(উপরের ছবিটা গুগল থেকে পাওয়া)
আগের পর্বগুলো - ১ , ২ , ৩ , ৪ , ৫ , ৬ , ৭ , ৮
জয়পুরে যেতে যেতে আমরা আলাপ করছিলাম কোন কোন জায়গায় ঘুরতে যাব। পরিকল্পনা অনুযায়ী আমাদের জয়পুর পৌঁছে বিশ্রাম নেয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমরা কি আর বিশ্রাম নেয়ার মানুষ? জয়পুরের মূল শহরে প্রবেশ করতে না করতেই আমাদের বন্ধুরা পরিকল্পনা করে ফেলল আমরা হোটেলে চেক ইন করেই বের হয়ে যাব সিনেমা দেখতে, জয়পুরের বিখ্যাত রাজমন্দির সিনেমা হলে ৯ টার শো। এমন কি তারা পোস্টার দেখে এও বের করে ফেলল আমরা কোন সিনেমা দেখব। স্যার আর গাইডকে এই কথা জানাতে তারা বলল সময় পাওয়া যাবে না, আর এত দেরি করে গেলে টিকেটও পাওয়া যাবে না।
বন্ধুরা জানাল, আজকের সিনেমা একেবারেই ফালতু, এই সিনেমা দেখতে খুব বেশি মানুষ আসবে না, কাজেই টিকেট পেতেও সমস্যা হবে না। তাদের এই ধারণা ভুল হয়নি।
আমরা হোটেলে পৌঁছালাম আটটারও পরে। খুব অল্প সময় হাতে। হোটেলে যার যার রুমের চাবি পাওয়ার পর সবাই ঝটপট ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে গেলাম।
এখন সিনেমা হলে যাওয়ার বাহন হল রিকশা। জয়পুরের এই রিকশা আমাদের দেশের রিকশার মত না। এখানে সামনে-পিছনে দুই দিকেই বসার সিট আছে। পিছনে যে বসে তাকে হুডের নিচ দিয়ে ঢুকে পড়তে হয়। আমরা তিন কন্যা এক রিকশায় উঠলাম।
সামনে দুজন আর পিছনে এক সখী। আমাদের সাথে এক বন্ধুকেও নিয়ে নিলাম। সে বেচারা পিছনে চেপেচুপে কোনমতে বসল। আমরা জিজ্ঞেস করেছিলাম বসতে পেরেছে কি না, কারণ ওর বসার ধরণে মনে হচ্ছিল অর্ধেক বসতে পেরেছে। কিন্তু স্বীকার করল না।
তাড়াহুড়া করে বের হয়েও সিনেমা হলে পৌঁছাতে আমাদের একটু দেরিই হয়ে গেল। সোয়া নয়টায় আমরা দৌড়ে দৌড়ে টিকেট কাটতে গেলাম। টিকেট পেয়েও গেলাম। হলে ঢুকে দেখি অর্ধেক সিটই খালি। অভিষেক-কারিশমার সিনেমা, নামটা বিশাল, মনে পড়ছে না এখন।
সিনেমা ফালতু হলেও বিশাল রাজমন্দির সিনেমা হলের সাউন্ড সিস্টেম আর ঝকঝকে স্ক্রিনে আমরা মুগ্ধ। তবে সিনেমাটা এতই বোরিং ছিল যে শেষের দিকে আমরা কয়েকজন বিরক্ত হয়ে বেরই হয়ে গেলাম। হোটেলে ফিরে যেতে চাচ্ছিলাম, কিন্তু স্যার আমাদের একলা ছাড়তে রাজী হলেন না। এদিকে বাকীরা কেউ সিনেমার শেষ না দেখে বের হতে চাচ্ছিল না। তাই ঐটুকু সময় আমরা হলের বিশাল লবিতে আড্ডা দিয়ে কাটালাম।
পরদিন সকালে আমরা প্রথমে গেলাম জলমহলে। জলমহল হল পানির উপর তৈরি প্রাসাদ। ভিতরে ঢোকার খুবই ইচ্ছা ছিল। কিন্তু পর্যটকরা দলে দলে এই মহলে ঢুকতে গেলে ভেঙে পড়ার আশংকা আছে, তাই দূর থেকে দেখেই মন ভরতে হল।
এখানে এক ফেরিওয়ালা আমাদের নজর কাড়ল।
এমন কিছুই না, একটা ঝুড়িতে করে জয়পুরী চুড়ি বিক্রি করছিল সে। আমরা মেয়েরা তো কিনলামই, ছেলেরাও কয়েক সেট করে কিনে নিল। খুব সস্তায় চুড়িগুলো বিক্রি করছিল, আমাদের দেশে যে দামে পাওয়া যায় তার চার ভাগের এক ভাগ দামে। আমি দুই সেট কিনেছিলাম, কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত চুড়িগুলোর বেশির ভাগই ব্যাগে অন্য জিনিসপত্রের চাপে পড়ে ভেঙে গিয়েছিল। তিনটা মাত্র চুড়ি অক্ষত অবস্থায় আনতে পেরেছিলাম।
