http://www.somewhereinblog.net/blog/Paranoid সামুর ফিচারগুলির মাঝে ইমোটিকন নিঃসন্দেহে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে। সুন্দর এবং মৌলিক সব ইমো। কিন্তু এইসব ইমো নিষিদ্ধ হতে পারে ভবিষ্যতে প্রতিক্রিয়াশীল বিভিন্ন গোষ্ঠীর অসহিষ্ণু মদদে। এই দূরাবস্থা মোকাবেলায় আমাদেরকে এক হতে হবে। তার আগে চলুন জেনে নেই গোপন সুত্র থেকে পাওয়া খবর মারফৎ, সামুর কোন কোন ইমো কীভাবে কাদেরকে আঘাত করে নিষেধাজ্ঞার খড়গের কবলে পড়তে যাচ্ছে:
- নির্দোষ হাসির ইমো।
কিন্তু হাস্যরস করতে গিয়ে হাঁস প্রজাতির সাথে সামঞ্জস্য খুঁজে পাওয়ায় হংস সমিতির প্রধান ডোনাল্ড ডাক মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। কীভাবে হাঁসের হাসির সাথে সামুর ইমোটিকন মিলে গেল জানতে চাইলে তিনি জোরে ডানা ঝাপটিয়ে পানি দিয়ে ভিজিয়ে ইনফরমারকে আক্রান্ত করেন।
- এই ইমোর ব্যাপারে আপত্তি তুলেছেন ডেন্টিস্টরা। তাদের ভাষ্যমতে, ওপরের পাটির এবড়ো থেবড়ো দুটো দাঁত এবং নীচের পাটির চারটি দাঁত, এই অসামঞ্জস্য দিয়ে তাদের পেশাকে ব্যঙ্গ করে করা হয়েছে। অবিলম্বে সুন্দর পাটিঅলা দাঁতের ইমো না দিলে তারা দাঁত ফিলিংয়ের যন্ত্রপাতি গ্যাস ফিলিং স্টেশনে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলবেন বলে হুমকি দেন।
- এক্ষেত্রে আপত্তি রে-ব্যান নামক সানগ্লাস নির্মাতা কোম্পানির। তাদের একটি মডেলের সানগ্লাসের সাথে হুবহু মিলে যাওয়ায় রে-ব্যান এর পক্ষ থেকে এই ইমোটি ব্যান করার জন্যে শিঘ্রই চিঠি যাচ্ছে সামুর সদর দপ্তরে।
- সুশীল সমাজের দায়ের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রীম কোর্ট থেকে এই ইমোর ব্যবহার স্থগিত করতে আদেশ আসছে বলে জানা গেছে। চোখ টিপ দেয়ার ইমো সমাজে ইভটিজিং বাড়াবে এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন রিটে স্বাক্ষরকৃত বুদ্ধিজীবীরা। তারা আরো জানান...
"চোখ দেইখা দিলে লাগলো চাক্কু..."
আরো কিছু জানাতে গিয়ে ভুলক্রমে এই গানটি সমস্বরে গেয়ে ওঠার পরে অধিবেশন সেখানেই বাতিল ঘোষনা করা হয়।
- রঙ ফর্সাকারী ক্রিম নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো জোটবদ্ধ হয়েছে এই ইমোর বিরুদ্ধে। তাদের ভাষ্যমতে দুই একজনের চামড়ায় হয়তো ইনফেকশন হয়ে লাল হয়ে গেছে ক্রিম ব্যবহার করে, কিন্তু বেশিরভাগই সাদা ধবধবে হতে পেরেছেন। আর লাল'ই বা খারাপ কী? মানুষ চুলে লাল রঙ করতে পারলে মুখ কী দোষ করল? লালরঙের মুখের সাথে রাগত ভঙ্গি যোগ করে তাদেরকে চুড়ান্তভাবে অপদস্থ করা হয়েছে বলে তারা মনে করেন।
- এই ইমোর ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন লাক্স সুন্দরী প্রতিযোগিতায় গত কয়েক বছরের বিজয়ীরা, বিশেষ করে যারা অভিনয় এবং মডেলিংয়ের সাথে জড়িত হয়েছেন। তারা বলেন, "কে বলেছে আমরা অভিনয় পারি না? আমরা এখনও শিখছি! তাই এটা বলা বা ইঙ্গিত করা অনুচিত যে, অভিনয়ের সকল কলা দেখাতে গিয়ে আমরা স্ট্রেইটফেসড হয়ে যাই"।
কারা এরকম ধারণা পোষণ করেছে জানতে চাইলে তারা স্ট্রেইটফেস হয়ে তাকিয়ে থাকেন।
- এবারের প্রতিপক্ষ ওয়াসা। "গ্রীস্ম মৌসুমে পানি সরবরাহে কিছুটা সমস্যা হয় বটে, তবে সঞ্চালন প্রক্রিয়ার এই সমস্যাটিকে চোখের জলের সাথে সিম্বলাইজড করে সামু স্পষ্টতই আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করছে। আমরা এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবো"। জানান ওয়াসার মহাব্যবস্থাপক।
- জনপ্রিয় কার্টুন পত্রিকা উন্মাদের সম্পাদকের আপত্তির কারণে জনপ্রিয় এই ইমোটির অস্তিত্ব হুমকির সম্মুখীন। উন্মাদের সেই প্রসিদ্ধ দাঁত এবং চশমার সমণ্বয়ে তৈরি এই অবয়বটি তাদের তৈরি প্রোটোগনিস্ট চরিত্রের সাথে সাংঘর্ষিক এবং অফেন্সিভ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
-জন্মদিন পালন করা অথবা পার্টি করা ইসলামে হারাম। রাজারবাগী বাজারবাগী ধর্মবাগীশেরা পশ্চিমা সংস্কৃতির ধারক এই ক্যাপ পরিধান করে নাচের উপক্রম করার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সামু কর্তৃপক্ষ এবং ব্লগারদের কাফির, ফাসিক, হার্মাদ, চগলখোড় ইত্যাদি বিশিষ্ট উপমায় ভুষিত করতে থাকেন। তবে সেই সময়ে তাদেরকে খাদ্য হিসেবে ভূষি দেয়া হলে তারা প্রিয় খাদ্য পেয়ে ক্ষণিকের জন্যে ক্ষান্ত দেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সামুর ব্লগারেরা সদ্যপ্রাপ্ত উপাধিগুলোর মানে উদ্ধারে ব্যতিব্যস্ত ছিলেন।
- এনার্জি ড্রিংক প্রস্তুতকারকেরা ঘুমের এই ইমোটিকে তাদের ব্যবসার প্রতি একটি অনাকাঙ্খিত আঘাত বলে অবিহিত করেছেন। সমাজ সচেতনতা প্রদর্শন করতে গিয়ে তারা আরো বলেন, যুবসমাজকে ঘুম পাড়িয়ে দেবার এই ষড়যন্ত্র কাদের অভিপ্রায়ে? মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোও স্বত্তর এই আন্দোলনের সাথে একাত্ম হবে বলে জানা গেছে।
সুতরাঙ, সময় থাকতেই সাবধান হোন সামুবাসী। ইমো সংক্রান্ত ইমোশনের ফায়দা লুটতে তৎপর অসাধু ব্যক্তি-দল-এবং প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।