বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল। [১৭:৮১-পবিত্র কুরআন] ম্যাসাচুসেটসের ৭০ তম এই গভর্নর যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বারাক ওবামার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বি। পাঁচ সন্তানের জনক মিট রমনির (জন্ম ১২ই মার্চ, ১৯৪৭) ধর্মীয় বিশ্বাস গতানুগতিক খ্রীস্টানদের থেকে বেশ ভিন্ন। ২০০৮ এর এক হিসাব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৭৬ শতাংশই খ্রীস্ট ধর্মাবলম্বী।
যার মধ্যে ৫১.৩ শতাংশ প্রোট্যাস্ট্যান্ট, ২৩.৯ শতাংশ ক্যাথলিক, ১.৭ শতাংশ মর্মন এবং ১.৭ শতাংশ অন্যান্য খ্রীস্টান গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত। এখানে উল্লেখ্য যে, প্রোট্যাস্ট্যান্টরা আবার মেথডিস্ট (যেমন, হিলারী ক্লিনটন), ইভাঞ্জেলিকাল সহ এরকম আরো অনেক উপশাখায় বিভক্ত। রমনি দ্য চার্চ অব জিসাস ক্রাইস্ট অব লেটার ডে সেইন্টসের অনুসারী যা সংক্ষেপে মর্মন নামে পরিচিত।
জোসেফ স্মিথ জুনিয়র
১৮৩০ সালে জোসেফ স্মিথ জুনিয়র (২৩শে ডিসেম্বর, ১৮০৫ - ২৭শে জুন, ১৮৪৪) মর্মন ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেন। মর্মনেরা বিশ্বাস করে জোসেফ স্মিথ একজন নবী যিনি পিতা ঈশ্বর ও পুত্র ঈশ্বর উভয়েরই দর্শন লাভ করেছেন।
যার কাছে মরোনী নামের এক স্বর্গীয় দূত ঈশ্বরের বাণী নিয়ে আসতো। ২৪ বছর বয়সে তিনি বুক অব মর্মন নামে একটি বই প্রকাশ করেন যা বাইবেলের পাশাপাশি ধর্মীয় বই হিসেবে মর্মনদের কাছে সমানভাবে সমাদৃত। মর্মনদের মতে যীশু স্বয়ং জোসেফ স্মিথের মাধ্যমে গীর্জাকে পুনপ্রতিষ্ঠিত করেন। খ্রীস্ট ধর্মকে পুনপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। মর্মনেরাও ক্যাথলিক ও প্রোট্যাস্ট্যান্টদের মত ত্রিত্ববাদী।
পৃথিবীজুড়ে প্রায় ১৪.৪ মিলিয়ন মানুষ এ ধর্মের অনুসারী। ক্যাথলিক, প্রোট্যাস্ট্যান্ট ও অর্থডক্স খ্রীস্টানরা মর্মনদের খ্রীস্টান ধর্মের অনুসারী হিসেবে স্বীকার করে না।
সল্ট লেক মন্দির, মর্মনদের অন্যতম বৃহৎ উপাসনালয়
পেশায় ব্যবসায়ী মিট রমনি শুধু মর্মন ধর্মের অনুসারীই নন, ১৯৮১ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বেলমন্ট, ম্যাসাচুসেটসের বিশপ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বরাবরই মর্মন ধর্মের প্রচার প্রসারে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। ১৯৬৯ সালে তিনি এ্ন রমনির সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হোন।
এন বিয়ের পূর্বেই মর্মন ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন। যদি রমনি নির্বাচিত হোন তাহলে তিনি হবেন যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে মর্মন ধর্মের অনুসারী প্রথম প্রেসিডেন্ট।
তথ্যসূত্রঃ
Mitt Romney
www.mittromney.com
Religion in the United States
mormon.org
The Church of Jesus Christ of Latter-day Saints ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।