আমিতো মরে যাব চলে যাব রেখে যাব স্মৃতি.................... যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রথম ও একমাত্র বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সদস্য রোশনারা আলী। প্রভাবশালী রাজনৈতিক সাময়িকী ‘নিউ স্টেটসম্যান’ চলতি বছরের শুরুতে তাঁকে ওই দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ২০ জন পার্লামেন্ট সদস্যের (এমপি) তালিকায় স্থান দিয়েছে। সাময়িকীতে এমন ধারণাও প্রকাশ করা হয়, নিজের যোগ্যতায় ওই ২০ জন এমপির কেউ ভবিষ্যতে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীও হতে পারেন। রোশনারা আলীর পরে আরেক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত বাঙালি নারী বাবলিন মল্লিক (৩১) যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্ট সদস্য হওয়ার পথে পা বাড়িয়েছেন।
আগামী ১৫ নভেম্বর কার্ডিফ সাউথ ও পেনার্থ আসনের উপনির্বাচনে বর্তমান জোট সরকারের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাটের দলীয় প্রার্থী হিসেবে লড়বেন বাবলিন মল্লিক।
পুলিশ কমিশনার হিসেবে যোগ দিতে লেবারদলীয় বর্তমান এমপি এলানা মাইকেল পদত্যাগ করায় আসনটি শূন্য হয়। প্রধান বিরোধী দল লেবার দলের প্রার্থীদের একচ্ছত্র আধিপত্যে অর্ধশতাব্দী ধরে আসনটি তাদের দখলে। শক্ত লড়াইয়ের পূর্বাভাস দিয়ে মাঠে নেমেছেন বাবলিন।
নির্বাচনের জন্য নিজের প্রস্তুতি নিয়ে প্রথম আলো ডটকমকে চিকিত্সক বাবলিন মল্লিক বলেন, ‘জোট সরকারের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্র্যাট থেকে কার্ডিফ সাউথ ও পেনার্থ আসনে এমপি পদে প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পাওয়া অনেক সম্মানের। ৫০ বছর ধরে লেবারদলীয় এমপিদের কাছে থাকা আসনটি ছিনিয়ে নেওয়া সহজ নয়।
’ স্থানীয় বিশাল জনগোষ্ঠীর ভালোবাসায় তিনি খুবই আশাবাদী বলে জানান বাবলিন। তিনি বলেন, তাঁর পরিবার, নির্বাচনী আসনের বাঙালিরা দলমত-নির্বিশেষে তাঁর পাশে দাঁড়িয়েছেন, এটি তাঁদের বড় ভরসা।
নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে পারলে চিকিত্সক বাবলিন মল্লিক হবেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে দ্বিতীয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সদস্য। তিনি বলেন, ‘আমার খুব ইচ্ছা, দেশের মাটিতে গিয়ে কাজ করব। মানুষের দৃষ্টিশক্তি নিয়ে ব্র্যাকের “ভিশন বাংলাদেশ” কার্যক্রমে শুরু থেকেই জড়িত আমি।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের গবেষণায় সহযোগিতা করতে কিছুদিন পরিবার নিয়ে দেশে ছিলাম। ’ বাবলিন বলেন, দেশের জন্য তাঁর মন পোড়ে।
যুক্তরাজ্যের উপপ্রধানমন্ত্রী ও লিবারেল ডেমোক্র্যাট দলের প্রধান নিক ক্লেগ ব্যাপক নির্বাচনী প্রচারণায় নেমেছেন বাবলিনের পক্ষে। জনসংযোগে নিক ক্লেগ বলেছেন, ‘আমরা প্রার্থী নির্বাচন করতে ভুল করিনি। দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সঙ্গে একাত্ম হয়ে কাজ করছেন বাবলিন।
৫০ বছর ধরে লেবার দলের প্রার্থীরা ওই আসনে নির্বাচিত হয়ে আসছেন, কিন্তু তাঁরা মানুষের জন্য উল্লেখযোগ্য কিছু করতে পারেননি। বাবলিনের ওপর স্থানীয় জনগণের আস্থা রয়েছে। আশা করি, তারই বহিঃপ্রকাশ ঘটবে আগামী নির্বাচনে। ’
বাবলিনের বাড়ি সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার কচুয়া গ্রামে। বাবলিন ছয় বছর বয়সে যুক্তরাজ্যে যান।
তাঁর দুটি কন্যাসন্তান রয়েছে। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বায়োকেমেস্ট্রিতে স্নাতক শেষ করে একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ভিশন বায়োসায়েন্স বিষয়ে চোখের গ্লুকোমা রোগ নিয়ে গবেষণায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। পেশায় গবেষক এই নারী স্থানীয় বাঙালি ছেলেমেয়েদের জন্য ‘শিকড়’ কমিউনিটি স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তা ছাড়া নারীদের উন্নয়নে তিনি উইমেন কানেক্ট ফাস্ট, উইমেন ইন অ্যাকশন, উইমেন মেকিং এ ডিফ্রেন্স প্রভৃতি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন।
সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।