.অহেতুক এই জীবন যাপন... আজকের সাধারণ মানুষের চিন্তা-ভাবনা কেমন? কেউ বলবেন এ নিয়ে ভাবার টাইম নাই। আবার কেউ হয়তো বিস্তর ভাবেন। বিস্তর লেখেন। আমি বরং এ নিয়ে জাবর না কেটে আমার উত্তরটাই দেই।
নিজে বাঁচলে বাপের নাম ।
অহেতুক সাধারণ মানুষকে নিয়ে ভাবতে গিয়ে আসলেই বিপদে পড়েছি। আরো বিপদ হলো ব্লগে লিখতে গিয়ে। একজনের নাম দেখলাম মুই ব্লগার হইছি অথবা এই জাতীয় কিছু। নিজেকে এমন অবস্থায় দেখে আমার চিন্তা-ভাবনাই হ-য-ব-র-ল হয়ে যাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ সত্যি কি ভাবে? বা তাদের মধ্যে এই জেনারেশন ব্যাপারটি এখন কোন পর্যায়ে তা নিয়ে বারবার আমার মতিভ্রম ঘটছে।
গতকাল এক বন্ধু আমাকে জিজ্ঞেস করছিল তুমি নেট ইউজ কর কতক্ষণ?
আমি বল্লাম সারাক্ষণ যদি জেগে থাকি।
- কি কি কর নেটে?
গোপন যা করার তা করে বল্লাম ফেসবুক, পেপার পড়া, মেইল আদান প্রদান, ভাষা শিক্ষা হ্যান ত্যান ইত্যাদি।
সে আমাকে ব্লগের কথা জানাল। আমি বল্লাম মাঝে মাঝে ব্লগে যাই কিন্তু লিখিনা। তার এডভোকেসি থেকে ব্লগে বসে আমার এই বিপদ ঘাড়ে নেওয়া।
নিজের খেয়ে যখন বিপদ ঘাড়ে নিয়েছিই তখন সাধারণ মানুষের জেনারেশন ভাবনা কোন পর্যায়ে তা নিয়ে আতলামি বাদ দিয়ে আসল কথায় আসি।
সুকান্তের আঠারো বছর বয়স যারা পেরিয়ে এসেছি এবং অনুচোখে টিনেজারদের যারা দেখি আমিও এখন তাদের দলে। কিন্তু খুব বেশীদিন হয়নি যখন আমিও আঠারোতে ছিলাম। তাই অন্যের কথা না বলে নিজের কথাই বলছি।
সেই আঠারো বছরের আমার নিজরে যত কান্ড-কারখানা আছে তার বীরত্ব গাঁথা ! বলতে শুরু করলে কেউ কেউ কিশোর সংশোধনাগার এর পরামর্শ দিতে শুরু করতেন।
আবার কেউ হয়তো বলবেন মাইর এর উপর ঔষধ নাই। মাইর দিলে সোজা হইতো।
সে কথা বাদ দিয়ে আসল কথায় আসি। সম্ভবত বলা যাবে যে বয়স জেনারেশন এর একটা ফ্যাক্টর। আরো অনেক ফ্যাক্টর থেকে থাকবে কোন একটি জেনারেশনকে পৃথক করতে।
আমি নবজাতক ব্লগার । বয়স মাত্র ১ দিন। সে তক্কে বা বিতক্কে পড়তে চাইনা। আমি লাফাঙ্গা জেনারেশন থেকে থার্ড জেনারেশন কে পৃথক করতে চাইছি।
সমাজ বিজ্ঞানীদের কাছে ক্ষমা চাই যে লাফাঙ্গা জেনারেশন ধারণাটি কোন তত্বীয় বিষয় নয়।
আবার ব্যবহারিক বিষয়ের ও নয়। ধরে নিন এটা একটা অহেতুক বিষয়।
তো লাফাঙ্গা শব্দের আভিধানিক অর্থ যা ই হোক না কেন শব্দটি যে কোন আজগুবি আচরণে বা বখাটেপনা ইত্যাদি পরিভাষায় ব্যবহার হয়ে থাকে।
কাপড়ে-চোপড়ে আধুনিকতা এটা সময় ঠিক করে দেয় কে কোন ধরণের কাপড় পরতে সাচ্ছন্দ বোধ করে। তাই আজগুবি দেশের আজগুবি কাপড় পরলেও সেটাকে লাফাঙ্গাপনা বলা যাচ্ছেনা।
হাটার স্টাইল, কথা বলার স্টাইল কিংবা রবীন্দ্র সংগীত রক- রোলে গাওয়া ফিউশন এসবই কোন একটি জেনারেশনকে বলা গেলেও তার নাম লাফাঙ্গা নয় নিশ্চয়।
দিনে ঘুম রাতে জাগো, বিবাগীপণা, প্রেম-ভালোবাসা, ডেটিং , মিছিল-মিটিং রাজনীতি এমনকি নেশার ঘোরে জড়িয়ে জীবন ফানা -পানা করাও লাফাঙ্গাপনা নয়।
টেক্সট বুক বাদ দিয়ে ফেসবুক, টুইটার, ভিডিও গেমস, আইফোন, মোবাইল ফোন, মেমোরি কার্ড, হ্যান ত্যান ইত্যাদি তো জেনারেশন থার্ড পর্যায়ে পড়ে । সেটা সাধুবাদ পাওয়ার ব্যাপার।
ইভ টিজিং যুগে যুগে ছিল ।
তবে ধরণ পাল্টে এর বর্তমান সংস্করণটি যা হয়েছে তা রীতিমত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার নজরদারির বিষয় হয়ে পড়েছে। এটা এখন মারাত্মক অপরাধ। এটিও লাফাঙ্গাপনার বিষয় নয়।
ইদানীং রাস্তা-ঘাটে একটা দৃশ্য আমার চোখে আটকে যাচ্ছে। আমার ভাবনায় এটা পুরোপুরি লাফাঙ্গাপনা।
রাস্তায় কিছু মোটরসাইকেল আরোহীকে দেখছি দামী ব্রান্ডের মোটরবাইকে উর্দ্ধ গতিসীমায় ড্রাইভ করছে। কিন্ত লুকিং মিরর ছাড়াই। প্রথম দিকে কয়েকজনকে এর’ম দেখে জিজ্ঞেস করতেই বেরিয়ে এল চমকপ্রদ এক স্টাইলের কথা। এটাও একটা স্টাইল। বাহ্বা! থার্ড জেনারেশনে যেখানে এগিয়ে যাচ্ছে গোটা পৃথিবী।
তখন এই স্টাইলের ধারক বাহক জেনারেশন আমাদের জাতীয় ভবিষ্যতকে লুকিং মিররে পিছনে আর ফিরে তাকাতে দেবেনা। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।