আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাসায় গৃহপরিচারিকা খুনের ঘটনায় গৃহকত্রী তাসমীম রহমান অনন্যাকে (২৮) গ্রেপ্তার

জানার আগ্রহ মানুষের চিরন্তন, বই হলো তার বাহন, আইনের মৃত্যু আছে কিন্তু বইয়ের মৃত্যু নেই। চট্রগ্রাম নগরীর এমএম আলী সড়কের বাসায় গৃহপরিচারিকা খুনের ঘটনায় গৃহকত্রী তাসমীম রহমান অনন্যাকে (২৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল সোমবার ভোররাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় নগরীর অলংকার মোড়ে অবস্থিত সৌদিয়া বাস কাউন্টার থেকে তাকে কোতোয়ালী থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এদিকে খুনের শিকার গৃহপরিচারিকার পরিচয়ও নিশ্চিত করেছে পুলিশ । তার নাম সোনিয়া (১৪)।

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। কোতোয়ালী থানার ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিম জানান, গ্রেপ্তারের পর অনন্যাকে আদালতের মাধ্যমে চালান দেয়া হয়েছে। সেই সাথে পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে। আজ মঙ্গলবার রিমান্ড আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। জানা গেছে, গত রোববার সন্ধ্যায় এমএম আলী রোড়ের ‘আইডিয়েল মেলোডি-১’র ডি-২ ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙ্গে বাথরুম থেকে সোনিয়া (১৪) নামের গৃহপরিচারিকার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

গত ৬ মাস আগে সোনিয়া ওই বাসায় গৃহপরিচারিকা হিসেবে কাজে যোগ দেয়। সে ভোলা জেলার বোরহান উদ্দিন থানার চরভোষ এলাকার মো. মোফাজ্জলের মেয়ে। রোববার বিকালে সোনিয়াকে হত্যার পর বাইরে দিয়ে দরজা বন্ধ করে বাসার সবাই পালিয়ে যায়। পরে বাসার মালিক, ম্যানেজার ও পাশের বাসিন্দাদের নিয়ে দরজা ভেঙে সোনিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনার পর কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল অভিযানে নামেন।

অবশেষে পুলিশ গতকাল ভোররাতে পালিয়ে যাওয়ার সময় অলংকার মোড়ে অবস্থিত সৌদিয়া বাস কাউন্টার থেকে গৃহকত্রী তাসমীম রহমান অনন্যাকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃত তাসমীম রহমান অনন্যা ডবলমুরিং থানাধীন মনসুরাবাদ এলাকার আব্দুস সাত্তার মিয়া বাড়ির রিয়াদ সিদ্দিকীর স্ত্রী। তারা নগরীর এমএম আলী সড়কের ‘আইডিয়াল মেলোডি-১’ নামের ফ্ল্যাটে থাকেন। কোতোয়ালী থানার ওসি মহিউদ্দিন সেলিম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত অনন্যা হত্যার বিষয়টি স্বীকার করে। কি কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।

Click This Link ================================== আমাদের সমাজে গৃহ শ্রমিক সাধারণত কাজের ছেলেমেয়ে, বুয়া ইত্যাদি নামে পরিচিত। গৃহ শ্রমিকদেরকে আমরা মনে করি তারা আমাদের দাস। আমরা যেমন খুশি ব্যবহার তাদের সাথে করতে পারবো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এদের কোনো ঈদ-পার্বণ নেই, উচিত মজুরি নেই, ছুটিছাটা কিছু নেই। সূর্যোদয় থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা অমানুষিক শ্রম দিয়েও গৃহকর্ত্রীর মেপে দেয়া ভাত-তরকারি খেতে হয় তাদের।

কিন্তু মানবতার সবটুকুই তো নিঃশেষ হয়ে যায়নি এখনও। এমনও দেখা যায়, নিজ পুত্র-কন্যার সঙ্গে কাজের ছেলে বা মেয়েটির বাহ্যিক কোনো তফাতই রাখেন না অনেকে। কাজের বুয়াকে বিদেশ থেকে টাকা পাঠাচ্ছেন নিয়মিত এমন খবরও আমরা শুছি। এরাই মানবতার নিভু নিভু সলতে জ্বালিয়ে রেখেছেন যেন। সত্যি কথা বলতে কি বাসার কাজের লোকের সঙ্গে আপনার আচরণ ও ব্যবহার হতে হবে সুন্দর।

তার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা থাকলে সম্পর্ক সুন্দর থাকবে। আপনার বাসায় তার কাজ করতে ভালো লাগবে এবং কাজের লোকও আপনাকে সম্মান দেখাবে। ۞۞۞ গৃহ শ্রমিকদের সাথে যা করবেনঃ ۞۞۞ ۞* কাজের লোক রাখার আগে অবশ্যই তার নাম, ঠিকানা ভালো করে যাচাই করে নেবেন। কোনো বিশ্বস্তরেফারেন্স পেলে তাকে অগ্রাধিকার দিন। ۞* কাজের লোক রাখার সময় তার আসা-যাওয়ার সময় নির্ধারণ করে দিন এবং তার বেতন নির্ধারণ করুন।

۞* কাজের লোক মাসে কয়দিন ছুটি নেবে তা আগেই ঠিক করে নিন। ۞*কাজ শুরুর করার আগে তার কাজের পরিমাণ সম্পর্কে জানিয়ে দিন। ۞*বাসায় অতিথি এলে তাকে আপ্যায়ন করতে শেখান। ۞* কোনো অচেনা লোক বাসায় এলে যেন দরজা খুলে না দেয়, সে বিষয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিবেন। ۞* আপনার শিশুসন্তান বা বয়স্কদের দেখাশোনার জন্য কাজের লোক রাখলে তার দায়িত্ব পালনের প্রতি খেয়াল রাখুন।

পুরোটাই কাজের লোকের ওপর ছেড়ে দেবেন না। ۞* কাজের লোকের খাওয়া-দাওয়া ও তার প্রয়োজনের দিকে খেয়াল রাখুন। ۞* তাকে সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকতে শেখান। ۞* ঘরে অনুমতি নিয়ে প্রবেশ করতে বলুন। সেই সাথে জোরে কথা না বলার জন্য বলুন।

۞* বাসার সবাই মিলে কাজের লোককে নির্দেশ না দিয়ে একজন বা দু’জনের নির্দেশ যেন যায়। ۞* মাসে অন্তত দু’দিন তাকে ছুটি দিন। ۞* নির্ধারিত দিনে কাজের লোকের বেতন পরিশোধ করুন। ۞* কাজের লোককে পরিবারের একজন মনে করুন। ۞* কাজের লোক বেতন বেশি চাইলে রাগারাগি না করে সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টির সমাধান করুন।

۞* বাসায় কোনো জিনিস খোয়া গেলে প্রথমেই কাজের লোককে সন্দেহ করবেন না। ۞* কাজের লোকের সাথে এলাকার অন্য পরিবারের কোনো সদস্য নিয়ে পরনিন্দা বা পরচর্চা করবেন না। ۞* কখনই কাজের লোকের গায়ে হাত তুলবেন না। ۞* হুট করে কাজের লোককে বাদ দেয়া ঠিক নয়। কোনো কারণে তাকে বাদ দিতে হলে এক মাস আগেই তাকে জানিয়ে দিবেন।

 ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।