অতীত এবং বর্তমানকে সাথে নিয়ে আগামীর সপ্ন দেখি । সময়ের সাথে আগামীর পথে -সদা নির্ভীক..
যে মুসলিম জাতি দোর্দান্ত প্রতাপের সাথে রাজনীতির ঘোড়া দাবড়িয়ে বেরিয়েছে চতুর্দিকে, যাদের নেতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হয়রত মুহাম্মাদ (সাঃ) রাজনীতিকে রাঙিয়েছেন আদর্শিক রঙে, নিজে নেতৃত্ব দিয়েছেন সত্যের সমরে ইসলামের সূর্য যখন পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়তে শুরু করে তখন তাঁরই অনুসারীরা “ইসলামে রাজনীতি হারাম” বলে ফতোয়া দিয়ে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে মসজিদের কোনে খিল এটে ইসলামকে অবরুদ্ধ করে ফেলে।
মাওলানা মওদূদী (রহঃ) উপলব্দি করেন যে মুসলমানদের মাথা উচু করে চলতে হলে কুরআনকে গেলাফের কারাগার থেকে মুক্ত করে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাধীনভাবে চলার সুযোগ দিতে হবে। কুরআন ঝাড়ফুঁক বা তাবিজ হিসেবে ভুত তাড়ানোর জন্য কিংবা রোগব্যাধি সাড়াতে পৃথিবীতে নাজিল করা হয় নি বরং কোরআনের মূল কাজ হলো সমাজের রন্ধে রন্ধে যে অসুখ দানা বেঁধেছে তার মূলোচ্ছেদ করা। আর এ জন্য কুরআনকে শেলফ থেকে মুক্ত করে সমাজে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য মওদূদী রাসূলের (সাঃ) অনুসরণে আদর্শিক রাজনীতির পুর্ণজাগরণের প্রয়োজনীয়তা ব্যাপকভাবে উপলব্ধি করেন।
১৯২০ সালের দিকে মওদূদী (রহঃ) রাজনীতির ময়দানে পদচারনা শুরু করেন। শুরুতে তিনি খেলাফত আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত হন এবং তাহরীক-ই-হিজরতের সঙ্গে জড়িয়ে পরেন। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন তাহরীক-ই-হিজরত তৎকালীন সময়ে ভারতীয় মুসলমানদের সদলবলে আফগানিস্তান হিজরতের জন্য উৎসাহিত করে। কিন্তু তার কাছে সংগঠনের পরিকল্পনা ও কর্মকৌশল আরো বাস্তবসম্মত হওয়া উচিত বলে মনে হয় এবং এক্ষেত্রে তিনি সংগঠনের নেতৃত্বে সন্তুষ্ট হতে পারেন নি। ফলে তিনি এ আন্দোলন থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন এবং ব্যক্তিগত শিক্ষা ও জীবিকার কাজে বেশি নিমগ্ন হন।
মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আ’লা মওদূদী (রহঃ) ইতোমধ্যে তার রাজনৈতিক ও সাংবাদিকতা জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা, নীবিড় অধ্যয়ন ও জ্ঞান সাধনার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞানের আলোকে তার রাজনৈতিক চিন্তাচেতনাকে ঢেলে সাজান এবং জামায়াতে ইসলামী নামে একটি আদর্শ ইসলামিক সংগঠনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এ সংগঠনে তিনি প্রতিষ্ঠাতা আমীর নির্বাচিত হন এবং ১৯৭২ সাল পর্যন্ত আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়। শারীরিক অনুস্থতার কারনে তিনি এ বছরই আমীরে জামায়াতের দায়িত্ব থেকে অব্যহনি নেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।