আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রূপকথার এক আবাল এবং কিছু দুঃখবোধ :’(

রুপকথার এক আবাল . . . . বেশ কিছুদিন ধরে একটি মোবাইল অপারেটর কম্পানি (সম্ভবত বাংলালিঙ্ক) একটি বিজ্ঞাপন ইলেট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে। থিমটা এরকম, একজন চাকুরে চাকরি চলে যায়, পরে তাকে ক্ষমা করে দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়, তখন কোম্পানীর এমডি তাকে সাদরে গ্রহন করার পাশাপাশি এমন সব সুবিধা দেয়ার কথা বলে, যেমন প্রমোশন, কম্পানির ৫০% শেয়ার দেয়া আর আব্লা আব্লা…………! সাথে বলে যে আপনাকে প্রতিদিন অফিসে আসতে হবে না, মাঝে মাঝে আসবেন গল্পগুজব করার জন্য……………! অথবা ৩ মাসের ছুটি নিয়ে দুরে কথাও ঘুরে আসুন। ” অ্যাট লাস্ট ফিনিশিং হইল বাস্তবে কেউ আপনাকে এমন সুবিধা না দিলেও বাংলালিঙ্ক দিচ্ছে এমনি এক রুপকথার অফার…………আব্লা আব্লা! এবার আপনাদের বলি সত্যিকারের রুপকথার এক চরিত্রের(পড়ুন আবালের) কথা, মশিউর রহমান, প্রধান মন্ত্রির অর্থ বিষয়ক উপদেশটা, পদ্মা সেতু প্রকল্পের ইন্টিগ্রিটি টি অ্যাডভাইজার। বিশব ব্যাংকের প্রকল্পে আপত্তি জানানর অন্যতম কারন দুর্নীতি সংশ্লিষ্ট এই কর্মকর্তাকে অপসারণ না করা, বহু কাহিনির পর এই আবাল কে ছুটিতে পাঠানো হল, সপ্তাহ খানেক আগে আবার ফিরে এলে তাকে এবার দীর্ঘ ছুটিতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চেষ্টা চলছে। যাক, এবার বুঝলেন তো রুপকথার চেয়ে অবিশাসস অবস্থায় আছি আমরা‘!!!!! আসলে এই দেশে অবিশাসস কিছু নাই, সব সম্ভবের দেশে আছি, এখানে ৪০০টাকার ঋন শুধ করতে না পেরে ৭৫বছর বয়সী বৃদ্ধকে জুতার মালা গলায় ঘুরতে হয়, বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ায় কৃষক কে কোমরে দড়ি পরে পুলিশের ঠেংগানি খেতে খেতে থানার খোয়াড়ে ঢুকতে হয়।

আবার এই দেশের ই অর্থমন্ত্রি নামক আবাল ৪হাজার কোটি টাকার অর্থ-কেলেংকারির পর হাসি মুখে বিবৃতি দেন, ৪হাজার কোটি টাকা এমন বেশি টাকা নয় যে তাকে নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হতে হবে’ বাহ, সত্যি ই তো, ৪হাজার কোটি টাকা আর কয় টাকা, ৪ এর পর কয়টা শুন্য বসে, তা হাতে না গুনে বলার বলার যোগ্যতা ই তো আমার নাই, আমি কি বুঝব? জননেত্রি শেখ হাসিনাকে ঘিরে থাকা আবাল গুলাই সব বুঝে, এবং প্রমান ও করে দেয়, তাদের শরীরের বিশেষ জায়গায় পর্যাপ্ত পরিমান চুলের অভাব রয়েছে। আমি এত টুকুই বুঝি, যে লোকটা বুকে পিঠে “স্বৈরাচার নিপাত যাক,গনতন্ত্র মুক্তি পাক” স্লোগান লিখে নিজের জীবন দিয়েছিল, সেই শহীদ আত্মা এর চেয়ে বেশ ডিজার্ভ করে। যে দেশকে ভালবেসে নিজের জীবনটা দিয়ে গেছেন, নিশ্চই তিনি এখন এখানেই তাকিয়ে আছেন, প্রিয় দেশের দিকে, তিনি দেখছেন গনতন্ত্র মনা!! এইসব আবাল দের , যারা চারশ আর চার হাজার কোটি টাকার পার্থক্য কোথায় তা আমাদের বোঝানো। তার হয়তো একটু অপরাধবোধও হয় নিজের পরিবারকে এভাবে ঠকিয়ে দেশের জন্য জীবন দেয়ায়, উনি হয়তো আমাদের নির্লিপ্ততা দেখে অবাক হন, দুঃখিত শহীদ নুর হোসেন, আমরা অনেক চতুর, আমরা চোখ বন্ধ করে বসে থাকি, আমরা ক্রমাগত পিছিয়ে যাই আবাল দের জায়গা করে দেই, পেছনে দেয়াল ঠেকে গেলে আমরা দেয়াল টাকেই সরিয়ে আর পেছনে নিয়ে যাই, তবু আমরা চোখ খুলি না, তবু আমরা সামনে তাকাই না। আমাদের ক্ষমা করুন শহীদ নুর হোসেন, আমাদের ক্ষমা করুন।

:'( ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১২ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।