চারটি টিভি চ্যানেলের অনুমোদন দেবার জন্য সরকার সমস্ত
ছাড়পত্র প্রদান করেছে।
তন্মধ্যে
রূপায়ন গ্রুপ এর একটি।
সোনার দেশ, শেখ সোহেল ভাইয়ের একটি।
এমপি কামাল মজুমদার এর আরেকটি। মোহনা নিউজ।
এবং
আমার একটি।
ওয়ার্ল্ড টিভি।
প্রায় সাড়ে চারশত আবেদনের মধ্যে সমস্ত ছাড়পত্র পাওয়া এই চারটি টেলিভিশন চ্যানেল এখন অপেক্ষারত আছে তথ্য মন্ত্রনালয়ের মূল পত্রটি প্রাপ্তি স্বীকারের জন্য।
তথ্য মন্ত্রনালয় বিধিমালা সংশোধনের শেষ পর্যায়ে রয়েছে আর সেটি সু সম্পন্ন হলেই, বাকি কাজ সমাপ্ত হবে।
সিঙ্গাপুরে একটি টিভি চ্যাণেলের অনুমোদনের জন্য সময় লাগে
মাত্র ৬ সপ্তাহ আর নেপালে লাগে চারে তিন মাস।
সরকারি ফি
যথাক্রমে - ৫ হাজার ডলার আর সাড়ে তিন লক্ষ টাকা।
জার্মান সরকার প্রতিটি টিভি চ্যানেলকে ইনসেনেটিভ দেয় ৫০ ভাগ।
অর্থাৎ
১ কোটি টাকার অনুষ্ঠান একটি জার্মান টিভি চ্যানেল বানালে
৫০ লাখ টাকা দেয় সরকার।
আর ,
আমাদের দেশে একটি টিভি চ্যানেলের জন্য আবেদন করে
৩ বছর ৭ মাস কেটে গেলো।
বড়ই দুঃখের , যন্ত্রনাদায়ক, বিষাদময়, তিক্ত এ অভিজ্ঞতা।
তবুও, সরকারকে ধন্যবাদ জানাই , সমস্ত ছাড়পত্র দেবার জন্য।
এই সরকারের ক্ষমতায় আসার প্রথম দিকে আমি একটি টিভি
চ্যানেলের অনুমোদনের জন্য আবেদন করি।
তথ্য মন্ত্রনালয় সরাসরি অনুমোদন দিতে পারে না।
অনুমোন দেবার আগে সরকারি নিয়ম অনুসারে
যারা অনুমোদন চাইছে-
তাদের ব্যপারে তদন্ত করবার জন্য ফাইল পাঠানো হয়
স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রনালয়-এ।
স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রনালয় পূনরায় তা প্রেরণ করে এস, বি, এন এস আই এবং
ডিজি ডিএফ আই এর কাছে।
এস, বি - স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়-এর অধীনস্থ একটি গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান।
এন, এস আই, স্বরাষ্ট্রের অধীনস্থ নয়। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের
অধীনে কাজ করে।
আর - ডিজিএফআই , বাংলাদেশের সর্বোচ্চ , সুকঠিন, গোপনীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
ডিজিএফআই প্রধান-এর সরাসরি বস দুইজন।
একজন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা জনাব তারেক সিদ্দিকী। তিনি শেখ রেহেনা আপার দেবর। আর মাননীয় প্রধাণমন্ত্রী নিজে।
ডিজিএফআই আর কারো অধীনস্থ নয়।
সাধারন চোখে প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়-এর অধীনস্থ হলেও
তারা প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়-এর কাছে দায়বদ্ধ নয়।
যা ই হোক-
৪ মাসের মধ্যে এস বি , এন এস আই এর ছাড়পত্র পাবার পর
ডিজিএফআই এর ছাড়্পত্রের জন্য স্বরাষ্ট্রের ছাড়পত্র ও আটকে থাকে দীর্ঘ ৩ বছর।
এই দীর্ঘ সময়ে আমি মেজর থেকে মেজর জেনারেল,
৯ জন এমপির সুপারিশ সহ নানাভাবে তদ্বির চালাই।
