সকল শহীদ স্বরণে করজোড়ে ক্ষমা চাই
হে আমার জাতীর সর্ব শ্রেষ্ঠ বীর পুরুষগন। আমাদের ক্ষমা করুণ। আমরা আপনাদের যোগ্য উত্তরসূরী হতে পারিনি। আপনাদের বীরত্ব নিয়ে গর্ব করি অহংকার করি। কিন্তু আপনাদের মত নির্বীক চিত্ত আমরা পাইনি।
আপনারা বাঙ্গালির মুক্তির জন্য জীবন দান করেছেন। আমরা প্রান পন করি হাসিনা, খালেদা, এরশাদের জন্য। কজেই আমরা আপনাদের বীরত্বের মর্যাদা রাখতে পারিনি।
তার কারণ অনেক:
ক্ষমা করবেন, আমি জানি আমার কথা শুনে আপনাদের রাগ হচ্ছে। কিন্তু বলতে তো হবেই, সে সংবাদ যত কলংকেরই হউক।
আপনাদের জীবনের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলায় জাতীয় পতাকা পোড়ানো হয়। আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখতে হয়। আপনাদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন, বাংলায় শহীদ মাতাকে দেশদ্রহী করা হয়। ইতিহাস বিকৃতি তো একটা সামান্য ব্যাপার মাত্র।
হ্যাঁ, ব্যাপার খুলেই বলছি।
আপনারাতো প্রায় সবাই বাংলাকে শত্রু মুক্ত দেখে যেতে পারেন নি। আপনাদের দেয়া উপহার স্বাধীনতা আমরা কিছুদিন উপভোগ ও করেছি। যদিও সে সময়ও চোরের উপদ্রব ছিল। তাইতো জাতিরপিতা দুঃখ করে বলেছিলেন: মানুষ হল সারে সাতকোটি কম্বল এসেছে আট কোটি তবে আমার কম্বলটা গেল কৈ?
স্বধীন বাংলায় প্রথম নির্বাচন: আ: লীগ এবং বঙ্গবন্ধুর নজীরবিহীন জনপ্রিয়তা থাকা সত্বেও অতি উৎসাহী কিছু ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের নেতা কর্মিরা নিতান্তই দুর্বল জাসদ, যারা হয়ত একটি কি দুটি আসন পেত কিনা সন্দেহ, তাদের প্রচার, মিটিং, মিছিল জোড় করে পন্ড করে দেয়। এজন্য কেউ কেউ পুরস্কৃত ও হয়।
এভাবে এক প্রকার স্বৈরচারী মনোভাব আঃ লীগ প্রশ্রয় দেয়। যার উদাহরণ আঃ লীগে এখনো পাওয়া যায়। দেশে বিরোধী দল নেই বললেই চলে। জাতি
বঙ্গবন্ধুর আদেশ শীরধার্য মনে করা সত্বেও তিনি বাকশাল করেন। ছোট দল গুলির মত প্রকাশের অধিকার তারা পায়না।
শুরু হয় গোপন দলাদলির, যা আজও চলছে। এদের অনেকেই আপনাদের সহ যোদ্ধা। মত প্রকাশের পথ না পেয়ে এরা বনে জঙ্গলে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে।
এই সুযোগে আপনাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধে হেরে যাওয়া হায়েনার দল আবার সংগঠিত হয়। এবং জাতির পিতাকে প্রয় স্বপরিবারে হত্যা করে।
এই অবস্থায় জাসদ সেই হায়েনাদের মোকাবেলায় নিজেদের যথেষ্ট শক্তিশালী মনে করে। এবং প্রতিরোধ করে। তাদের সবচেয়ে বড় ভুল; তারা ভূল লোককে বিশ্বাস করে তার হাতে ক্ষমতা তুলে দেয়। আপনারা শুনে অবাক হবেন! তিনি জিয়াউর রহমান। তখন কেউ ধারনা করেনি যে আপনাদের মেজর জিয়া স্বাধীন বাংলাকে গো আযমের হেরেম বানাবে।
অবাক হবেননা। এটাই সত্যি। মেজর জিয়া খুব বেশী সময় নেন নি। অতি অল্প সময়েই আপনাদের বীরউত্তম কর্নেল তাহেরকে দাফনের ব্যাবস্থা করেন। জাসদ আঃ লীগ দিয়ে কিমা বানিয়ে গো আযমকে আপনাদের স্বাধীন বাংলায় আমন্ত্রন করেন।
এক সময় তাকেও নর বলি হতে হয়। গো আযম বাংলার মসনদে নতুন পুতুল, এরশাদকে সাজান। এসব আর কি বলব: আপনাদের ধৈর্য্যচুতি ঘটছে? কিন্তু ঘটনার এখানেই শেষ নয়।
বঙ্গবন্ধুর কন্যা হাসিনা এরশাদ স্বৌরাচারীর সাথে প্রহসনের নির্বাচনে নামে। গো আযম গোফে তেল মাখছে আর ভাবছে; এই হাসিনা আমাকে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে।
এদিকে দেশের মানুষ অন্য বশ্রের অভাবে দিশে হারা। আন্দোলনের নামে হরতাল দিয়ে সোনার বাংলা শ্মশান করে ফেলেছে। জনগনের বারটা বেজে গেছে। সেদিকে বঙ্গকন্যার খেয়াল নেই।
এই সুযোগের অপেক্ষায়ই ছিল গো আযমরা।
খালেদাকে মঞ্চে রেখে শহীদ মাতাকে দেশদ্রহী বানায়। অলংকারের সখ মেটাতে খালেদা খাজাঞ্চীখানা সাঙ্গ পাঙ্গ নিয়ে খালি করছে। বাইতুল মালের বদৌলতে গো আযমদের টাকার অভাব নাই। জনগনের চিন্তা তো আর তাদের করার কথা নয়।
এখন আমরা যারা আপনাদের বীরত্বে গর্বিত, কিছু বলতে পারি না।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির তালিকা বানায় গো আযম আর খালেদা জিয়া। এই তো দিন কয়েক হল, এক ছেলে কি এক ছবি আঁকছে, সে জন্য তার ফাঁসী চায়। চাইবে বা না কেন! ইসলামে জীব-জন্তুর ছবি আঁকা হারাম।
আমাদের ক্ষমা করবেন, গো আযমদের কাছে আমরা হেরে গেছি। স্বাধিন বাংলায় এখন শুধু গো আযম স্বাধীন।
সোনার বাংলা এখন মোল্লাদের হেরেম। আপনাদের বীরত্ব ক্ষমায়ও শ্রেষ্ঠ। আমাদের ক্ষমা করুণ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।