আমাদের সবার প্রিয় ও শ্রদ্ধেয় সাংবাদিক আতাউস সামাদ স্যার আর নেই (ইন্নালিল্লা....রাজিউন) । আজ রাত ১০:৪১ মিনিটে ডাক্তাররা অফিসিয়ালি মৃত ঘোষণা করেছেন তাকে। এর আগে রাত ৯:২৫ মিনিটে স্যারের লাইফ সাপোর্ট খুলে নেয়া হয়
এ মৃত্যুর সঙ্গে অবসান হলো স্বাধীন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার একটি স্বতন্ত্র অধ্যায়ের। স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক এক সোচ্চার কন্ঠের বিদায় বীন বাজল। দেশ হারালো এমন এক নক্ষত্রকে যাকে আর কোনদিন ফিরে পাওয়া যাবে না ।
আমরা হারালাম আমাদের প্রিয় স্যারকে। তিনি ছিলেন আমাদের সাংবাদিকতা জীবনের বরপুত্র। আমাদের মান্যবর, শ্রদ্ধার্ঘ্য।
তিনি সাংবাদিক আতাউস সামাদ। আমাদের স্যার।
প্রিয় ও শ্রদ্ধেয়। এ দেশে, বাঘা বাঘা কত রিপোর্টার তৈরির কারিগর এ মানুষটি। দেশের আধুনিক সাংবাদিকতা তার হাতে গড়া। আমরা নবীন বা প্রবীণ সব সাংবাদিকই তাকে স্যার বলে ডাকি। এক বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী তিনি।
কত অজস্র স্মৃতি আর অর্জণ তার। সাংবাদিকতা, দেশ ও মাটিকে গভীরভাবে ভালবেসেছেন। প্রতিদান হিসেবে পেয়েছেন জেল, জুলুম আর নির্যাতন।
আতাউস সামাদের সংক্ষিপ্ত জীবনী
প্রখ্যাত সাংবাদিক দৈনিক আমার দেশ-এর উপদেষ্টা সম্পাদক আতাউস সামাদ-এর জন্ম ময়মনসিংহে ১৯৩৭ সালের ১৬ নভেম্ব¦র। তার গ্রামের বাড়ি হচ্ছে, কিশোরগঞ্জের সতেরদরিয়ায়।
তার পিতার নাম আবদুস সামাদ ও মাতা সায়েরা বানু। স্ত্রীর নাম কামরুন্নাহার রেনু। তিনি এক ছেলে ও দুই মেয়ের জনক।
আতাউস সামাদ তার কর্মবহুল সাংবাদিকতা জীবন শুরু করেন ঢাকায় ১৯৫৯ সালে। তার শেষ কর্মস্থল দৈনিক আমার দেশ।
তিনি এই পত্রিকার উপদেষ্টা সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস নিউজ-এর বাংলাদেশস্থ সংবাদদাতা (১৯৮২-৯৪), নয়াদিল্লিতে বাসস-এর বিশেষ সংবাদদাতা (১৯৭২-৭৬), পাকিস্তান অবজার্ভার (অধুনালুপ্ত বাংলাদেশ অবজার্ভার) পত্রিকার চিফ রিপোর্টার (১৯৬৫-৬৯) ছিলেন। এছাড়াও তিনি পূর্ব পাকিস্তান সাংবাদিক ইউনিয়ন (ইপিইউজে, ১৯৬৯, ১৯৭০) সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।