অবশেষে প্রধানমন্ত্রী বরাবর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এবং
নানারুপ চেষ্টা , প্রচেষ্টায় পাই ডিজিএ্ফআই এর ছাড়পত্র ।
৫/৬ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তদন্ত করেন ।
তদন্ত শেষ হতে হতে আমার আর আমার কোম্পানির প্রাণ-বায়ু
বেরিয়ে যাবার অবস্থা।
যমুনা গ্রুপ, আশিয়ান সিটি সহ আরো অনেক নামকরা গ্রুপ অব কোম্পানি একটি টিভি চ্যানেলের জন্য আবেদন করে সাড়া পায় নি।
কয়েকটি গ্রুপ - যারা কয়েক হাজার কোটি টাকার ব্যবসা চালায়-
এখনো ডিজিএফআই ছাড়পত্র আনতে পারে নাই।
যা ই হোক-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ, আমাদের কাজ, চেষ্টা , মেধা . সততা , স্বপ্ন , তারূন্য - সমস্ত বিষয়কে মূল্যায়ন করবার জন্য।
এই পর্যন্ত আমরা এসবি, এন এস আই, ডিজিএফআই, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়, এবং সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের ছাড়পত্র লাভ করেছি।
তথ্য মন্ত্রনালয়ের বিধিমালা সংশোধন চূড়ান্ত হলেই আমাদের অনুমোদনের চিঠি টি আমরা পাবো।
এস বি , এন এসআই , ডিজিএফআই, সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সাহারা আপা,প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মহাপরিচালক কবির বিন আনোয়ার, মহাপরিচালক মাহমুদুর রহমান,ডিপিএস মনিরন নেসা,ডিজি ২ নিলুফার আপা , মূখ্য সচিব মহোদয়, সচিব মহোদয়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রনালয়ের সচিব মহোদয় আসাদুজ্জামান সাহেব, খালেদা আপা, জাহিদ ভাই, সাবেক ডিজিএফআই প্রধান
মেজর জেনারেল খালেদ আল মামুন, এমপি সানজিদা আপা,
সবাইকে ধন্যবাদ।
'
আরো ধণ্যবাদ জানাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বড় জায়ের ছেলে
ইন্জিনিয়ার সান্টু ভাই, জয় ভাইয়ের চাচাতো ভাই বকুল এবং শামীম ভাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ক্লাসমেট মুক্তা মজলিস খান, নিলুফার মতিন, রওশান আরা সহ আরো তিনজন বান্ধবীকে , আমাকে আমার গন্তব্যে পৌছার জন্য উৎসাহিত করাতে।
ওয়ার্ল্ড টিভি আবার টিভি স্ক্রীনে দেখতে পাবেন আপনার ।
এবার কমার্শিয়ালি।
টিভি চ্যানেলের অনুমোদন এতো সুকঠিন হবার মূল কারন হলো এর বাজার মূল্য ।
বৈশাখি টিভি চ্যানেল ১৫ কোটি টাকায় তৈরি হয়ে
১১০ কোটি টাকায় বিক্রয় হয় মাত্র ৩ বছর পর।
জমির মূল্য বাড়ে ৩ বছরে ২ গুন।
টেলিভিশনের ৩ বছরে ১৫ গুন।
আর , তাছাড়া , এটি পলিটিকাল ইস্যুতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন্ ভূমিকা পালন করে।
অপেক্ষা করুন প্রিয় দর্শক-
আমরা আবার আসছি...
আবদুল্লাহ-আল-মাসুম (রাসেল)
কবি, নির্দেশক,গীতিকার,সুরকার, আলোকচিত্রশিল্পী, দার্শনিক
ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ব্রডকাষ্টিং ইঞ্জিনিয়ার,
ওয়ার্ল্ড টিভি লিঃ
http://www.worldtvbd.webs.com
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।