আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মওদূদী ফেৎনা ও জামাত শিবির

মুক্তিযুদ্ধ আমাদের অহংকার, ধর্মান্ধতা ও দলান্ধতা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। লেখাটার শুরুতে আমি আমার সব চাইতে প্রিয় ব্যক্তি আমার বাবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের অশেষ মেহের বানী ও বাবার উছিলায় মওদূদী ফেৎনা থেকে রক্ষা পাবার শিক্ষা পেয়েছি। দ্বিতীয় কৃতজ্ঞতা জানাই আমার ফেসবুক বন্ধু জনাব রি-হোসাইনকে আমার ল্যাপটপ চুরি হয়ে যাওয়াতে মওদূদী বিষয়ে অনেক তথ্য আমার হাত ছাড়া হয়ে যায়, ফেসবুক বন্ধু জনাব রি-হোসাইনের একটি পোষ্ট থেকে আমার হারিয়ে যাওয়া মওদূদী বিষয়ে কিছু তথ্য পাওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। আজ থেকে দশ/ বার বছর আগের ছোট্র একটা ঘটনা দিয়ে শুরু করছি , একদিন কিছু প্রয়োজনীয় বই কেনার উদ্দেশ্য নিয়ে নীলক্ষেত যাওয়ার পথে বলাকা সিনেমাহল পার হবার সময় মাঝ বয়সী এক লোক বলল মামা ঝাক্কাছ কিছু বই আছে নিয়ে যান বলে কিছু বুঝে উঠার আগেই কয়েকটা বই হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল মামা মাত্র পঞ্চাশ টাকা, আমার সাথের এক বন্ধু তার হাতে ত্রিশ টাকা দিয়ে বলল মামা আমরা ঢাকা কলেজের ছাত্র। লোকটা আর কথা না বাড়িয়ে চলে গেল, তার পর নীলক্ষেত থেকে প্রয়োজনীয় বই কিনে বাসায় ফেরার পথে মাঝ বয়সী লোকটার ধরিয়ে দেয়া বই গুলির বিষয়ে বন্ধুর কাছ থেকে বিস্তারিত জ্ঞান লাভ করি।

আর এটাই ছিল আমার জীবনে প্রথম চটি বই পড়ার বা কেনার অভিজ্ঞতা। অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে মওদূদী ফেৎনার সাথে চটি বইয়ের যোগ সূত্র কোথায় ? প্রিয় পাঠক ও বন্ধুরা আপনারা যদি লক্ষ্য করেন তাহলে দেখবেন জামায়ত-ই –ইসলামি বাংলাদেশ এর ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবির যখন কাউকে তাদের দলে ভেড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেয় তখন প্রথমে তারা উক্ত ব্যক্তিকে বা কোমলমতি ছাত্রকে মওদূদীর লেখা চটি সাইজের বিভিন্ন বই পড়তে দেয়, এবং মওদূদী চটি পড়ানোর কাজটা চলে অনেক অনেক দিন। অথাৎ শুরুতেই কোমলমতি কিশোরদের মাঝে সৃষ্টি করে ভ্রান্ত আকিদার মওদূদী চটির চিকিৎসা নষ্ট করে দেয়া হয় সত্য মিথ্যা পরখ করার ক্ষমতা। উদাহর সরুপ মনে করুন একটি শিশু যে জন্মের পর মায়ের কাছে বা পরিবারের অন্যদের কাছ থেকে শুনেই কে তার বাবা তা জানতে শিখে যখন এই শিশু বড় হয়ে যৌবনে পা দেয় তখন যদি কেউ তার বাবাকে দেখিয়ে তাকে বলে এই লোক তোমার বাবা নয় তখন কি সেই বিগত দিনের শিশু আজকের যুবক বা যুবতী তা মানবে? অথবা আপনাকে আমাকেও যদি আমাদের বাবাকে দেখিয়ে কেউ বলে এই লোক আমার বাবা নয় আমি কি মানবো? উত্তর আমি আপনি আমরা কেউ তা মানবো না। ঠিক মওদূদীর ব্যাপারটাও জামাত শিবিরের জন্য একই রকম বিগত দিনের সেই শিশু আজকের যুবক/যুবতীদের মত, তাহলে এবার আসুন দেখি মওদূদীর কিছু মনগড়া কোরআন হাদীস সুন্না বিরুধী তথ্য।

