম/১৯.৩৫ঘ.) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।