আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

করজোড়ে মিনতি হে দণ্ডদাতা একটি দণ্ড দাও।

ভালবাসি মা-মাটি-দেশ। স্বপ্ন দেখি একটি সুন্দর সকাল। এক নতুন সূর্যোদয়ের। স্পেকট্রাম, ফিনিক্স ভবন, রানা প্লাজা এগুলি একের পড় এক নারকীয় নির্মম হত্যাযজ্ঞের প্রতীকী নাম। কেন এই হত্যাযজ্ঞ? কি এমন বিশেষ কারণ থাকতে পারে এর পেছনে? এ কি শুধুই উদাসীনতা? শুধুই দ্বায়িত্বহীনতা? না কিছু রক্ত পিপাসুর রক্তের তৃষ্ণা মেটাতেই মাঝে মাঝে এমন হত্যাযজ্ঞের আয়োজন? কখনো ধ্বসে পড়া কখনোবা আগুনে ঝলসান ইমারতের মৃত্যুর মিছিল প্রশমিত করে শয়তানের আকণ্ঠ তৃষ্ণা।

অথর্ব পঙ্গু আমরা দেখা যাই, সয়ে যাই। মাঝে মাঝে অসভ্যের মত চিৎকার করে, করি শব্দ দূষণ। রাজনীতিবীদগন দয়া করে পদধূলি দেন মৃতের জীর্ণ কুটিরে। ঢঙ করে ফেলার চেষ্টা করেন চোখের জল। যদিবা শত চেষ্টার ফসল হয়ে ঝরে এক ফোটা।

সহস্র স্ন্যাপে তাকে বাধানোর চেষ্টায় থাকে তার চামচারা। তাই বেচে কেনেন ভোট, গড়েন অট্টালিকা। এভাবেই অবধারিত মৃত্যু যাদের ললাট লিখন। তারা আর কেউ নয় বাংলার বেওয়ারিশ সন্তান। জন্মই যাদের আজন্ম পাপ।

এ দেশ-এ মাটি-এ দেশের নেতৃবৃন্দ-দণ্ডদাতা কেউ নয় তাদের। বেওয়ারিশের প্রতি কিসের দায়িত্ব! নেতা ব্যস্ত প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে। সাঙ্গপাঙ্গরা হুকুম তামিলে। সরকার ব্যস্ত বিরোধী দমনে। বিরোধীরা সরকারকে গদিচ্যুত করতে।

আদালত ব্যস্ত দুষ্টের পালনে, শিষ্টকে ঠেলে দিতে রসাতলে। আমি কোথায়? মুখে কুলুপ এঁটে রই আদালত অবমাননার ভয়ে। প্রতিবাদী হই না দাগী আসামী হতে চাইনা বলে। কানে আঙ্গুল দিয়ে রই আর্ত চীৎকার শুনব না বলে। চোখ বুঝে থাকি অমানুষ হতে পারিনি বলে।

তবে কি মানুষ আমি? নপুংশুক এক অপদার্থ এই আমি। না খুনি - না প্রতিরোধকারী। না মানুষ - না অমানুষ। কচ্ছপের মত শক্ত খোলের মধ্যে সেঁধিয়ে থেকে বাঁচি প্রাণে । প্রকৌশলী নকশা করে, শকুনের দৃষ্টিতে করে তদারক নির্মাণের।

শতভাগ নিশ্চয়তা চাই মৃত্যু কুপের। সরকারি কর্মকর্তা মৃত্যুর নিশ্চয়তায় ভবনের নকশাকে দেন অনুমোদন। ধসে একে পড়তেই হবে। মৃত্যু পথযাত্রীর আর্ত চীৎকারে হতেই হবে বাতাস ভারি। নয়ত পিশাচের আনন্দ নৃত্যে টলবে না যে পৃথিবী।

আহ: সে কি সুখ দৃশ্য। রক্ত গঙ্গায় ভাসে মানুষ। বুকের পরে তার শয়তানের তাথৈ নৃত্য। আমরা অথর্ব কেঁদে যাই। দণ্ডদাতা তুমি কি শুনতে পাও না? ঘুমাও এখন? কোথায় তোমার আইনের হাত? কুশীলব যারা এই বীভৎস নাটকের আর কতবার সে পাবে ছার।

কে ঢিল ছুঁড়ে ভেঙ্গেছে কার গাড়ির উইন্ড শিল্ড। তার রিমান্ড লিখতে মহা ব্যস্ত তুমি আজ। অকাতরে মরছে সন্তান মোর মার তুমি দেখ না তা। তোমার সন্তান কেন মরে না, এমন অপঘাতে? আর কত চাও অভিশাপ? শত অভিশাপ আজ তোমার প্রতি। দণ্ডদাতা নও হয়েছ কচ্ছপ আজ আমারই মত।

শত ধিক তোমায়! করজোড়ে মিনতি হে দণ্ডদাতা একটি দণ্ড দাও। এমন দণ্ড দাও যাতে শয়তানের আত্মাও ওঠে কেপে । বন্ধ কর এ নির্মম রক্তের হোলী। একটি দণ্ড দাও। একবার প্রমাণ কর তুমি সিংহ পুরুষ।

চুপ করে কেন হে দাতা? যদি না পার, ফেলে দাও দণ্ড তোমার। এসো একসাথে হই জাহান্নামের ইন্ধন তবে। জানব কেউ নেই আর। বিধাতাও হয়ে গেছে অন্ধ।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।