একবার আটকাইলে আর খুলে না সৃজনশীলতা প্রায়ই মানসিক অসুস্থতার একটা অংশ হিসেবে প্রকাশ পায় বলে জানা গেছে সুইডেনের ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট ১০ লাখেরও বেশি লোকের ওপর করা এক গবেষণায়। খবর বিবিসির।
ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট-এর সুইডিশ গবেষকরা জানান, লেখকদের মধ্যে হতাশা, সিজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার ডিজঅর্ডার ও ইউনিপোলার ডিজঅর্ডার বেশি দেখা যায়। সাধারণ মানুষের তুলনায় তাদের মধ্যে আত্মহত্যা প্রবণতা প্রায় দ্বীগুণ। নৃত্যশিল্পী ও ফটোগ্রাফাররা বাইপোলার ডিজঅর্ডারে ভোগে।
বিশেষ করে ঔপন্যাসিক ভার্জিনিয়া উলফ, কল্পকাহিনী লেখক হ্যান্স ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন, লেখক সাংবাদিক আরনেস্ট হেমিংওয়ে, নাট্যকার গ্রাহাম গ্রিন প্রমুখ এর বড় উদাহরণ। এরা সবাই বিভিন্নভাবে হতাশাগ্রস্ত ছিলেন এবং একসময় আত্মহত্যার পথ বেছে নেন।
ড. সায়মন কিয়াগার মতে, বাইরের জগতের এই হতাশা বা খাপ খাওয়াতে না পারার প্রবণতার জন্যই তারা নিজেদের সৃজনশীল জগতের প্রতি পুরোপুরি মন দিতে আগ্রহী হন। বেশিরভাগ মাস্টারপিসগুলোর প্রেরণা মূলত সিজোফ্রেনিয়ার অগোছালো চিন্তার ফসল।
ইনফরমেশন অফ মাইন্ড-এর প্রধান বেথ মারফি জানান যে, যারা সৃজনশীল কাজ করেন, তাদের বাইপোলার ডিজঅর্ডার থাকাটা স্বাভাবিক এবং এটা অনেক ক্ষেত্রে সাহায্য করে।
কেননা তারা তখন নিজের কাজের প্রতি বেশি মনযোগী থাকে। আমরা যদিও এধরনের মানসিকতার ব্যক্তিদের প্রতি খুব বেশি আগ্রহী থাকি না, কিন্তু নিজেদের জায়গায় তারা খুব দৃঢ় সৃজনশীল মানসিকতার অধিকারী হন।
সূত্রঃ বিডিনিউজ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।