টেক্সটাইল প্রকৌশলী হিসাবে কর্মরত । পাকিস্তানের পরমাণু বোমার জনক কাদির খান সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, "একাত্তরে যদি পাকিস্তানের হাতে পারমাণবিক বোমা থাকতো তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। " কতটা অভদ্র আর বর্বর হলে একটি স্বাধীন দেশ সম্পর্কে এই ধরণের কথা বলা যায় ভাবুন তো একবার।
একাত্তরে পাকিস্তানের পারমাণবিক বোমা থাকলে কি হতো? আমাদের বাঙ্গালিদের উপর তা নিক্ষেপ করে পুরো জাতিকে নিশ্চিহ্ন করা হতো? হ্যাঁ, পশু পাকিস্তানীরা হয়তো একাত্তরে তাই করতো। কিন্তু আজ একচল্লিশ বছর পরে এসেও একটি জাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার প্রয়াসে নিউক্লিয়ার বোমা ব্যবহারের কথা বলতে যাদের বুক কাঁপেনা , যারা এখনো তাদের নাগরিকদের শেখায় একাত্তরে বাংলাদেশে কোন গণহত্যা হয়নি বরঞ্চ বাঙ্গালীরাই উলটো গণহত্যা চালিয়েছিলো, যারা তাদের ইতিহাস বইতে লিখে রাখে বাংলাদেশের জন্ম একটি ষড়যন্ত্র, সেই পাকিস্তান রাষ্ট্রটিকে কীভাবে বন্ধু ভাবা যায় বলুন?
ইদানীং এদেশে যত বড় বড় জঙ্গি ধরা পড়ে বা যত ষড়যন্ত্র উদঘাটিত হয় তার মূল সব সময় থাকে পাকিস্তানে।
তাছাড়া পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জঙ্গি সংঘটন লস্কর-ই-তায়েবা ইতিমধ্যেই এদেশে ঘাঁটি গেড়ে মৌলবাদী চক্রের সাথে আঁতাত গড়ে দু'পাকিস্তান(বাংলাদেশকে এখনো তারা পাকিস্তানের অংশ হিসেবেই ধরে)এক করবার ডাক দিয়েছে।
সেই সাথে খেয়াল করে দেখবেন আজকের এই যুদ্ধাপরাধীগোষ্ঠীর আন্তর্জাতিক প্রোপাগাণ্ডার খুঁটির জোড়ও কিন্তু সেই পাকিস্তানকে ঘিরেই। এত কিছুর পরেও এই পাকিস্তান রাষ্ট্রকে আমরা কীভাবে মাফ করি বা কীভাবেই তাদের পতাকা নিয়ে উল্লাস করি? আমি নিশ্চিত, সুযোগ পেলে বা নিজের দেশটাকে গুছিয়ে উঠতে পারলে তারা আবারও যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে এদেশে। হুমায়ুন আজাদ বলেছিলেন, "পাকিস্তানিদের আমি অবিশ্বাস করি, যখন তারা গোলাপ নিয়ে আসে, তখনও। " হ্যাঁ, আজ আমিও সেই একই সুরে বলছি, একাত্তরের গণহত্যা স্বীকার করে বেঁচে থাকা সেই সব যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত পাকিস্তান রাষ্ট্রকে আমি অবিশ্বাস করে যাবো আমৃত্যু ।
(সংগৃহীত) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।