আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নুরে আলম সিদ্দিকিঃ তিনি কাঁদলেন এবং কাঁদালেন

নিজের ভাবনা অন্যকে জানাতে ভালো লাগে। নুরে আলম সিদ্দিকি, টিভি টক শো একুশের রাতে আলোচক হিসেবেব এসছিলেন। এই নুরে আলম সিদ্দিকিকে বলা হতো স্বাধীন বাংলা চার খলিফার একজন। বাঙ্গালী জাতির জন্মকালিন সময়ের সবছেয়ে আলোচিত ছাত্র নেতা তিনি। এই প্রজন্মের তরুণদের কাছে খুব পরিচিত কোন নাম না।

একটি জাতির জন্মকালিন সময়ের কত মানুষের কতরকমের ভূমিকা কত বিচিত্র ইতিহাস থাকে। অথচ আজ সমস্ত ইতিহাস যেন এসে যুক্ত হয়ে ঘোষক আর জনক বির্তকের ভিতরে। মুচে গেছে অন্যসব চরিত্র। এখন আর কেউ সেভাবে আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালিন সদস্য, শামসুল হক, আমেনা বেগম, আবদুল মালেক উকিল, কিংবা মাওলানা আবদু রহিম তর্কবাগিশ-এর নাম জানে না। তাঁরা কেউ বেঁচে নেই।

থাকলেও বা। কিছুদিন আগে মারা গেছেন স্বাধীনথা উত্তর ছাত্রলীগের প্রথম সভাপতি ইসমত কাদেরি গামা, শুনেছি খুব মানবেতর জীবন জাপন করেছেন তিনি। কখনো কোন মন্ত্রী এমপির কাছে জাননি সুপারিশ নিতে। ন্যূনতম আত্মমর্জাদা বোধ ছিল বলেই জাননি। কারণ এখন হাসিনা খালেদার কোন সজযোদ্ধা নেই।

যারা আচে তারা চাকর চাপরাশি। জি হুজুর, হ্যাঁ হুজুর ছাড়া অন্যকোন ভূমিকাই তাদের নেই। যে কারণে আব্দুরহমান বিশ্বাস প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও ম্যাড়াম আমাকে ডাকছে বলে, সংবাদ সম্মেলন ফেলে আঁচল ধরতে দৌঁড়াতে হয়। এবার নুরে আলম সিদ্দিকির প্রসঙ্গে বলি, তিনি কাঁদলেন আর বললেন, অঞ্জন যুদ্ধের সময় আমি শরনার্থী ক্যাম্পে গিয়ে মা.দের বলেছি, ‘’মা‌ আপনার একটা সন্তান আমাদের দেন, দেশ স্বাধীন হোক দেশ স্বাধীন হলে আমরা একটা সুখী সমৃদ্ধ দেশ করবো, কিন্তু আজ দেখছি চোর গুন্ডা বশমাইস মাফিয়াদের দেশ হয়ে গেছে। এই জন্যই কী আমরা যুদ্ধ করেছিলাম?’’টিভি সেটের সামনে বসে আমি হতবাগ হয়ে তার বক্তব্য শ্রবণ করলাম, আর মনে মনে শপত করলাম যে করেই হোন এই মাফিয়াদের হাত আমার দেশকে উদ্ধার করবোই! ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।