বেপোয়া মানুষ বিএনপি সিটি কর্পোরেশন, উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিল তাহলে জাতীয় নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক কেন?
বর্তমানে আমাদের এই দেশে বিরাজমান অস্থিতিশীল, সংঘাতপুর্ণ পরিস্থিতির মধ্যদিয়ে পাড়ি দিচ্ছে এবং এটা হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা যা বিরোধীদল দ্বারা সৃষ্টি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল এবং জাতীয় নির্বাচনে দেশের সাধারন জনগণের কাছে নিজেদের আস্থা হারিয়ে বর্তমান বিরোধীদল সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। আর এই কাজে তারা তাদের দোসর জামায়াতে ইসলামকে ব্যবহার করছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পুরাতন নির্বাচন কমিশনারের অধীনে জানুয়ারী ২০০৯ এ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিরোধী দলের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন পরিলক্ষিত হয়।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বিএনপি সমর্থিত প্রাথী নির্বাচিত হয়। এরপর নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষান্তে নতুন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের পর নতুন সিটি কর্পোরেশন রংপুর এবং নারায়ণগঞ্জের সিটি মেয়র নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সর্বশেষ চলমান সিলেট, বরিশাল, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ভালভাবেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সকল নির্বাচনে যে আওয়ামীলীগের প্রার্থীর জয় হয়েছে এমন কিন্তু নয়। তাহলে এতেই কি প্রমানিত হয়না যে, নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন, নিরপেক্ষ এবং সরকারের কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করছে? বিগত সকল নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ করতে পারে তাহলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে তাদের বাঁধা কোথায়? এখানে কেন আবার তত্ত্বাবধায়কের প্রয়োজন হল? এতে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিরোধীদলের যে দ্বিমত তা শুধুমাত্র যুদ্ধাপরাধীর বিচার বানচাল এবং আগামী জাতীয় নির্বাচনে নিজেদের নড়বড়ে অবস্থান জেনে যাওয়ায় সেখানে একটি পুকুর চুরির অপপ্রয়াস মাত্র।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।