আমার লেখা পড়ে.................. মানুষের নিজের স্বজন, সৃষ্টি, দ্রব্য , দর্শণ, আদর্শের প্রতি ভালবাসা থাকা খুবই স্বাভাবিক । এতে আমি দোষের কিছু দেখি না ।
অনেকে শিবিরকে ঘৃণা করে । ঘৃণা করে তাদের বোকামী, হিংস্রতার জন্য ।
আমি নিজেকে সাংস্কৃতিমনা ভাবতে পছন্দ করি ।
এর প্রতি আমার আলাদা একটা টান আছে । এটা আমার নিজস্ব ব্যাপার। তেমনি অনেকের ধর্মের প্রতি টান থাকতেই পারে । সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার । কিন্তু এ ধর্মপ্রেমী তরুন কিশোরদের সরলতা কাজে লাগিয়েই আজকের এত বড় শিবির ! ধর্মীয় ভুল ব্যাখা, পরকালের লোভ, অর্থিক নিরাপত্তার বেড়াজালে এরা যে কখন শিবিরের সদস্য হয়ে গেছে এরা নিজেরাও জানে না ।
এদের ভুল ভাঙ্গাতে পারলে এরাই হতে পারে দেশের, পৃথিবীর সম্পদ ।
জামায়ত-ই –ইসলামির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদূদী । আজ প্রমাণিত যে মওদূদী রাশিয়া ও আমেরিকার চর ছিল । ধর্মকে বিকৃত ভাবে উপস্থাপন, ইচ্ছাকৃত ভাবে ধর্ম অপব্যাখা করে দাঙ্গা সৃষ্টির জন্য পাকিস্তানে মওদূদীর ফাসির রায় হয় । পরে বিশেষ ক্ষমার আওতায় যাবজ্জীবন এবং তারপর রাজনৈতিক কারণে সে ছাড়া পায় ।
মওদূদীরর মৃত্যুপর তার ব্যাংক একাউন্টে ছিল মাত্র দশ লক্ষ্য সাইত্রিশ হাজার রুপী । যার উৎস হিসাবে ধরা হয়- উপমহাদেশে ধর্মীয় দাঙ্গা-হাঙ্গামার সৃষ্টির নিমিত্তে সিআইএ থেকে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক । আমাদের দেশীয় রাজাকাররা কোমলমতি শিশু কিশোরদের মওদুদীর বই পড়তে খুবই উৎসাহিত করে । আর অন্যদিকে মুখস্থ সুরার অর্থ জানেও কম বা কখনও জানার প্রয়োজন বোধ করেই না ।
শিবিরের সদস্যদের বলছি আপনাদের একটা জিনিষ ঠিক করতে হবে, ভাবতে হবে, বুঝতে হবে আপনারাকি মহানবী (সঃ)-এর ইসলাম পালন করবেন, নাকি মওদূদীর বিকৃত ইসলাম পালন করবেন ।
যদি আসলেই পরকালের ভয় থাকে তাহলে নিচের তথ্য গুলো পড়ে এখনই সিন্ধান্ত নেন ।
১। পবিত্র কোরাণ:
ইসলাম “মহান আল্লাহ পাক উনার কোন ক্ষেত্রে জুলুমের আশঙ্কাজনিত কোন বিধান দেননি। ” (সূরা ইউসুফ, ৪৪)
মওদুদী,
“যে ক্ষেত্রে নর নারীর অবাধ মেলামেশা, সে ক্ষেত্রে যেনার কারণে (আল্লাহ পাক, উনার আদেশকৃত) রজম শাস্তি প্রয়োগ করা নিঃসন্দেহে জুলুম। ” (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ২৮১ পৃষ্ঠা)
২।
ফেরেশতা সম্পর্কে কোরাণ:
“ ফেরেশতাগণ নূরের তৈরি । তারা স্ত্রী বা পুরুষ নন। ফেরেশতাদেরর খাদ্যের প্রয়োজন হয় না। সর্বদা তারা ইবাদতে মশগুল থাকেন। ” (শরহে আকাইদে নছফী, ৩২২ পৃষ্ঠা)
মওদুদী
“ফেরেশতা প্রায় ওই জিনিস যাকে গ্রিক, ভারত ইত্যাদি দেশের মোশরেকরা দেবী-দেবতা সি'র করেছে।
