আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পৃথিবীকে গ্রাস করবে সূর্য?

আন্তর্জাতিক গবেষকদের একটি দল প্রথমবারের মতো নক্ষত্রের স্ফীতির কারণে গ্রহের ধ্বংসের প্রমাণ পেয়েছে। প্রথমবারের মতো নিজের বলয়ে থাকা গ্রহখেকো নক্ষত্রের সন্ধান পাওয়ায় আমাদের সৌরজগতের ভবিষ্যৎ নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গবেষকেরা। তাদের আশঙ্কা, আমাদের সৌরজগতের গ্রহগুলোরও সূর্যের স্ফীতির কারণে একসময় একই ভাগ্যবরণ করতে হতে পারে। জানিয়েছে লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস। অবশ্য এ প্রসঙ্গে গবেষকরা জানিয়েছেন, আশঙ্কা থাকলেও পাঁচ বিলিয়ন বছরের আগে আমাদের সূর্য ‘লাল দানব' নক্ষত্রে রূপান্তরিত হবে না।

পেনসিলভানিয়া স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিদ্যার গবেষক এ্যালেক্স ওয়ালসইকসন জানিয়েছেন, সৌরজগতের বাইরে প্রথমবারের মতো এমন একটি গ্রহের সন্ধান মিলেছে, যে গ্রহটি ‘রেড জায়ান্ট' বা ‘লাল দানব' নক্ষত্রের স্ফীতি আগ্রাসনের শিকার হয়েছে। পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক অ্যালেক্সের সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে কাজ করছেন পোল্যান্ডের নিকোলাস কোপারনিকাস ও স্পেনের মাদ্রিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। তারা এ লাল দানব নক্ষত্রটির নাম দিয়েছেন ‘বিডি+৪৮৭৪০'। নক্ষত্রটি সূর্যের চেয়েও প্রাচীন এবং আকারে ১১ গুণ বড়। গবেষকরা জানিয়েছেন, প্রাচীন নক্ষত্রগুলো নিজের জ্বালানি শেষ করে ফেলার পর স্ফীত হয়ে লাল দানব নক্ষত্রে পরিণত হয় এবং তার চারপাশের গ্রহগুলোকে নিজের দিকে টানতে থাকে।

এ ধরনের ঘটনা মহাবিশ্বে অনেক ঘটলেও মহাজাগতিক সময়ের হিসাবে ‘বিডি+৪৮৭৪০' স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ দ্রুতই এ আগ্রাসন শুরু করেছে। তারা আরও জানিয়েছেন, এ ধরনের নক্ষত্র সৃষ্টির সময় সাধারণত সূর্যের সমান ভর থাকে। কিন্তু বয়স বাড়তে থাকলে নক্ষত্রটির কেন্দ্রের হাইড্রোজেন জ্বালানি ফুরিয়ে যায় এবং এটি স্ফীত হয়ে লাল দানব নক্ষত্রে পরিণত হয়। গবেষকরা জানান, হবি-ইবারলি টেলিস্কোপ ব্যবহার করে তারা প্রাচীন একটি নক্ষত্র নিয়ে গবেষণা করছিলেন। নক্ষত্রটির চারপাশে গ্রহের সন্ধান করতে গিয়ে এর আগ্রাসনে বিলুপ্ত হওয়া একটি গ্রহের ধ্বংসাবশেষের অস্তিত্ব টের পান তারা।

গবেষকরা দেখেন, তাদের খোঁজ পাওয়া গ্রহটির কেবল উপবৃত্তকার কক্ষপথ ও অদ্ভুত রাসায়নিক উপাদান এখন টিকে রয়েছে। গ্রহটির বাকি সবকিছুই নক্ষত্রটি গিলে নিয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে যুক্তরাজ্যের গবেষকরা হাবল স্পেস টেলিস্কোপ ব্যবহার করে সূর্যের মতো দেখতে একটি গ্রহখেকো নক্ষত্রের সন্ধান পেয়েছিলেন। নক্ষত্রের পেটে ঢুকে যাওয়া ওই গ্রহটির নাম ওয়াসপ-১২বি। গ্রহটিকে পুরোপুরি খেয়ে ফেলতে নক্ষত্রটির এক কোটি বছর লেগে যাবে বলেই গবেষকরা হিসাব করে বের করেন।

তাদের মতে, পৃথিবীর সময়ের হিসাবে ওয়াসপ-১২বি প্রতি ১ দশমিক ১ দিনে ওই নক্ষত্রটিকে আবর্তন করে। আর গ্রহটির তাপমাত্রা দেড় হাজার সেলসিয়াসেরও বেশি। নক্ষত্রের বেশ কাছে থেকে আবর্তন করার কারণে গ্রহটির বায়ূমন্ডল অস্বাভাবিক স্ফীত হয়ে এর বিভিন্ন পদার্থ নক্ষত্রটি গ্রাস করছে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.