আমিও একজন মানুষ, ঠিক আপনার মতই, , , , , আপনার গার্লফ্রেন্ড/ বউ কে অনেক ভালবাসেন? কিন্তু আপনার গার্লফ্রেন্ড/ বউ আপনার সেই ভালবাসার মূল্য না দিয়ে সামান্য ব্যাপারে রাগ করে, ছোটখাটো ব্যাপারে ঝগড়া করে, উল্টাপাল্টা বলে, আপনি তাকে কোনভাবেই কিছু করতে পারছেন না? তবে চলুন দেখি কিভাবে বউ কিভাবে আপনার ভক্ত হয়?
প্রথমেই চিন্তা করুন আপনার সাথে তেনার কিসের সম্পর্ক? কি হয় উনি? কি চায় আপনার কাছ থেকে? কি হলেই উনি খুশী থাকে? আপনি কি আপনার সবটুকু পালন করছেন? ঠিকমত ভালবাসছেন? এবার চলুন শুরু করি , , , ,
১। প্রত্থম কাজ হল ভালবাসা, উনাকে ভালবাসতেই হবে, মেয়েরা আপনার কাছ থেকে এই একটা জিনিস সর্ব প্রথম চায়। মণ খুলে ভালবাসুন, যখন মনে ভালবাসা কম থাকবে, মুখে ভালবাসি বলতে পারছেন না, মেসেজ দিন, আপনার ভালবাসা প্রকাশ করুন, ভালবাসা লুকিয়ে রাখবেন না,
২। বলুন তো আগের দিনের ভালবাসা এত কঠিন হত কেন? কারন তখন আমাদের মত মোবাইল, ফেসবুক, চ্যাট ছিলনা, ২-৩ ,আসে একটা চিঠি আসত, সেই চিঠিতে যে কত আবেগ থাকত তা বুঝাতে পারবনা। একটা চিঠি লিখতে লিখতে সপ্তাহ পার হয়ে যেত।
আপনিও লিখুন, মাসে একটা চিঠি লিখুন, নিজের আবেগের কথা লিখুন। চিঠি লিখতে না পারলে মেসেজ দিন, কিন্তু হাবিজাবি না লিখে নিজের মনের গোপন ভালবাসার কথাগুলো লিখুন। এমনভাবে লিখুন যেন আপনার কথা উনার মনে জায়গা করে নেয়।
৩। " রাইতের কথা রাইতে ভালো, দিনের কথা দিনে" এই গানের মানে বুঝেন? দিনে আপনাদের কত কথা হয়, কিন্তু ভালবাসার কথা কয় মিনিট হয়? রাতের ১০-২০ মিনিট উনার জন্য রাখুন, হৃদয় থেকে যে কথাগুল আসে তা উনাকে বলুন, এ সময় পারিবারিক, বা নিজের কথা বলতে যাবেন না, উনাকেও বলুন আপনার সাথে শুধু ভালবাসার কথা বলতে, এই ২০ মিনিট নিজেদের জন্য রাখুন, ভবিষ্যতের স্বপ্নগুলো সাজিয়ে নিন, নিজেদের নিয়ে ভাবুন, উনাকে স্বপ্ন দেখান, সুন্দর কিছু রঙ্গিন দিনের স্বপ্ন
৪।
বিশেষ দিবসগুলো যেমন প্রথম পরিচয় দিবস, প্রথম ভালবাসি দিবস, ভালবাসা দিবস, উনার জন্মদিন, আপনার জন্মদিন হোক অথবা বিজয় দিবস, শহীদ দিবস, স্বাধীনতা দিবস হোক, উনাকে নিয়ে উদযাপন করুন। উনাকে নিয়ে ঘুরতে বের হন, কোথাও খেতে যান, পারলে শাড়ি- পাঞ্জাবি পরুন। আপনার উনি যদি দূরে থাকে, উনাকে না জানিয়ে চলে যান ওখানে, সারাটা দিন উনার সাথে কাটান, উনাকে বুঝান যে এই বিশেষ দিনগুলোতে আপনি তার পাশেই থাকতে চান।
৫। ইমপ্রেস করার চেষ্টা করুন, আর সেটা যেভাবেই হোক।
উনার জন্য মাঝে মাঝে ছোটখাটো গিফট কিনুন, সেটা যত ছোট হোক না কেন, কিন্তু উপস্থাপন করুন একটু অন্যভাবে , কিনতে পারেন পায়েল, কানের দুল, গলার চেইন, ২টা ফুল, একটা কলম, আরও কত কি। সামনে বসুন, উনার চোখ বন্ধ করতে বলুন, তারপর নিজের হাতে পারিয়ে দিন, অথবা হাতে দিয়ে উনার চোখে চোখ রেখে বলুন "ভালবাসি", তারপর দেখুন ভালবাসা কত আসে? মাঝে মাঝে উনার মোবাইলে কিছু ক্রেডিট পাঠিয়ে দিন, আর দেখুন ফিরতি কি আসে?
৬। উনার মনে আপনার জন্য শক্ত একটা ভিত গড়ে তুলুন। সবসময় উনাকে সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করুন। উনি মার্কেটে বা যেখানেই যাক না কেন আপনি পাশে থাকার চেষ্টা করুন, উনাকে বুঝান যে প্রতিটা সময় আপনি তার পাশে থাকতে চান।
উনার ফ্যামিলি বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করুন। যে কোন সমসায় মানসিক বা যেকোনভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।
৭। এটা হল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট। সুখী হতে হলে আপনাকে বোবা এবং কালা হতে হবে।
উনি যা বলুক না কেন আপনি কানে প্রবেশ করবেন না, আবার কানে প্রবেশ করলেও মুখে ফেবিকল লাগিয়ে বসে থাকবেন। যখন মনে হবে যে ঝড় থেমে গেছে, তখন পাশে বসুন, উনার হাত ধরে বলুন যে উনার কথা আপনার কত কষ্ট লাগছে, উনাকে বুঝান যে উনি যা বলছে সব ঠিক কিনা? কিন্তু সবসময় নিজে শান্ত থাকুন, উনি আপনাকে সরি বলবেই।
এত ভালবাসা পেয়েও কেও কি চাইবে ঝগড়া করতে? তার মাথায় যদি গিলু নামক কোন জিনিস থাকে উনি কখনো আপনার সাথে সম্পর্ক খারাপ হয় এমন কিছু করবেনা। সে কখনই আপনার ভালবাসা হারাতে চাইবেনা। ভাই, ভালবাসা দিয়ে সব জয় করা যায়, একটু চেষ্টা করেই দেখুন , , , , , , , ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।