শিরোনামে কারো গা জ্বালা করলে লেখক ক্ষমা প্রার্থী।
একজন গার্মেন্টস কামলা হিসেবে গত ১১বছরের অভিজ্ঞতায় দেখা যায় যে, যে সকল নারী গার্মেন্টেসে চাকরী করে (আমার মতে কামলা দেয় যেমনটি আমি দিয়ে থাকি) তাদের লেখা পড়ার যোগ্যতা আন্ডার কলেজ। আন্ডার কলেজ বলতে কোন রকমে এসএসপি পরীক্ষা দিয়েছে মাত্র ৩০ (প্রতি বিষয়ে) নম্বরের জন্য ৫বিষয়ে অকৃতকার্য। এরপর অনেকে আছেন আমার মত মাঠ পাশ। মাঠ পাশের সাথে অনেকেই পরিচিত, অতিদূরে স্কুলের অবস্থানের কারনে যেতে হত মাঠের মধ্য দিয়ে আর যেতে আসতে মাঠেই সময় পার।
বর্তমানে বা গত ৩/৪বছর যাবত কিছু শিক্ষিত মেয়ে যেমন ইন্টার মিডিয়েট পাশ করারা আসছে কিউসি বা কোয়ালিটি কন্ট্রোল লাইনে।
এই সকল মেয়েদের যোগ্যতা বলতে ৩ থেকে ৩০ইঞ্চি সাইজের একটানা সেলাই যেটা নিয়ন্ত্রণ করা হয় অন্য কারো দ্বারা। ১০০জনে একজন হাজির করে তার মেধাত্বের সাথে সকলের মেধার মিশ্রন না করে সার্বিক দিক বিবেচনায় এই মন্তব্য।
যা হউক যে কথা বলছিলাম, পাওয়াফুল রেশমা। সুরঞ্জিত বাবুর মতে হেফাজতে ইসলাম যখন স্বজন হারিয়ে সুবাহান আল্লাহ সুবাহান আল্লাহ বলে বিদেয় নিল, সারা দেশ তথা বিশ্ব মিডিয়াও শুরু করল বাংলার রিপোর্ট আর বাংলার মানুষের মুখে মুখে রানা প্লাজায় ধ্বংশস্তুপ থেকে হাজারো লাশের শোক বার্তায় ভারি যখন অধর চন্দ্র, তখন ঘটলো তুংহাই গার্মেন্টস এ আরেক ঘটনা ৩তলার আগুনে পুলিশের ডিআইজি সহ মারা গেলেন কোম্পানীর মালিক ৮তলায় বসে।
একের পর এক শোক মিছিলে যোগ হতে লাগল শোক বার্তা সরকারের ইমেজ তখন দেশ ছাড়িয়ে বিশ্ব চড়ে স্বয়ং পোপের কানেও পৌছে গেছে। স্বয়ং পোপও মন্তব্য করতে ছাড়লেন না যদিও রেশমাদের পাওনা না দেয়াতে তারাই বিশ্ব সেরা। অন্যদিকে বিশ্ব মিডিয়ায় প্রকাশিত হল সরকারের একগুয়েমির চিত্র রানা প্লাজায় উদ্ধার অভিযানে বিদেশী সহায়তা গ্রহণ না করার কথা। এত অধিক লাশ আর উদ্ধার অভিযানের ধীর গতির কারনে সবাই তখন নাখোশ আর বিরোধীদের মুখে তো স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঝাকুনি তত্ব ঠিক তখনই দিন খন বুঝে শুক্রবারে সরকারী ছুটির দিনে আর্বিভাব হল পাওয়ারফুল রেশমার।
সুবাহান আল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমেত হাজির হল রেশমা।
সব ভুলে দেশ বাসিয়ে ঝাপিয়ে পড়ল রেশমার আর্বিভাবে দিকে। জাতি হিসেবে বাঙালি যে পুরাটাই আবেগী সেটি আরেক বার প্রকাশ করে ধর্ম পক্ষ প্রচারে নেমে গেলে সুবহান আল্লাহ সুবহান আল্লাহ, রাখে আল্লাহ মারে কে শিরো নামে আর আরেক পক্ষ নেম পড়ল আমরা পারি সব কিছু, প্রযুক্তীতে আমারা অনেক এগিয়ে ১৭দিন পর রেশমা উদ্ধার করে। --------------------- -- এটিএন বাংলা প্রচার করল ধারাবাহিক। বিটিভি বঙ্গবন্ধু ফেলে ছুটে চলল রেশমার পেছনে।
১৭দিন পর জীবিত উদ্ধার চকচকা লাল বসনের পরিপাটি রেশমাকে নিয়ে আনন্দের শেষ রইলো না মিডিয়া গুলির।
বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে রেশমা নাটক শিরোনামে পায়ের নখ থেকে চুলের ক্লিক বিভিন্ন দিকে তুলে ধরে নাটক প্রমানের চেষ্টায় গুনি সমাজে সফলও হলেন।
শিবের গীত অনেক বেশি হয়ে গেল, কিন্তু কি করার শিবের গীত ছাড়া তো ধান থেকে চাল বের হয় না।
পাওয়ার ফুল রেশমা বলার কারণ এতসময়ে নিশ্চয় সবার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে। এবার আসা যাক অন্য প্রসঙ্গে রেশমার চিকিৎসা নিয়ে। জীবিত উদ্ধার হওয়ার পরও রেশমা দীর্ঘদিন থাকলেন সম্মলিত সামরিক হাসপাতালে আর সেখান থেকে সরাসরি চাকুরী মিলে গেল ৫তারা বা ফাইভ স্টার হোটেলে থার্টিফাইভ বা ৩৫থাউজেন হাজার টাকা বেতনের।
এই ঘটনায় রেশমা শুধু একাই জীবিত উদ্ধার নয় সাথে আছে আরো হাজার তিনেক যারা বেঁচে ফিরেছেন রানা প্লাজা থেকে। তাদের কে কোথায় চিকিৎসা নিয়েছেন বা চাকরী পেয়েছেন সে সম্পর্কে জানা না গেলেও তাদের মজুরীর জন্য আন্দোল করতে হচ্ছে এবং পুলিশের পিটুনি জুটেছে কপালে সে খবর অনেকেই জেনে গেছেন নিশ্চয়। এদের বিপরীতে একরেশমা জয় করে নিল সোনার বাংলাটাকে।
পাওয়ারফুল রেশমা নামকরণ লেখকের মতে যথার্থই বটে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।