... প্রাণ জুসের একটি বোতলে লোহার নাট-বল্টু পাওয়া গেছে। এ মুহূর্তে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার কাছে বোতলটি কর্ক (ছিপি) না-খোলা অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে জনস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ ঝুঁকিপূর্ণ দিকটি বেরিয়ে আসলো। অনেকেই বলছেন, জুস বা এ ধরনের পানীয়ে প্রায়ই ভেজাল বা দূষিত পদার্থ পাওয়া যাচ্ছে।
গত বুধবার নাজিম চৌধুরী নামের এক ক্রেতা ফেনী শহরের মহিপাল থেকে প্রাণ কোম্পানির তৈরি করা ২৫০ এমএল প্রাণ ফ্রুটো জুস নির্ধারিত মূল্য (২২ টাকা) দিয়ে কেনেন।
এর সিরিয়াল নং বিডি এস ১৫৮১। বোতলটি কেনার পরই ক্রেতা উৎপাদন তারিখ দেখেন। মেয়াদ ২৩/৫/১৩ থেকে ২২/৫/১৪ পর্যন্ত। সবই ঠিক আছে কিন্তু কর্ক খোলার সময় দেখেন, বোতলটি একটু ভারি লাগছে। এখানেই খটকা! একটু নেড়েচেড়ে ক্রেতা দেখেন বোতলের ভেতর আস্ত নাট-বল্টু।
ক্রেতা রেগে যান বিক্রেতার ওপর। দোকানদার তার কাছে মাফ চেয়ে বলেন, “কোম্পানি এভাবেই বাজারজাত করেছে। আমার দোষ নেই। ” ক্রেতাও একপর্যায়ে বোতলটি না কিনে চলে যান। কৌতহলবশত এ বোতলটি দাম দিয়ে কিনে নেন সোলায়মান ডালিম নামের একজন।
তিনি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা।
প্রাণ ম্যাঙ্গো জুসে এ পর্যন্ত একাধিকবার ক্ষতিকর মাত্রায় ফরমালিন পাওয়া গেছে। ফরমালিন মিশ্রিত প্রাণ ম্যাঙ্গো জুস বিক্রি করায় গত ৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে নগরীর দুইটি প্রতিষ্ঠানকে দশ হাজার টাকা জরিমানা করেছিলো। অভিযানে ফ্রুটো জুসে ক্ষতিকর মাত্রায় (২.৩০ পিপিএম) ফরমালিন পাওয়া যায়।
ইতোপূর্বে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) জানিয়েছে, ‘প্রাণ’-এর কোনো ফ্রুট ড্রিংকসে অন্তত ১০ শতাংশ আসল ফলের রস থাকার কথা থাকলেও তাতে এর আদৌ কোনো উপাদান নেই।
এসব পণ্য হলো ম্যাংগো, অরেঞ্জ, লেমন, স্ট্রবেরি, লিচি, আপেল, পাইনঅ্যাপল ও ফ্রুট ককটেল। শুধু কৃত্রিম সুগন্ধী প্রয়োগ করে এসব ড্রিংকস তৈরি করা হয়েছে।
সুত্র ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।