আমি চাই শক্তিশালী স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ
সেই ২০০২ সালের কথা ব্রাজিলিয়ান রোনাল্ডিনহো তার দেশের বিশ্বকাপ জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল। অন্তত কোয়ার্টার ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ফ্রি কিক হতে র্দূদান্ত গোল বিশ্বকাপের একটি দারুণ ইতিহাস। ঐ সময় তার ফ্রান্সের প্যারিস সেন্ট জার্মেই ক্লাবের সাথে ইউরোপের নামী দামী কয়েকটি ক্লাবের সাথে তাকে নেওয়ার দেন দরবার চলছিল। এতে অন্য সব ক্লাবের মধ্যে এগিয়ে ছিল ইংল্যান্ডের ম্যানইউ ও স্পেনের বার্সেলোনা। প্রথমে প্যারিস সেন্ট জার্মেই ম্যানইউর কাছে তাকে বিক্রিতে রাজী থাকলেও অর্থের পরিমাণ কম হওয়াতে আর বেচেনি।
শেষমেশ বার্সেলোনা ফরাসী ক্লাবটিকে চাহিদা মাফিক অর্থ দিয়ে তাকে নিজেদের খেলোয়াড় করে নেয়। তাই সে ২০০৩ মৌসুম হতে বার্সেলোনার হয়ে খেলা শুরু করে। ম্যানইউ নিজ দেশে লীগ জিতলেও ২০০০ হতে ২০০৭ পর্যন্ত কোন ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ান্স লীগের কোন শিরোপাই পায়নি। তারপর যদিও ২০০৮ এ মস্কোতে চেলসিকে হারিয়ে ৯ বছর পর শিরোপা নিয়ে পরের বছর ২০০৯ ফাইনালে উঠে বার্সেলোনার কাছে ২-০ গোলে হেরে যায়। তারপর আবার ২০১১ সালে ফাইনালে বার্সেলোনার কাছে হেরে যায় ৩-১ গোলে।
২০০৯ সালের পরাজয় মেনে নিলেও ২০১১র টা মানতে পারিনি। কেননা বার্সেলোনার মেসি, জাভি, ইনিয়েষ্টাদের বিরুদ্ধে বুইড়া পল স্কোলস, রায়ান গিগস সত্যিই বেমানান। পুরো ৯০ মিনিটে রুনি কে দিয়ে গিগসের গোল করানো ছাড়া কোন যুতসই বল যোগান দিতে পারেনি। এখন বর্তমানের রুনি ও ভ্যান পার্সি ছাড়া আক্রমণ ভাগে জগৎ বিখ্যাত খেলোয়াড় নেই। চ্যাম্পিয়ান্স লীগে বিশেষ করে ল্যাটিন কোন বিখ্যাত তারকা ছাড়া চ্যাম্পিয়ান্স লীগের শিরোপা জেতা প্রায় অসম্ভব! এই যখন অবস্থা তখন বেশ কয়েক মাস ধরেই শুনছিলাম পরবর্তী মেসি তথা ব্রাজিলিয়ান নেইমারকে দলে নিতে চায় ম্যানইউ।
কিন্তু নেইমারের সাফ কথা চুক্তির মেয়াদ পর্যন্ত তার বর্তমান দল সান্টোস ছেড়ে অন্য কোন দলে সে যাবে না। ম্যানইউর মাথে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সাও তার পেছন পেছন লেগে থাকে। তবে সব জল্পন ও কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পরবর্তী মৌসুমে নেইমার যাচ্ছেন বার্সাতেই;
Click This Link
বার্সেলোনা ক্লাবের উদ্ধৃতি দিয়ে স্পেনের পত্রিকা Sport জানায় যে সান্টোসের সাথে তাদের নেইমারের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে। নেইমার বার্সাতে যেতে চায়
Click This Link
বার্সার প্রেসিডেন্ট সান্ড্রো রোসেল বলেন এই সমঝোতা অনুযায়ী সান্টোস যদি এখন ইউরোপ বা বিশ্বের অন্য ক্লাবের সাথে নেইমারকে বিক্রি করে তবে সান্টোসকে ৪ কোটি ইউরো জরিমানা দিতে হবে।
মূলত বার্সার বড় রকমের অর্থের জন্যই সান্টোস নেইমারকে এক মৌসুম তথা ২০১৪র আগেই ছাড়তে রাজী হয়েছে।
এই ক্ষেত্রে ম্যানইউ রোনাল্ডিনহোর মতই কৃপণতা করেছে। অবস্থাদৃষ্টে এখন মনে হয় যে ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ান্সলীগে জেতার জন্য ম্যানইউর স্পৃহা কম। সে অর্থ চিনে ভাল। তাই এই ক্লাব আসলেই কৃপণ! এই কারণেই বেশীর ভাগই চ্যাম্পিয়ান্সলীগ হয় রিয়াল নতুবা বার্সা জিতে আসছে। জগত বিখ্যাত সব বেশীর ভাগ তারকার মেলা এই দুই দলেই আছে।
এই কারণেই ম্যানইউ বিগত ১২-১৩ বছরে মাত্র ২ বার চ্যাম্পিয়ান্সলীগের শিরোপা জিতেছে। এর সমর্থক হিসেব আমি এই ক্ষেত্রে সত্যিই হতাশ! এখনও তারা স্কোলস ও গিগসকে দিয়ে প্রিমিয়ালীগেও কাজ চালায়। অথচ ফার্গুসন ভাল করেই জানেন চ্যাম্পিয়ান্সলীগে এই দুইজন এখন অচল ঘোড়া। তাই যদি এই রকম দল নিয়ে ম্যানইউ আগামী ২-৩ বছরে চ্যাম্পিয়ান্স লীগের শিরোপা জিতে সত্যিই অবাক হব! ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।