জলমহল দেখার পর আমরা গেলাম আম্বার ফোর্টে। ফোর্টটা একটা পাহাড়ের উপর তৈরি। বাসে করে কেল্লার নিচের দিকের ফটকের কাছে নেমে যেতে হল। এরপর পাহাড় কেটে তৈরি করা ঢালু সিঁড়ি দিয়ে হেঁটে উঠতে হয়। কেউ যদি হাঁটতে না চায় তাহলে হাতির পিঠে করে হেলেদুলে উঠতে পারে।
আমাদের কয়েক বন্ধু তা-ই করল। আমরা বাকীরা হেঁটেই গেলাম। আম্বার ফোর্ট পাহাড়ের উপর বিশাল এলাকা নিয়ে করা। ভিতরে অনেকগুলো অংশ আছে। হেঁটে হেঁটে পাহাড়ে উঠতে গিয়ে যত ক্লান্তি হয়েছিল মূল প্রাসাদ ফটকের কাছে যেতেই সব ক্লান্তি দূর হয়ে গেল।
নানান জাতের পায়রা বাসা বেঁধেছে ফটকের প্রতিটা খোপে খোপে। আর ফটকের কারুকার্যের সৌন্দর্য্য তো আছেই।
ভিতরের একেকটা অংশ, একেকটা মহল দেখছি আর মুগ্ধ হচ্ছি। শিশমহল নাকি পুরোটাই আয়না দিয়ে মোড়া ছিল। পরে সব আয়না চুরি হয়ে যায়।
আমাদেরকে আয়না ছাড়াই আয়নামহল দেখে মন ভরাতে হল। তবে এই অবস্থায়ও আন্দাজ করা যায় মহলগুলো কত সুন্দর ছিল।
বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম আমরা। একটা অংশে অনেক অলি-গলি সরু রাস্তা আর সিঁড়ি দিয়ে যেতে হয়। সম্ভবত কোন গোপন রাস্তা ছিল এটা।
এখানে দিয়ে যেতে একটা মহলের একটা অংশ পাওয়া যায় যেখানে মাঝখানে একটা ছোট আঙিনা ঘিরে চারদিকে আটটা কক্ষ ঘিরে আছে। গাইডের কাছে জানলাম এটা ছিল বাদশার আট বেগমের শোবার ঘর। একটা মজার গল্পও বলল গাইড। এর আগে অন্য একটা গ্রুপ নিয়ে ঘুরতে এসে এই আঙিনায় গাইডের সাথে কয়েকজন আপু ছবি তুলেছিল। পরে দেখা গেল গুণে গুণে দুই পাশে চারজন করে মোট আটজন আপুর সাথেই ছবিটা তুলেছিল গাইড।
যা হোক, মহলগুলোর ভিতরের অংশগুলো যেমন একেকটা একেক রকম সুন্দর, কেল্লার চারদিকের দৃশ্যও কম সুন্দর নয়। পাহাড়গুলো যেন আগলে রেখেছে এমনভাবে ঘিরে আছে পুরো কেল্লা।
কেল্লা থেকে বের হবার ফটক আরেকটা। এখান থেকে বের হয়ে বিশাল বিশাল সিঁড়ির ধাপ পেরিয়ে অনেকখানি নামতে হয়। সিঁড়ি দিয়ে নামতেও যে ক্লান্তি হতে পারে, তা আজ বুঝলাম।
নামার পথে আমরা কুলফিওয়ালাকে পেয়ে সবাই কুলফি নিলাম। রোদে ঘোরাঘুরির পর ঠান্ডা কুলফি খেলে আরাম লাগবে ভেবেছিলাম, কিন্তু কুলফিটার স্বাদ এতই পচা ছিল যে মনে হল না নিলেই ভালো হত। কোনমতে অর্ধেকটা খেয়ে বাকীটা ফেলে দেবার ধান্দা করছিলাম। কিন্তু সবার চলার পথে ফেলাটা একটু কেমন দেখায়, সুযোগ আর জায়গা খুঁজতে থাকলাম। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে পাশে একটা দোকান দেখতে পেলাম যেখানে বিভিন্ন ধরণের শোপিস আর হালকা গয়না বিক্রি করছিল।
একটা মহিলা আর ছোট একটা মেয়ে দোকান চালাচ্ছিল। এখানে ঢোকার সময় দেখলাম বাইরে একটা ভাঙা কাঠের টুকরা দেয়ালের সাথে হেলান দিয়ে রাখা। এর পিছনেই আমার কুলফি চালান করে দিলাম। দোকানটা ঘুরে ঘুরে দেখলাম কিন্তু পছন্দ হল না কিছুই।