১। পবিত্র কোরআন: ইসলাম “মহান আল্লাহ পাক উনার কোন ক্ষেত্রে জুলুমের আশঙ্কাজনিত কোন বিধান দেননি। ” (সূরা ইউসুফ, ৪৪) মওদুদী, “যে ক্ষেত্রে নর নারীর অবাধ মেলামেশা, সে ক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ পাক, উনার আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম। ” (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা) ২। ফেরেশতা সম্পর্কে পবিত্র কোরআন: “ ফেরেশতাগণ নূরের তৈরি ।

তারা স্ত্রী বা পুরুষ নন। ফেরেশতাদের খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। সর্বদা তারা ইবাদতে মশগুল থাকেন। ” (শরহে আকাইদে নছফী, ৩২২ পৃষ্ঠা) মওদুদী “ফেরেশতা প্রায় ওই জিনিস যাকে গ্রিক, ভারত ইত্যাদি দেশের মোশরেকরা দেবী-দেবতা সি'র করেছে। ” (তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা) ৩।

আম্বিয়ায়ে আলাইহিমুস সালাম সম্পর্কে পবিত্র কোরআন: “ সকলনবীগণ নিষ্পাপ; তারা কোন গুনাহ করেননি। ” (তরজুমানুস সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা) মওদুদী , “নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবীই গুনাহ করেছেন। ” (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা) পবিত্র কোরআন: “নবীগণ কখনও খবীছ নফসের দ্বারা আক্রান্ত হননি। ” মওদুদী, “নবীগণ বহুবার খবীছ নফসের আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন।

” (তাফহীমাত, ১ম খন্ড, ১৬৩ পৃষ্ঠা) পবিত্র কোরআন:“নবীগণ আপন দ্বীনের উপর সি'র ছিলেন। উনারা কখনও মানবীয় দুর্বলতার শিকার হননি। ” মওদুদী বলে, “কোন কোন নবী দ্বীনের চাহিদার উপর সি'র থাকতে পারেননি। বরং উনারা আপন মানবীয় দুর্বলতার কাছে হার মেনেছেন। ” (তাফহীমুল কুরআন, ২য় খণ্ড, ৩৪৪ পৃষ্ঠা) পবিত্র কোরআন: “নবীগণ মহা সম্মানিত সর্বোত্তম মানব।

উনাদের দোষ বর্ণনা করা হারাম। ” (তাফসীরুল কামালাইন, ৪র্থ খণ্ড, ৪ পৃষ্ঠা) মওদুদী , “(নবী হোক, ছাহাবা হোক), কারো সম্মানার্থে উনাদের দোষ বর্ণনা না করাকে জরুরী মনে করা আমার দৃষ্টিতে মূর্তিপূজার শামিল। ” ইসলামী চাল-চলন সম্পর্কে ------------------------------- **ইসলাম ইসলামী পোশাক-পরিচ্ছদ-প্রকৃতি চাল-চলন ইত্যাদি গ্রহণ করো। এসব ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করবে না। (এমদাদুল মুফতিয়ীন, ২য় খণ্ড, ১৫৪ পৃষ্ঠা) **মওদুদী , পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আকৃতি-প্রকৃতি চুল কার্টিং ইত্যাদির ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করাতে দোষ নেই।

(তরজুমানুল কুরআন, ছফর সংখ্যা, ১৩৬৯ হিজরী) দাড়ি রাখা সম্পর্কে -------------------- **ইসলাম , এক মুষ্টি পরিমাণ দাড়ি রাখা ওয়াজিব। কেটে ছেঁটে এর কম করা হারাম। (বুখারী শরীফ, ৭৫ পৃষ্ঠা, মুসলিম শরীফ, ১২৯ পৃষ্ঠা, আবু দাউদ শরীফ ২২১ পৃষ্ঠা) **মওদুদী বলে, দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই। হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়।

(রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা) সুন্নত সম্পর্কে ------------------- **ইসলাম বলে, মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদত, আখলাক ও স্বভাব-চরিত্র আমাদের অনুকরণের জন্য উত্তম নমুনা বা সুন্নত। (বুখারী শরীফ, ২য় খণ্ড, ১০৮৪) **মওদুদী, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদত, আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরনের বিদয়াত ও মারাত্মক ধর্ম বিগড়ন। (রাছায়েল মাছায়েল, ২৪৮ পৃষ্ঠা) যাকাত সম্পর্কে ------------------ **ইসলাম যাকাত আদায়ের জন্য তামলীকে ফকীর (দরিদ্রকে মালিক বানানো) জরুরী। (মাকছুত, ২য় খণ্ড, ২০২ পৃষ্ঠা) **মওদুদী যাকাত আদায়ের জন্য তামলীকে ফকীর জরুরী নয়। (তরজুমানুল কুরআন, যিলহজ্জ সংখ্যা, ১৩৭৫ হিজরী) সেহেরী সম্পর্কে ----------------- ইসলামে সাহরীর শেষ সীমা সুবহে সাদিক।

সুবহে সাদিক হওয়ার পর পানাহার করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। (তিরমিযী শরীফ, ১২৫ পৃষ্ঠা) মওদুদী সাহরীর জন্য এমন কোন শেষ সীমা নির্দিষ্ট নেই, যার কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট এদিক ওদিক হলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। (তাফহীমুল কুরআন, ১ম খন্ড, ১৪৬ পৃষ্ঠা) রাস্ট্রের কর্তৃত্ব আকাংক্ষা -------------------------------- **হাদীস “নেতৃত্বের আকাংক্ষা করোনা। কেননা তোমরা যদি নেতৃত্বের আকাংক্ষা করে তা পাও তবে সে দায়িত্ব তোমাদের একাই পালন করতে হবে। কিন্তু আকাংক্ষা না করেই যদি তোমরা নেতৃত্ব পাও তবে তোমরা সাহায্য পাবে (আল্লাহর কাছ থেকে)।

” - মুসলিম, ৪৬৯২ **মওদুদী কর্তৃত্বের আকাংক্ষা ছাড়া কোন দর্শণে আস্থাজ্ঞাপন করার কোন অর্থ নেই, এবং কোনটি আইন সম্মত বা কোনটি নিষিদ্ধ অথবা নির্দেশিত আইন, কোনটিরই কোন মানে নেই। " - তাজদীদ উদ দ্বীন, পৃষ্ঠা ৩২ – ৩৩ যুদ্ধবন্দী মহিলা -------------------------- “অবশেষে যখন তাদেরকে (কাফিরদের) পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও (এবং মুক্তি দাও) । ” - সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ৪ **মওদুদী “এমনকি বর্তমান যুগেও যুদ্ধবন্দী মহিলাদের সৈনিকদের মধে বন্টন করে দেয়া উচিৎ এবং সৈন্যদেরকে তাদের (মহিলাদের) ভোগ করার অনুমতি দেয়া উচিৎ। বিভিন্ন নবী সম্বদ্বে মওদুদীর মন্তব্য ---------------------------------------- >>দাউদ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত দাউদ (আ.) এর কাজের মধ্যে নফস ও আভ্যন্তরীন কুপ্রবৃত্তির কিছুটা দখল ছিল।

অনুরুপভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথেও তার কিছুটা সম্পর্ক ছিল। আর তা ছিল এমন ধরনের কাজ, যা হক পন্থায় শাসনকারী কোন মানুষের পক্ষেই শোভা পায়না। ” [তাফহিমুল কোরআন(উর্দু):৪র্থ খন্ড, সুরা সাদ, ৩২৭পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং] “হযরত দাউদ (আ.)ত-কালীন যুগে ইসরাঈলী সোসাইটির দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে এক বিবাহিতা যুবতীর উপর আসক্ত হয়ে তাকে বিবাহ করার জন্য তার স্বামীর নিকট তালাক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন” [তাফহিমাত ২য় খন্ড: ৪২পৃ. ২য় সংস্করণ ; নির্বাচিত রচনাবলী(বাংলা) ২য় খন্ড, ৭৩ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম প্রকাশ ১৯৯১ইং] >>হযরত নূহ (আ.) সম্পর্কে: “হযরত নূহ (আ.) চিন্তাধারার দিক থেকে দ্বীনের চাহিদা হতে দূরে সরে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে জাহিলিয়াতের জযবা স্থান পেয়েছিল। ” [তাফহিমুল কোরআন: ২য়খন্ড, ৩৪৪পৃ. ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং] >>হযরত ইউনুস (আ.) সম্পর্কে: “হযরত ইউনুস (আ.) থেকে রিসালাতের দায়িত্ব আদায় করার ব্যাপারে কিছু দুর্বলতা হয়ে গিয়েছিল।

সম্ভবত তিনি ধৈর্যহারা হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আপন স্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন। ” [তাফহিমুল কোরআন: ২য়খন্ড, সূরা ইউনুস (টিকা দ্রষ্টব্য) ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং] >>হযরহ আদম (আ.) সম্পর্কে: “হযরহ আদম (আ.) মানবিক দূর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি শয়তানী প্রলোভন হতে সৃষ্ট তরি- জযবায় আত্মভোলা হয়ে নিজ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। ফলে আনুগত্যের উচ্চ শিখর হতে নাফারমানীর অতল গহ্বরে গিয়ে পড়েন। ” [তাফহিমুল কোরআন(উর্দু): ৩য়খন্ড, ১২৩ পৃ.] >>হযরত ইউসুফ (আ) “কিছু মানুষ যে ধারনা পোষণ করে যে তিনি [হযরত ইউসুফ (আ)] মিশরের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব চেয়েছিলেন শুধু সেখানকার অর্থ মন্ত্রী হবার জন্য তা আদপে ঠিক নয়; প্রকৃত পক্ষে তিনি একজন সৈরশাসক হতে চেয়েছিলেন।

এমতাবস্থায় হযরত ইউসুফ (আ) যে পদ পান তা বর্তমানকালের ইতালির মুসোলিনীর অবস্থার সমতুল্য। “ - তাহফিমাত, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১২২, ৫ম সংস্করণ >>হযরত মুহাম্মাদ (স.) সম্পর্কে: “আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিম্বা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন। ” [তাফহিমুল কোরআন (বাংলা) ১৯শ খন্ড, ২৮০পৃ. মুদ্রনে ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা ১৯৮০ ইং; কোরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা(বাংলা) ১১২পৃ. ৮ম প্রকাশ, আধুনিক প্রকাশনী:জুন ২০০২] “মহানবী (স.) মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন। ” [তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ.] “মহানবী (স.) নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষন করেছেন।

” [তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী] জামায়ত-ই –ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদূদী ধর্মকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ধর্মের অপব্যাখা করে দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য পাকিস্তানে মওদূদীর ফাঁসির রায় হয় । পরে বিশেষ ক্ষমার আওতায় যাবজ্জীবন এবং তারপর রাজনৈতিক কারণে সে ছাড়া পায় । YouTube তে মওদূদীর বড় ছেলের একটা সাক্ষাতকার আছে যেখানে ভদ্র লোক খুব স্পষ্ট করেই বলেছেন তাদের কোন ভাই বোনকেই তার পিতা এই আকিদার সাথে যুক্ত হতে দেন নাই এমনকি মওদূদীর অগোচরেও কেউ যদি জামায়ত-ই –ইসলামির কোন মিটিং বা সমাবেশে যেতেন তবে মওদূদী তাদেরকে বকা ঝকা করতেন, উদাহরন দিতে গিয়ে মওদৃদীর বড় ছেলে বলে একজন পুরিয়া ব্যবসায়ী অথাৎ (হেরইন ব্যবসায়ী)যেমন তার সন্তানদের পুরিয়া থেকে দূরে রাখে তাদের পিতাও ঠিক সে রকম তাদের সব ভাই বোনকে জামায়ত-ই –ইসলামি থেকে দূরে রেখেছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।