অধূমপায়ীদের স্বাস্থ্যরক্ষায় আগামী ১ মাসের মধ্যে সকল পর্যটন স্থাপনা ধূমপানমুক্ত করা হবে, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত মন্ত্রী মো.ফারুক খান এমপি আজ ১০ নভেম্বর সকালে সিরডাপ মিলনায়তনে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ ইকো-টুরিজ্যম সোসাইটি-র উদ্যোগে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশকে একটি পরিবেশ বান্ধব পর্যটনের দেশ হিসেবে গড়ে তোলারও আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট- সভাপতি আবুল হাসানের সভাপতিত্বে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে টুরিজ্যম ও হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. কামরুল হাসান, আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-র সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন, পর্যটন বিশেষজ্ঞ ফারুক হাসান, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম এবং টুরিজ্যম সোসাইটির সভাপতি জিয়াউল হক হাওলাদার প্রমুখ।
মন্ত্রী ফারুক খান বলেন, পর্যটন স্থাপনা ধূমপানমুক্ত করার পাশাপাশি সব স্থাপনায় ধূমপানমুক্ত এলাকা শীর্ষক সাইনবোর্ড লাগানো বাধ্যতামূলক করা হবে। যাতে সবাই ধূমপানমুক্ত এলাকা সম্পর্কে অবহিত হয়।
পাশাপাশি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন কিভাবে কার্যকর করা যায় সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে অলোচনা করবো। এছাড়া বিদ্যমান আইনকে শক্তিশালী ও দ্রুত সংশোধন করতে সংসদে কথা বলবেন বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন ।
ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. জসিম উদ্দিন বলেন, পরোক্ষ ধূমপানের কারনে শিশু ও নারীদের ক্যান্সার, স্ট্রোক, হৃদরোগসহ নানা রকম রোগের প্রকপ বেড়ে যায়। তাই পর্যটন কেন্দ্রগুলো ধূমপানমুক্ত রাখা আবশ্যক। কারণ এসব স্থানে নারী-শিশুসহ অধূমপায়ীরা যাতায়াত করে।
এডভোকেট সৈয়দ মাহবুবুল আলম বলেন, ধূমপায়ীর ধূমপানের ফলে অধূমপায়ীর অধিকার ক্ষুন্ন হয়। বাংলাদেশ প্রায় ১ কোটি নারী পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে পরোক্ষ ধূমপানের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতি হতে মানুষকে রক্ষায় ধূমপানমুক্ত স্থানের পরিধি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশে অনেক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। এ অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি কার্যকর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে জনগনকে আইন পালনে দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন।
কেননা আইন প্রয়োগ অপেক্ষা আইনের পালণ জরুরি।
পর্যটন বিশেষজ্ঞ ফারুক হাসান, পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ পাবলিক প্লেস ও পরিবহন ধূমপানমুক্তকরণসহ ইকো-টুরিজ্যম ব্যবস্থা নিশ্চিত করছে। উন্নত দেশের আদলে আমাদেরও এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। পর্যটকদের ভ্রমনকে স্বাচ্ছন্দময়, আন্দনদায়ক ও বিনোদন কেন্দ্রিক করতে শুধুমাত্র স্থাপন নয় বরং কক্সবাজার সী-বীচের প্রাকৃতিক স্থান এবং ঐতিহাসিক স্থাপনা সম্পূর্ণ ধূমপানমুক্ত করা প্রয়োজন।
বক্তারা বলেন, সারা বিশ্বের পাশাপাশি বাংলাদেশেও ধূমপান বিরোধী আন্দোলন ক্রমান্বয়ে জোরদার হচ্ছে।
সরকারী ও বেসরকারী উদ্যোগে সৃষ্টি হচ্ছে ধূমপানমুক্ত স্থাপনা। ধূমপান ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের ক্ষেত্রে ধূমপানমুক্ত স্থানের পরিধি আরো বৃদ্ধি করতে হবে। ধূমপানমুক্ত স্থানে কোন ধরনের ধূমপানের স্থান রাখা যাবে না। অনুষ্ঠােেন আরো বক্তব্য রাখনে, সিটিজেন রাইটস মুভমেন্টের তুষার রহমান, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের হেলাল আহমেদ, নিরাপদ ডেভলাপমেন্ট ফাউন্ডেশনের ইবনুল সাইদ রানা প্রমুখ। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।