আম্বার ফোর্ট থেকে বের হয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একটা বড় দোকান চোখে পড়ল।
একটু এসির ঠান্ডা বাতাস খাওয়ার ধান্দায় ঢুকে পড়লাম। দোকানটা ছিল দুই অংশে ভাগ করা। এক অংশে শাড়ি, আরেক অংশে কসমটিক্স। এখানে জিনিসপত্রের দাম এতই বেশি যে আমরা কিছু কেনার চিন্তা করতে পারছিলাম না। তবে একটা জিনিস বেশ কমদামে দিচ্ছিল, তা হল স্থানীয়দের তৈরি চাবির রিং।
আমি বেশি করে কিনে নিলাম, স্যুভেনির হিসেবে।
হোটেলে ফিরে দুপুরের খাবার খেয়ে আমরা আবার বের হলাম। এবারের গন্তব্য বিড়লা মন্দির। মন্দিরের প্রবেশ পথে আমরা।
মূল মন্দিরের সিঁড়িতে আমাদের গাইডের সাথে।
মন্দিরের সামনে পুজারত নারীর মূর্তি।
মন্দিরের ভিতর ছবি তোলা নিষেধ। কিন্তু এক বন্ধু যে কোলকাতার এক তেরাস্তার মোড়ের মন্দিরে পুজা দিয়েছিল, এখানে সে পুজা দেয়ার পর টুপ করে ছবি তুলে নিয়েছিল।
বিড়লা মন্দিরটা খুবই সুন্দর। তবে আমার নজর আটকে গিয়েছিল এর পাশে পাহাড়ে পুরনো একটা কেল্লার উপর।
আমি খুব আশা করেছিলাম যে ওখানেও আমাদের নিয়ে যাওয়া হবে। জানলাম সেরকমটা হবে না, তাই মন্দিরের চত্বর থেকেই কেল্লার ছবি তুলে মন ভরানোর চেষ্টা করলাম। কিন্তু আমার সাধের ছবিটায় এই লোকটা দিল গ্যাঞ্জাম বাঁধিয়ে। এরপর এই ছবি দেখলে কেউ আর পিছনের কেল্লা দেখে না, বরং বলে, এটা কাকে জুটিয়েছ তুমি ওখানে গিয়ে?
মন্দিরের সামনের আঙিনাটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল। এখানে বসে ছবি তোলার জন্য সুযোগ খুঁজছিলাম যাতে আশেপাশে কোন লোকজনের ছবি না আসে।
এইবার ঠিকই সফল হতে পারলাম।
পরদিন সকালে আমাদের শপিং টাইম। এখন সবাইকে যার যার নিজদায়িত্বে যেতে হবে। আমরা গাইডের কাছ থেকে এখানকার মার্কেটের ঠিকানা জেনে নিলাম, রিকশাওয়ালাকে কিভাবে বলতে হবে তাও শিখে নিলাম। এরপর তিন কন্যা অভিযানে নেমে পড়লাম।
এবার রিকশায় পিছনের সিটে বসার পালা এল আমার। বসতে গিয়ে টের পেলাম ঐদিন আমাদের বন্ধুর আসলেই কত কষ্ট হয়েছিল। সিটটা এতই ছোট, আমি তো তবু সখীদের গা ঘেঁষে চেপেচুপে বসেছি, সে তো আমাদের থেকে এক হাত দুরত্ব বজায় রেখে বসেছিল। আদৌ বসতে পেরেছিল কি না সেটাই সন্দেহ। যা হোক, রিকশায় করে হাওয়া খেতে খেতে পিংক সিটি দেখতে ভালোই লাগছিল।
যদিও গোলাপী রঙের আধিক্য এখন আর আগের মত নেই। নতুন করে বানানো ভবনগুলো বেশির ভাগই অন্য রঙ করা। গোলাপী রঙ দেখলেই বোঝা যাচ্ছিল এগুলো পুরনো ভবন।
মার্কেটে পৌঁছে আমরা ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করলাম। আমার জানের জান ভাগ্নের জন্য কাপড় কিনতে গিয়ে যে কী সমস্যায় পড়েছিলাম।
আমি বলি বাচ্চাদের জামা দেখাতে, জিজ্ঞেস করে, বেবীর জন্য? আমি বলি, হ্যাঁ, বেবীই তো। ভাগ্নের বয়স তখন মাত্র পাঁচ মাস, বেবী না তো কী? কিন্তু বেবী বললেই দোকানদাররা মেয়েদের ফ্রক বের করে দেখায়। কি জ্বালা! আবার বলতে হয়, ছেলে বাবুর জামা দেখান। তখন ছেলেদের কাপড় দেখায়। কয়েকটা দোকান ঘুরে বুঝতে পারলাম ওরা বেবী বলতে শুধু মেয়ে বাবু বোঝায়।
হইল কিছু?
