বারবার শুধু ছিটকে পড়ি অশ্লীল কারাগারে প্রার্থনা সেইসব টগবগে যুবক, আবাল বৃদ্ধ বণিতার রুহের প্রতি যাদের রক্তস্নান, লজ্জাস্নানে এই পারিবারিক গোরস্থানের স্বপ্ন সম্ভব হয়েছিল। এবং করুণা সেইসব যুবক, আবাল বৃদ্ধবণিতার উদ্দেশ্যে যাদের তৃষ্ণার্ত লড়াইয়ের প্রেরণা ছিল সবুজ কার্পেটে মোড়া একখন্ড বেপরোয়া স্বাধীন ভুমি, দোয়েল, ফরিঙ এর কলরবে সজীব জীবনের স্পন্দনের ভাষান্তর, দুমুঠো উদর পুর্তিতে দরাজ গলায় ঘাসের ডগার গানে মাতোয়ারা কৃষক, অথবা মরা গাঙে হঠাত আসা উজানে কৃষ ধীবরের অসাংবিধানিক উল্লাস, ছনের জীর্ণ ছাউনি ঘেরা রেজিষ্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বালক বালিকাদের সুরে দুখ মাখা ভাত কাকে খাওয়ার ছন্দ,মায়ের উষ্ণ আদরে খোকার অকালে ঘুমিয়ে পড়া যেখানে বর্গিদের আর হানা দেয়ার গল্প নেই। কি খ্যাতই না স্বপ্ন দেখেছিল তারা আর এই খ্যাত স্বপ্ন কিনেছিল চড়া দামে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্বর দায় কাধে তুলে নিয়েছি। এইসব খ্যাত স্বপ্ন রয়ে যাক কবিতার শব্দে, ইতিহাসের খোরাকে।
আমরা সব স্বপ্নকে গোরস্থানে কনভার্ট করেছি, অতি লাভজনক বিধায়। গড়ে তুলেছি অতি মনোহর এক শৈল্পিক সিমেট্রি।
আমাদের গোরস্থানের চারিদিকে অবারিত প্রান্তর, ধুসর হাওয়ারা দামাল ছেলের মতো কবরের চারিদিকের জলজ অঙ্গে কলরব তোলে, পাখিরা কবরে সৌন্দর্যে মুগ্ধতা ঝড়ায়। শরতে দিঘন্ত জোরা ঘাস ফুলে কাতর হাওয়ার মাতাল আর্তনাদ। শিক্ষাবীহিন নাগরিকরা ঘাসফুলে তৃপ্ত হয়, কবরের সৌন্দর্য সৌকর্যে, স্থাপত্যরীতিতে আপ্লুততার প্রকাশ ঘটায় যত্রতত্র।
হায়! কি যেন নাম সেই আর্কিটেক্ট, তুমি জিনিয়াস বটে। কিন্তু তুমি জানতেনা হতচ্ছাড়ার দল সব এখানে প্রবেশের রাস্তা খোজা। নিতান্তই গণতান্ত্রিক বলে একটা প্যানাফ্লেক্স ব্যানারে বড় করে লিখতে পারিনা 'এটা পারিবারিক গোরস্থান, সাধারণের প্রবেশ নিষেধ। আমাদের উদরতার সুযোগে সাইফুর, মহীউদ্দীন, আলাউদ্দিনরা শুন্য কবরে ঠাই নেয়ার প্রত্যাশায় ফরম কেনে। আমরা সেসব বাতিল করতে পারিনা, আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে মিশে থাকা গণতন্ত্রের সবল কণিকাদের আস্ফালনে।
কিন্তু আর কত? ঘাতকের ভাষায় সেই গন্ডগোলের বছর তোরা মাঠে, ঘাটে, জলায় তপ্ত বুলেট ধারণ করেছিস, আমরা অসাধারণরা সম্মান দিয়ে বলি আত্নদান, সেটাইকি তাদের আর উত্তরসূরীদের আসল জায়গা নয়? আমাদের পারিবারিক গোরস্থানে তোদের কেন এত লোভ? অদ্যকাল পিতার সুউচ্চ আসনে উড্ডীনের দরুণ শুন্য কবরেতো অন্য কারো ঠাই পাওয়ার কথা নয়। তারপরও দু/একটা মর্কট যুজতে চায়।
আমরা ধৈর্য্য ধারণ করছি, ধৈর্য্যশীলদের সাথে সৃষ্টিকর্তা আছেন। দশ/কুড়ি/ত্রিশ বর্ষ , নাকি তারও অধিক? ..আহ কি সেই দিন হবে, যেদিন সবাই জানবে, মানবে আমাদের পারিবারিক গোরস্থানে অন্য কারো অধিকার নেই। সৃষ্টিকর্তা সেই মহান দিনটির জন্য বাঁচিয়ে রাখুন।
........... আমিন
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।