” (তাজদীদ ও এহইয়ায়ে দ্বীন, ১০ পৃষ্ঠা)
৩। আম্বিয়ায়ে আলাইহিমুস সালাম সম্পর্কে কোরাণ::
“ সকলনবীগণ নিষ্পাপ; তারা কোন গুনাহ করেননি। ” (তরজুমানুস সুন্নাহ, ৩য় খণ্ড, ৩০৫ পৃষ্ঠা)
মওদুদী ,
“নবীগণ মা’ছূম নন। প্রত্যেক নবীই গুনাহ করেছেন। ” (তাফহীমাত, ২য় খণ্ড, ৪৩ পৃষ্ঠা)
কোরাণ:, “নবীগণ কখনও খবীছ নফসের দ্বারা আক্রান্ত হননি।
”
মওদুদী,
“নবীগণ বহুবার খবীছ নফসের আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছেন। ” (তাফহীমাত, ১ম খন্ড, ১৬৩ পৃষ্ঠা)
কোরাণ:, “নবীগণ আপন দ্বীনের উপর সি'র ছিলেন। উনারা কখনও মানবীয় দুর্বলতার শিকার হননি। ”
মওদুদী বলে, “কোন কোন নবী দ্বীনের চাহিদার উপর সি'র থাকতে পারেননি। বরং উনারা আপন মানবীয় দুর্বলতার কাছে হার মেনেছেন।
” (তাফহীমুল কুরআন, ২য় খণ্ড, ৩৪৪ পৃষ্ঠা)
কোরাণ:, “নবীগণ মহা সম্মানিত সর্বোত্তম মানব। উনাদের দোষ বর্ণনা করা হারাম। ” (তাফসীরুল কামালাইন, ৪র্থ খণ্ড, ৪ পৃষ্ঠা)
মওদুদী , “(নবী হোক, ছাহাবা হোক), কারো সম্মানার্থে উনাদের দোষ বর্ণনা না করাকে জরুরী মনে করা আমার দৃষ্টিতে মূর্তিপূজার শামিল। ”
ইসলামী চাল-চলন সম্পর্কে
-------------------------------
**ইসলাম
ইসলামী পোশাক-পরিচ্ছদ-প্রকৃতি চাল-চলন ইত্যাদি গ্রহণ করো। এসব ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করবে না।
(এমদাদুল মুফতিয়ীন, ২য় খণ্ড, ১৫৪ পৃষ্ঠা)
**মওদুদী
, পোশাক পরিচ্ছদ, চাল-চলন, আকৃতি-প্রকৃতি চুল কার্টিং ইত্যাদির ব্যাপারে বিধর্মীদের অনুকরণ করাতে দোষ নেই। (তরজুমানুল কুরআন, ছফর সংখ্যা, ১৩৬৯ হিজরী)
দাড়ি রাখা সম্পর্কে
--------------------
**ইসলাম
, এক মুষ্টি পরিমাণ দাড়ি রাখা ওয়াজিব। কেটে ছেঁটে এর কম করা হারাম। (বুখারী শরীফ, ৭৫ পৃষ্ঠা, মুসলিম শরীফ, ১২৯ পৃষ্ঠা, আবু দাউদ শরীফ ২২১ পৃষ্ঠা)
**মওদুদী বলে,
দাড়ি কাটা ছাঁটা জায়িয। কেটে ছেঁটে এক মুষ্টির কম হলেও ক্ষতি নেই।
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে পরিমাণ দাড়ি রেখেছেন সে পরিমাণ দাড়ি রাখাকে সুন্নত বলা এবং এর অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে মারাত্মক অন্যায়। (রাছায়েল মাছায়েল, ১ম খণ্ড, ২৪৭ পৃষ্ঠা)
সুন্নত সম্পর্কে
-------------------
**ইসলাম বলে,
মহানবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদত, আখলাক ও স্বভাব-চরিত্র আমাদের অনুকরণের জন্য উত্তম নমুনা বা সুন্নত। (বুখারী শরীফ, ২য় খণ্ড, ১০৮৪)
**মওদুদী,
হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার আদত, আখলাককে সুন্নত বলা এবং তা অনুসরণে জোর দেয়া আমার মতে সাংঘাতিক ধরনের বিদয়াত ও মারাত্মক ধর্ম বিগড়ন। (রাছায়েল মাছায়েল, ২৪৮ পৃষ্ঠা)
