আমি অচিন পাখি,অচিনই থাকতে চাই শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের গবেষণা মাঠে ফুটেছে বিরল প্রজাতির এক লিলি ফুল। শুধু বিরলই নয় আমাদের দেশে এ প্রজাতির লিলি এটাই প্রথম প্রস্ফুটন। নয়নাভিরাম এ ফুলের আদি নিবাস পৃথিবীর উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দেশ (চীন,জাপান,কোরিয়া,মঙ্গোলিয়া সাইবেরিয়া) গুলোতে এ প্রজাতির দেখা মেলে। বৈজ্ঞানিক নাম খরষরঁস উধঁৎরপঁস। খরষরধপবধব পরিবারের অর্ন্তগত।
ফুলটি দেখতে রক্তিম লাল বর্নের। ছয়টি পাপড়ি জুড়ে কালো বর্ণেও ছোপ এ ফুলকে দিয়েছে অন্যরকম এক নান্দনিকতার ছোঁয়া। পাপড়ি ছয়টি ঘিরে রেখেছে একটি স্ত্রী কেশর এবং পাঁচটি পুংকেশরকে। সরল পত্র বিন্যাসের এ ফুলের পাতা গুলো সম্মুখ প্রান্ত কিছুটা তীক্ষè। আমাদের দেশে নতুন এ ফুলটিয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ফুল গবেষক ড.আ.ফ.ম. জামাল উদ্দিন।
এ ফুলের কোন ইংরেজী নামও জানা যায়নি। বাংলা নামও নেই। তবে খুবশিগগিই একটি সুন্দর বাংলা নাম রাখা হবে বলে জানিয়েছেন খ্যাতনামা ফুল গবেষক ড.আ.ফ.ম. জামাল উদ্দিন
নতুন প্রজাতি এ ফুল সম্পর্কে ড.আ.ফ.ম. জামাল উদ্দিন বলেন, বর্ষা আমাদের দেশে যে সমস্ত ফুল ফুটে তাদের বেশী ভাগই সাদা রংয়ের। নতুন ফুটা লিলি ফুলটি বর্ষাকালে ফুটে। এর রং বৈচিত্র্য বেশ ভাল।
তাছাড়া এ ফুলটি ২০/২৫ দিন পর্যন্ত সতেজ থাকে। সেই দিক থেকে আমাদের দেশের ক্রম বর্ধমান ফুলে চাহিদার প্রেক্ষিতে এটি খুবই উপযোগী। আমাদের দেশে আবহাওয়া ও মাটির জন্যও মানানসই।
ড.জামাল উদ্দিন ফুল সম্পর্কে বলেন, অধিকাংশ লিলি ফুলই ভূমির দিকে অথবা ভূমির সমান্তরালে অন্য কোন দিকে মুখ করে ফোটে থাকে। কিন্তু লিলিয়াম ডাওরিকাম প্রজাতির এ ফুলটি আকাশের দিকে মুখ করে ফোটে।
এ ফুলের বংশ বিস্তারের উপকরন বালব(কন্দ) তিনি ২০১২ সালে এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে তুরস্ক থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। সেটি নিয়ে নানা চেষ্টার পর গত ২১ মার্চ বৃহস্পতি বার প্রথম ফুল ফোটে। প্রতিটি গাছ থেকে প্রায় ২০ থেকে ২৫ টি ফুল থোকায় থোকায় ফুটে থাকে। যা আমাদের দেশের ফুল চাষীদের জন্য সুফল বয়ে আনতে পারবে। তবে এ জন্য আরও গবেষণা করতে হবে বলে ড. জামাল উদ্দিন জানান।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।