বাধঁ জোড়ার আওয়াজ > With Great Power, Comes Great Responsibility দুইজনের মধ্যে ১ জনের সাথে দেখা হল আরেকজন জরুরী কারনে সময় বের করতে পারেন নাই ।
প্রশ্ন হতে পারে দুইজনটা কে ?
আর কেউ না ... ১ম সামু ব্লগার যার সাথে ১ম দেখা হয় ভিয়েনার মাটিতে । তিনি সস্ত্রীক ভিয়েনাতে ছিলেন কয়েকমাস । উনার বিস্তারিত সিভি.. পুরান পোষ্টে .. সার সংক্ষেপ ঃ ভাল ও খারাপ মিলিয়ে চমৎকার মানুষ । খারাপ বললাম এই কারনে আমার বিশ্বাস প্রত্যেকের মধেই ভাল ও খারাপ ব্যাপারটা আছে, খোদ শয়তানের মধ্যে ভাল গুন বিদ্যমান ছিল ।
সেটা আরেকটা মতবাদ
২য় সামু ব্লগার হল আমার এক বন্ধু যা আমিও জানতাম না সে ব্লগার আর সেও জানত না আমি সামুতে ব্লগাই, কাল ভদ্রে জানা হল বছর ২ পর ! কোইনসিডেন্স বা কাকতালীয় বলা যেতে পারে ।
৩য় ব্লগার হল সুখী পাগলা যার সাথে আজ দেখা হল । খুবই প্রানবন্ত ও সাহায্যকারী ব্যক্তি । পথ ঘাট সঠিকভাবে না চিনাতে হেল্পু করল অনেক । আমার একটা গোপন ইচ্ছা ছিল ।
কিন্তু সেই মিশন কমপ্লিট হল না । আমার নিজস্ব প্রতিবন্ধকতা ছিল । .. *গোপন ইচ্ছাটা পরে বলছি । ব্যাপারটা ব্লগে শেয়ার করাটা ঠিক না তবুও করলাম ।
আর কিছু বই কিনার দরকার ছিল নীলক্ষেত থেকে এতে সহায়তা করলেন সুখী সাহেব ।
দুঃখিত ব্যক্তিগত কারনে উনার নাম শেয়ার করতে পারছি না ।
আর হ্যাঁ .... একটা সাইড ব্যাগ বা ঝুলানোর ব্যাগ দরকার ছিল । খুব ছোটকালে স্কুলে যেতে ব্যবহার করেছিলাম এই টাইপের, মেঝদা কানাডা থেকে নিয়ে এসেছিল । স্কুলে ব্যবহার করার সময় সহপাঠীরা অনেক রাগাত । তখনও এই টাইপের ব্যাগ এত জনপ্রিয় হয় নাই ।
তাই মেয়েদের ব্যাগ ব্যবহার করাতম বলে ! কিন্তু যুগ পাল্টেছে ।
তবে তাকে ঠিকমত আপ্যায়ন করতে পারি নাই । একচল্লি আমার জীবনে অনেকটা সময় নিঃসঙ্গ কেটেছে । যদিও বাস্তবিক দিক দিয়ে মনে হয় নাই কিন্তু আভ্যন্তরিনভাবে নিঃসঙ্গ ! আমি চাইতাম আমার বন্ধুরা বা পরিবার আমার জন্মদিন পালন করুক, একটু নিজে থেকে খবর নেওয়া কিন্তু তা প্রথম প্রথম হলেও সবাই নিজের পালে হাওয়া নিয়ে ব্যস্ত // আর কত চাওয়া পাওয়া । তাই কাছের কাউকে পাওয়ার চেষ্টা করি সাধ্যমত নিজের অপূরন অনুভূতি অন্যের মধ্যে সঞ্চালন করে তৃপ্তিটা পাওয়ার ।
হতে পারে আমি পাই না কিন্তু অন্য তো পেল ।
সুখি সাহেবকে একটা প্রশ্ন করি জি এফ/ বি এফ/জীবন সঙ্গী বা সঙ্গীনির ব্যাপারে যা করা ঠিক হয় নাই । কৌতুহূলী ছিলাম হয়ত ।
বাসায় এসে উনাকে ফোনে বলা উচিত ছিল কিন্তু কি মনে করে আর জানাই নাই যে, আমি ঠিকমত বাসায় পৌছিয়েছি ।
৪র্থ হল মনে নাই তো কি করার সাহেব আরও জটিল মানুষ ।
যাকে সাহেব বলা খুবই মজার । সেটা উনি আর আমি বুঝি । উনি খুব দ্রুত কথা বলেন... বুঝা বহুত কষ্টের । যাই বলেন খারাপ বলেন না । মনে হচ্ছিল ভাইবা বোর্ডের সামনে বসছি ।
উনি মানুষের মনের কথা পড়ে ফেলতে পারবেন কিন্তু সমস্যা হল উনার মাইন্ড রিড করা কষ্টকর ! উনার প্রশ্নের ধারা জটিল ছিল আর কি । আর উনার সাথে বাস্তবে দর্শন সম্ভব হয় নাই জরুরী কারনবশত তবে ফোনে কথা ভালই জমে উঠে , মনে হয় ১ ঘন্টার কতা ১০ মি. ই শেষ ! উনার একটা কমপ্লিমেন্ট ভাল লাগল সেটা হল আমার ভয়েস নাকি পিচ্চিদের মত ! কেউ ছোট থাকতে পারে না, আর আমি ভয়েস দিয়েই পিচ্চি হয়ে গেলাম । খুব মজার ।
উনার একটা প্রশ্ন আমাকে ভাবায় যা আমি ব্লগার সুখী পাগলাকে করেছিলাম । বিয়ে করেছেন কি ? এই প্রশ্নের উত্তর খুবই গভীর ।
প্রশ্ন ঘুরে জি এফ এর কথা গেল । আর বাড়ালাম না ... জীবন খুবই বাস্তব । প্রশ্নটা কাউকে করা যেমন আমার কিউরিসিটি বা কৌতুহল বাড়ায় তেমনি নিজে মুখোমুখি হলে অপার বাস্তবতার সামনে ঠেলে নিয়ে যায় । কখনো মনে হয় নিজের মধ্যে কোয়ালিটি নাই কাউকে মন মত পাবার আবার কখনো মনে হয় কপাল বা ভাগ্য ! যাই হোক টেনশন করতে থাকলে চিন্তা বাড়বে আর মাথায় টাক হবে ! সো নো চিন্তা নো ফুর্তি ....আবার ভুলে রেডিও ফুর্তি মনে করবেন না যেন !
*রক্তদান
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।