আল্লাহ মহান, যাহা বলিব সত্য বলিব।
দেশে দারুণসব ঘটনা ঘটছে! জামাত-শিবির চক্র দেশ দেশ বলে চিৎকার করছে। ক্ষণে ক্ষণে তারা অন্যকে দেশপ্রেমের সবক দিচ্ছে। যে দেশকে তারা দল বেঁধে ধর্ষণ করেছে, লাখ লাখ মুক্তিসেনাকে হত্যা করেছে, পাক হানাদারদের হাতে এদেশের মা-বোনকে তুলে দিয়ে তাদের সম্ভ্রমহানী করেছে সেই জামাত-শিবিরের কর্মী সমর্থকরা এখন সাচ্চা দেশপ্রেমিক। দেশকেই যারা মানে না তারা এখন দেশের জন্য কাঁদে।
২১শে ফেব্রুয়ারীতে জামায়াতের এবং শিবিরের দোয়া মাহফিল আয়োজন করার কথা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু আমরা কি জানতে চেষ্টা করেছি এই ধরনের দিবসগুলো জামায়াত আসলেই কি কারণে পালন করে?
একাত্তর এবং এর আগে রাষ্ট্রভাষা দিবস তথা ২১ ফেব্রুয়ারি পালন নিয়ে জামাতে ইসলামীর অবস্থান সম্পর্কে আমরা মোটামুটি জানি। আলোচনার স্বার্থে একটু রিপিট করি। ১৯৭১ সালের দৈনিক সংগ্রামে ১২ মে সংখ্যায় ‘সাংস্কৃতিক অনুপ্রবেশের ইতি হোক’ শিরোনামে লেখা হয় :
"হিন্দুস্তানী সংস্কৃতি মুসলমান সংস্কৃতিতে প্রবেশ করে পূর্ব পাকিস্তানের সংস্কৃতি ক্ষেত্রের প্রচণ্ড ক্ষতিসাধন করেছে। যার ফলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের জাতীয় শ্লোগানের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আল্লাহু আকবর ও পাকিস্তান জিন্দাবাদ বাক্যগুলি বাদ পড়ে এগুলোর জায়গা নিয়েছিলো জয় বাংলা।
মুসলমানী ভাবধারার জাতীয় সঙ্গীতের স্থান দখল করেছিলো মুসলিম বিদ্বেষী হিন্দু কবির রচিত গান। ...শহীদ দিবসের ভাষা আন্দোলনে আত্মত্যাগী মুসলমান ছাত্রদের জন্য দোয়া কালাম পড়ে মাগফেরাত কামনার পরিবর্তে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনার্থে হিন্দুয়ানী কায়দা, নগ্নপদে চলা, প্রভাতফেরী, শহীদ মিনারের পাদদেশে আঁল্পনা আকা ও চন্ডীদেবীর মূর্তি স্থাপন ও যুবক-যুবতীদের মিলে নাচগান করা মূলত ঐসকল পত্রপত্রিকা ও সাংস্কৃতিক মাধ্যমগুলির বদৌলতেই এখানে করা সম্ভব হয়েছে। "
স্বাধীন বাংলাদেশে রাজনৈতিক অবস্থান ফিরে পাওয়ার পর জামাতে ইসলামী ২১ ফেব্রুয়ারি বিশেষ দোয়া দিবস পালন করে। কিন্তু আমরা কেউ হয়তো খতিয়ে দেখার প্রয়োজন মনে করিনি তারা কেনো এটা করে, এখানে কি বিষয়ে দোয়া হয়। ভাষা দিবস একটা উছিলা মাত্র, তবে তারা এদিন সত্যিই শহীদ দিবস পালন করে এবং শহীদদের জন্য দোয়া মাহফিল আয়োজন করে।
অত্যন্ত গোপন সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে এদিন তারা আসলে কাদের ভজনা করে। জানেন এই শহীদদের পরিচয়? ১৯৭২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কারাগার থেকে পালানোর চেষ্টা করার সময় একদল বন্দী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এরা সবাই ছিলো ইসলামী ছাত্র সংঘের (বর্তমানে ইসলামী ছাত্র শিবির) আল-বদর বাহিনীর সদস্য। সেই নিহত ১৮ জন আল-বদরকে জামাত শহীদি মর্যাদায় এদিন স্মরণ করে।
সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।