আরও কয়েকটা শব্দ আমাদেরকে গাইড শিখিয়ে দিয়েছিল। ওখানে আমাদের মত থ্রিপিস বলে না কেউ। থ্রিপিস জামাকে বলে স্যুট। কোথায় স্যুট, কোথায় জামা। যা হোক, আমরা স্যুটও দেখলাম।
জয়পুরের বিখ্যাত চুন্দ্রী স্যুট। বোনদের জন্য কিনেও নিলাম।
রাতে আমরা রওনা হব সিমলার উদ্দেশ্যে। তাই সবাইকে আগে থেকেই বলে রাখা হল যেন গরম কাপড় পরে নেয়, বা হাতব্যাগে নিয়ে নেয়। এইবার আমি একটু ঝামেলায় পড়ে গেলাম।
আমি কোন গরম কাপড় আনিনি। আমার পরিকল্পনা ছিল আমি সিমলা থেকে গরম কাপড় কিনব, শুনেছি ওখানে কমদামে ভালো মানের গরম কাপড় পাওয়া যায়। কিন্তু সিমলায় ঢুকতেই ঢুকতেই তো আমার গরম কাপড় লাগবে। যাক, ব্যবস্থা হয়েই যায় সবকিছুর। সখীদের একজনকে বললাম আমাকে গরম কাপড় ধার দিতে একদিনের জন্য।
সে একটা শাল আমার জন্য বের করে রাখল। আমরা বের হয়ে গেলাম হিমাচল প্রদেশের রাজধানী সিমলার উদ্দেশ্যে।
জয়পুর থেকে সিমলা অনেক দূর। রাতে রওনা দিয়ে ভোরবেলা আমরা পৌঁছালাম যেখানে, সেখানে নেমে দেখি একটা পার্ক যার বাইরে ওয়াশরুম আছে। সবাই হাতমুখ ধুয়ে দাঁত ব্রাশ করে ফ্রেশ হয়ে নিলাম এখানেই।
ওয়াশরুম পরিষ্কার করে এক মহিলা। তাকে সবাই কিছু কিছু করে পয়সা দিয়ে দিলাম। সকালের নাস্তায় পাউরুটি ডিমের সাথে কলা দেয়া হয়েছিল যেটা আমার তেমন পছন্দ না। আমি খুঁজছিলাম কাকে দেয়া যায়। দেখলাম একটা ছোট মেয়ে আরেকটা পিচ্চিকে কোলে নিয়ে আমাদের চারপাশে ঘুরঘুর করছে।
ঐ মেয়েকেই সাধলাম। সে ভীষণ লজ্জা পেয়ে গেল, কিছুতেই আর নেয় না। বুঝলাম সে গরিব হলেও ভিক্ষা করতে চায় না। আমি তারপর বললাম, এটা তুমি না খেতে চাইলে তোমার ছোট বোনটাকে দাও। তখন সে নিল, আর পরম মমতায় ছোট বোনটাকে খাইয়ে দিতে থাকল।
এই পার্কটার নাম ছিল পিঞ্জর গার্ডেন। এখানে ঘোরার পরিকল্পনা ছিল না, তারপরও কেউ কেউ টিকেট কেটে ঢুকে পড়ল। আমিও তাই করলাম, এখানে অন্তত টিকেটের দামের ব্যাপারে সেই অদ্ভূত নিয়ম নেই। পার্কটার অদ্ভূত ব্যাপার হল, এটা লম্বা একটা রাস্তার মত, যার মাঝখানে একের পর এক ফটক আসে, আর ফটকের মাঝে মাঝে গাছপালা ঘেরা ফোয়ারা বসানো। পুরো পার্কটাই এমন, ফটকগুলোর ডিজাইনও সবগুলো একই রকম।
যা হোক, অল্প সময় এখানে কাটিয়ে আমরা আবার রওনা দিলাম সিমলার উদ্দেশ্য। আরও অনেক দূর যেতে হবে আমাদের।
চলবে................
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।