যাকাত সম্পর্কে
------------------
**ইসলাম
যাকাত আদায়ের জন্য তামলীকে ফকীর (দরিদ্রকে মালিক বানানো) জরুরী। (মাকছুত, ২য় খণ্ড, ২০২ পৃষ্ঠা)
**মওদুদী
যাকাত আদায়ের জন্য তামলীকে ফকীর জরুরী নয়।
(তরজুমানুল কুরআন, যিলহজ্জ সংখ্যা, ১৩৭৫ হিজরী)
সেহেরী সম্পর্কে
-----------------
ইসলামে সাহরীর শেষ সীমা সুবহে সাদিক। সুবহে সাদিক হওয়ার পর পানাহার করলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। (তিরমিযী শরীফ, ১২৫ পৃষ্ঠা)
মওদুদী
সাহরীর জন্য এমন কোন শেষ সীমা নির্দিষ্ট নেই, যার কয়েক সেকেন্ড বা কয়েক মিনিট এদিক ওদিক হলে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে।
(তাফহীমুল কুরআন, ১ম খন্ড, ১৪৬ পৃষ্ঠা)
রাস্ট্রের কর্তৃত্ব আকাংক্ষা
--------------------------------
**হাদীস
“নেতৃত্বের আকাংক্ষা করোনা। কেননা তোমরা যদি নেতৃত্বের আকাংক্ষা করে তা পাও তবে সে দায়িত্ব তোমাদের একাই পালন করতে হবে।
কিন্তু আকাংক্ষা না করেই যদি তোমরা নেতৃত্ব পাও তবে তোমরা সাহায্য পাবে (আল্লাহর কাছ থেকে)। ”
- মুসলিম, ৪৬৯২
**মওদুদী
কর্তৃত্বের আকাংক্ষা ছাড়া কোন দর্শণে আস্থাজ্ঞাপন করার কোন অর্থ নেই, এবং কোনটি আইন সম্মত বা কোনটি নিষিদ্ধ অথবা নির্দেশিত আইন, কোনটিরই কোন মানে নেই। "
- তাজদীদ উদ দ্বীন, পৃষ্ঠা ৩২ – ৩৩
যুদ্ধবন্দী মহিলা
--------------------------
“অবশেষে যখন তাদেরকে (কাফিরদের) পূর্ণরূপে পরাভূত কর তখন তাদেরকে শক্ত করে বেধে ফেল। অতঃপর হয় তাদের প্রতি অনুগ্রহ কর, না হয় তাদের নিকট হতে মুক্তিপণ লও (এবং মুক্তি দাও) । ”
- সূরা মুহাম্মদ, আয়াত ৪
**মওদুদী
“এমনকি বর্তমান যুগেও যুদ্ধবন্দী মহিলাদের সৈনিকদের মধে বন্টন করে দেয়া উচিৎ এবং সৈন্যদেরকে তাদের (মহিলাদের) ভোগ করার অনুমতি দেয়া উচিৎ।
বিভিন্ন নবী সম্বদ্বে মওদুদীর মন্তব্য
----------------------------------------
>>দাউদ (আ.) সম্পর্কে:
“হযরত দাউদ (আ.) এর কাজের মধ্যে নফস ও আভ্যন্তরীন কুপ্রবৃত্তির কিছুটা দখল ছিল। অনুরুপভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহারের সাথেও তার কিছুটা সম্পর্ক ছিল। আর তা ছিল এমন ধরনের কাজ, যা হক পন্থায় শাসনকারী কোন মানুষের পক্ষেই শোভা পায়না। ” [তাফহিমুল কোরআন(উর্দু):৪র্থ খন্ড, সুরা সাদ, ৩২৭পৃ. ১ম সংস্করণ, অক্টোবর ১৯৬৬ইং]
“হযরত দাউদ (আ.)ত-কালীন যুগে ইসরাঈলী সোসাইটির দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে এক বিবাহিতা যুবতীর উপর আসক্ত হয়ে তাকে বিবাহ করার জন্য তার স্বামীর নিকট তালাক দেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন” [তাফহিমাত ২য় খন্ড: ৪২পৃ. ২য় সংস্করণ ; নির্বাচিত রচনাবলী(বাংলা) ২য় খন্ড, ৭৩ পৃ, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম প্রকাশ ১৯৯১ইং]
