অভিনেতা জিয়া খানের আত্মহত্যার ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের মুম্বাইয়ের পুলিশ বলিউডের অভিনেতা অদিত্য পাঞ্চোলির ছেলে সুরজকে গ্রেপ্তার করেছে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করে জিয়া খানের লেখা চিঠির সূত্র ধরে সুরজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুরজের সঙ্গে জিয়া খানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে ধারণা করা হয়। আত্মহত্যার আগে জিয়া শেষবারের মতো সুরজের সঙ্গে ফোনালাপ করেছিলেন।
কিন্তু জিয়া খান কী লিখেছিলেন? দীর্ঘ চিঠিতে জিয়া তাঁর একাকীত্ব ও অসহায়ত্বের জন্য সুরজকে দায়ী করেছেন।
তিনি লিখেছেন, ‘হয়তো তুমি কখনো জানবে না, তুমি আমার এমন গভীরে স্পর্শ করেছো যার জন্য আমি তোমার প্রেমে হারিয়ে গেছি। যদিও তুমি প্রতিদিন আমার ওপরে নির্যাতন চালাতে, তবুও। আজকাল আমি কোন আলো দেখি না। ঘুম ভাঙ্গলেও আমি চাই না ঘুম ভাঙ্গুক। একটা সময় ছিল যখন আমি তোমার সঙ্গে জীবনযাপনের কথা ভাবতাম, ভবিষ্যতের কথা ভাবতাম।
’
নিজের ভয় পাওয়ার কথাও বলেছেন জিয়া। লিখেছেন: ‘গর্ভধারণের ভয় হচ্ছিল, কিন্তু এরপরও তুমি যে কষ্ট দিয়েছ তা বরণ করে নিয়েছি। প্রতিটি দিন তা আমাকে কুড়েকুড়ে খেয়েছে, আমার মনকে পঁচিয়ে দিয়েছে। আমি খেতে, ঘুমাতে, ভাবতে বা কোন অনুষ্ঠানে যেতে পারি না। সবকিছু থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
ক্যারিয়ারের কোন আশাও আর নেই। ’
সুরাজের সঙ্গে পরিচয় থেকে প্রেম, তারপর আরও বেশি ঘনিষ্ঠতার বর্ণনা দিয়েছেন জিয়া তাঁর চিঠিতে। নিজের নির্যাতিত হওয়ার ও যন্ত্রণায় ভোগার বর্ণনা চিঠিতে ছড়িয়ে রয়েছে। তিনি লিখেছেন: ‘আমি জানি না কেন বিধাতা আমাদের সাক্ষাত্ করালেন। যে যন্ত্রণা, ধর্ষণ, দুর্ব্যবহার ও নির্যাতনের শিকার আমি হয়েছি, তার তো কথা ছিল না।
কোন ভালোবাসা বা অঙ্গীকার তোমার মধ্যে দেখিনি। দিন দিন কেবল ভয় পেয়েছি, এই তুমি পেটাবে বা বকাবকি করবে। নারী আর পার্টি নিয়ে তোমার জীবন। আমার জীবনে ছিলে শুধু তুমি আর আমার কাজ। বেঁচে থাকলে তোমাকে আমি ব্যাকুলভাবে চাইতাম।
তাই নিজের ১০ বছরের পেশা ও স্বপ্নকে চিরবিদায় জানালাম। তোমাকে বলিনি, কিন্তু তোমার একটি বিষয় আমার কানে এসেছিল। তুমি আমার সাথে প্রতারণা করেছ। ’
জিয়া আরও লিখেছেন: ‘জন্মদিনে গোয়া ভ্রমণ ছিল আমার জন্য উপহার। আমার সঙ্গে প্রতারণা করার পরও আমি তোমার জন্য ছিলাম।
ভীষণ কষ্ট পেলেও আমাদের সন্তানকে আমি গর্ভপাত করিয়েছিলাম। ... তুমি বলেছিলেন এক বছরের মধ্যে আমাদের বাগদান হবে। কিন্তু তুমি কথা রাখনি। ’
চিঠির শেষে জিয়া লিখেছেন, ‘আমি কেউ নই। আগে আমার সব ছিল।
এখন তোমার সঙ্গে থাকলেও আমার একা লাগে। তুমি আমাকে নিঃস্ব ও অরক্ষিত করে দিয়েছ। অথচ আমি এর চেয়েও বেশি কিছু। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।