আমার লেখা কেও পড়ুক আর না'ই পড়ুক, আমি লিখব, লিখেই যাব। "আহমেদ সজীব আমান। " গত সোমবারে মানে ঈদ এর ৩য় দিন মাংস রান্না করলাম। আমার রান্নার দৌড় অবশ্য আলুভর্তা ডিম ভাজি পর্যন্ত। আব্বা, আম্মা আর ছোট ভাই গেল দাওয়াত খেতে।
আমি আসহায়ের মত বাসায় একলা থেকে গেলাম (বড় হয়ে গেছি কিনা তাই আর সাথে নেয় না)। আম্মা সব কিছুই রান্না করে রেখে গেছিলেন। শুধু রাইস কুকারে ভাত টা পাকিয়ে নিতে বললেন। আমি ভদ্র ছেলের মত তা মেনে নিলাম। রান্নাঘরে গিয়ে আমার মনে হল আজকে একটু গোশত রান্ধনের ট্রাই মারি।
কোনদিন তো চান্স পাই নাই আজ পাইছি। ফোন করে এক খাদক দোস্তরে ডাকলাম, ওই ব্যাটাতো বগল বাজাইতে লাগল। গোশত ধুইলাম, একটা প্যান নিয়ে তাতে তেল ঢেলে দিয়ে তারপর সকল মশলা (হাতের কাছে যা পাইছি) দিয়ে নাড়তে শুরু করলাম। এরপর ঢেলে দিলাম গোশত আর কি এখন শুধু নাড়ানাড়ি। কিছুক্ষণ পর পরিমান মত পানি দিয়ে ঢেকে দিলাম।
ব্যাস রান্না তো শেষের পথে। ওহো মরিচ তো দেয়া হয় নাই। কাচা মরিচ কাটতে গিয়ে যা তা অবস্থা, পেঁয়াজ কাটার সময় তো পুরা রোদন শুরু করেছিলাম। রান্না শেষ করে একটা বাটিতে তুললাম। গোস্তের রং টা অন্যরকম মনে হচ্ছে, মনে হয় বেশি হলুদ হয়ে গেছে।
ইতিমধ্যে আমার খাবুশ বন্ধুটা এসে গেছে। আমি গোসল করে খাবার পরিবেশন করতে লাগলাম। দোস্ত বলল, তুই গোশত পাকাইছস?
হ্যাঁ তোর কোন প্রবলেম আছে নাকি? তোরে খাইতে ডাকছি তুই খাবি।
তো দে তারাতারি।
আমি প্লেটে ভাত নিলাম ওকে দিলাম।
গোশত দুইজনের পাতে নিলাম। ভাত মাখাইয়া কেবল মুখে দিতে যাব এমন সময় বন্ধুর চিৎকার শোনা গেল ‘শালা এইটা কি রানছস?’ আমি বললাম গোশত দোস্ত।
একবার মুখে দিয়া দেখ বুঝবি তুই কি পাকাইছস?
মুখে দিয়ে দেখি লবণ দেয়া হয়নি। বন্ধুর চিল্লানি শুরু হয়ে গেল, শালা লবণ কি তোর বাপে দিব? তুই রানছিস এখন সব তুই খাবি।
সাবধান রান্না করার সময় লবণটা অবশ্যই সামনে রাখবেন।
আমার মতো দূরে রাখলে আপনিও মিস খাইবেন। অবশেষে সবাইকে আমার রান্না মাংস খাওয়ার দাওয়াত রইল।
[ছবিটা নেট থেকে সংগৃহীত] ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।