>>হযরত নূহ (আ.) সম্পর্কে:
“হযরত নূহ (আ.) চিন্তাধারার দিক থেকে দ্বীনের চাহিদা হতে দূরে সরে গিয়েছিলেন। তার মধ্যে জাহিলিয়াতের জযবা স্থান পেয়েছিল।
” [তাফহিমুল কোরআন: ২য়খন্ড, ৩৪৪পৃ. ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং]
>>হযরত ইউনুস (আ.) সম্পর্কে:
“হযরত ইউনুস (আ.) থেকে রিসালাতের দায়িত্ব আদায় করার ব্যাপারে কিছু দুর্বলতা হয়ে গিয়েছিল। সম্ভবত তিনি ধৈর্যহারা হয়ে নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই আপন স্থান ত্যাগ করে চলে গিয়েছিলেন। ” [তাফহিমুল কোরআন: ২য়খন্ড, সূরা ইউনুস (টিকা দ্রষ্টব্য) ৩য় সংস্করণ, ১৯৬৪ ইং]
>>হযরহ আদম (আ.) সম্পর্কে:
“হযরহ আদম (আ.) মানবিক দূর্বলতায় আক্রান্ত ছিলেন। তিনি শয়তানী প্রলোভন হতে সৃষ্ট তরি- জযবায় আত্মভোলা হয়ে নিজ নিয়ন্ত্রন হারিয়ে ফেলেন। ফলে আনুগত্যের উচ্চ শিখর হতে নাফারমানীর অতল গহ্বরে গিয়ে পড়েন।
” [তাফহিমুল কোরআন(উর্দু): ৩য়খন্ড, ১২৩ পৃ.]
>>হযরত ইউসুফ (আ)
“কিছু মানুষ যে ধারনা পোষণ করে যে তিনি [হযরত ইউসুফ (আ)] মিশরের তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব চেয়েছিলেন শুধু সেখানকার অর্থ মন্ত্রী হবার জন্য তা আদপে ঠিক নয়; প্রকৃত পক্ষে তিনি একজন সৈরশাসক হতে চেয়েছিলেন। এমতাবস্থায় হযরত ইউসুফ (আ) যে পদ পান তা বর্তমানকালের ইতালির মুসোলিনীর অবস্থার সমতুল্য। “
- তাহফিমাত, খন্ড ২, পৃষ্ঠা ১২২, ৫ম সংস্করণ
>>হযরত মুহাম্মাদ (স.) সম্পর্কে:
“আল্লাহ তা’য়ালার নিকট কাতর কন্ঠে এই আবেদন করুন, যে কাজের দায়িত্ব আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, তা সম্পন্ন করার ব্যাপারে আপনার দ্বারা যে ভুল ত্রুটি হয়েছে কিম্বা তাতে যে অসম্পূর্ণতা রয়ে গেছে তা যেন তিনি ক্ষমা করে দেন। ” [তাফহিমুল কোরআন (বাংলা) ১৯শ খন্ড, ২৮০পৃ. মুদ্রনে ওরিয়েন্টাল প্রেস, ঢাকা ১৯৮০ ইং; কোরআনের চারটি মৌলিক পরিভাষা(বাংলা) ১১২পৃ. ৮ম প্রকাশ, আধুনিক প্রকাশনী:জুন ২০০২]
“মহানবী (স.) মানবিক দূর্বলতা থেকে মুক্ত ছিলেন না। অর্থাৎ তিনি মানবিক দূর্বলতার বশীভূত হয়ে গুনাহ করেছিলেন।
” [তরজমানুল কোরআন ৮৫ তম সংখ্যা, ২৩০পৃ.]
“মহানবী (স.) নিজে মনগড়া কথা বলেছেন এবং নিজের কথায় নিজেই সন্দেহ পোষন করেছেন। ” [তরজমানুল কোরআন, রবিউল আউয়াল সংখ্যা, ১৩৬৫ হিজরী]
[নিচের ছবিটি কুলাঙ্গার মওদূদীর]
[মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে লিখাটি ট্যাগ করার জন্য অনুরোধ করছি ]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।