হজ্জের সময় নাফরমানীমূলক কাজ থেকে বিরত থাকা ব্যতীত মকবুল হজ্জ বা খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক ও উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সন্তুষ্টি নেই। সেটাই মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফ-এ উল্লেখ করেন, “যে ব্যক্তি হজ্জ করার ইচ্ছা পোষণ করে সে যেন অশ্লীল-অশালীন বেপর্দা-বেহায়া, হারাম-নাজায়িয ইত্যাদি কাজ থেকে বিরত থাকে।” অর্থাৎ খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি হজ্জ করতে নির্দেশ করেছেন আর খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনি বলেছেন, “তোমরা যারা হজ্জ করবে তাদের জন্য হারাম কাজ করা যাবে না।” এখানে ফিকিরের বিষয়, যেখানে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক তিনিই বান্দাকে শিক্ষা দিলেন যে, হজ্জ করতে হলে হারাম কাজ করা যাবে না। সেক্ষেত্রে বর্তমান হজ্জের পদ্ধতিতে কিভাবে হাজার হাজার হারাম কাজ করে মুসলমানগণের বুনিয়াদ ‘হজ্জ’ পালন করা যাবে? অপরদিক থেকে ছবি তোলা হারাম। স্বয়ং খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি অসংখ্যবার নিষেধ করেছেন। যেমন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেছেন, “কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির সবচাইতে বেশি শাস্তি হবে যে ছবি তুলে, আঁকে এবং রাখে।” (বুখারী শরীফ) হাদীছ শরীফ-এ অসংখ্য নিষেধাজ্ঞার পরেও কোনো উম্মতের পক্ষে খালিক্ব, মালিক, রব মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাজার হাজার ছবি তুলে তথা হারাম কাজ করে হজ্জ করতে পারে?
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।