আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সব কর্মক্ষেত্রে মোট জনশক্তির অর্ধেকই হবে নারী : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আমি একজন ছাএ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১ সাল নাগাদ প্রশাসন, চাকুরি ও নেতৃত্বসহ বাংলাদেশের সব কর্মক্ষেত্রের অর্ধেক প্রতিনিধিত্ব করবে নারীরা । তিনি বলেন, 'আমি সংসদে ও নেতৃত্বের সব পর্যায়ে প্রতিনিধিত্ব ২০ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ বৃদ্ধির মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করছি। ' তিনি বলেন, এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মোট জনশক্তির অর্ধেক হবে নারী এবং তাদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন ও গৃহে নির্যাতন থেকে রক্ষার জন্য আইন প্রয়োগের জন্য আরও ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী আজ সোমবার এখানে ইন্টারকন্টিনেন্টাল বার্কলে হোটেলে 'সমঅংশীদারিত্বের ভবিষ্যৎ' শীর্ষক অনুষ্ঠানে দেয়া ভাষনে এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, 'যদিও সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বব্যাপি নারীর ক্ষমতায়ন বাড়ছে, কিন্তু এখনও তা যথেষ্ট নয়।

' বাংলাদেশে নারীর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করার ব্যাপারে তাঁর প্রতিশ্র"তির কথা পুনঃরুল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মহিলা ও মেয়েরা বিশ্বের জনসংখ্যার অর্ধেক। তাদের সমঅংশীদারিত্ব বিশ্বে কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে পারে। ' প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দুই লাখ নারী শত্র"দের কাছে মান-সম্ভ্রম বিসর্জন দিয়েছেন। তাদের আত্মবিসর্জনকে স্বীকৃতি দিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে পুরুষের মত নারীর সমঅধিকার নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, 'সংবিধানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সংযোজিত বিধান আমাদের জন্য নারী উন্নয়ন নীতিমালা ২০১১ বাস্তবায়ন সহজ করে দিয়েছে।

' নারী উন্নয়ন নীতিমালায় উচ্চ শিক্ষার লক্ষ্যে মেয়েদের জন্য দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা , প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে বিনামূল্যে বই বিতরণ এবং বিশেষত ১২ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মায়েদের জন্য সন্তান জন্মের আগে ও পরে স্বাস্থ্য সেবা প্রদান এবং পুষ্টির বিষয়টি গূরুত্ব পেয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীদের নির্বাচন সম্পর্কে তিনি জানান , ২০০৯ সালে তাঁর সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর স্থানীয় সরকারের সর্বনিম্ন পর্যায়ে ১২ হাজার ৮৩৮ জন নারী নির্বাচিত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৬৯ জন নারী সংসদ সদস্যের মধ্যে পাঁচজন পূর্ণ মন্ত্রী (ক্যাবিনেট মন্ত্রী), একজন সংসদ উপনেতা, একজন হুইপ রয়েছেন । এছাড়াও একজন মেয়র রয়েছেন। বর্তমানে বাংলাদেশে বিচার বিভাগ , প্রশাসন , কূটনীতি , নিরাপত্তা বাহিনী এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোতে নারীরা উচ্চ পদে আছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকারী চাকুরির ৩০ ভাগ নারীদের জন্য সংরক্ষিত।

জেন্ডার সংবেদনশীল বাজেট বরাদ্দসহ সুশীল সমাজ ও গনমাধ্যমে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে তাদের উৎসাহিত করা, ব্যবসা ও জনশক্তির সর্বস্তরে তাদের প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে অগ্রগতি অব্যহত আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন , গ্রামীণ নারীদের জন্য শতকরা পাঁচ ভাগ সার্ভিস চার্জসহ সুদমুক্ত ঋণ দেয়া হয়েছে। এই নারীদের সংখ্যা প্রায় আড়াই কোটি। তিনি আরও বলেন, নারী উদ্যোক্তারা 'ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা তহবিল'-এর শতকরা ১০ ভাগ এবং শিল্প প্লটের ১০ ভাগ পাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ৩০ লাখ নারী তৈরি পোশাক খাতে কর্মরত আছেন এবং অনেকে বিদেশে কাজ করছে ও বৈদেশিক মুদ্রা পাঠাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ২০০৯ সালে দায়িত্ব নেয়ার পর তাঁর সরকার নারী ও শিশুদের সুরক্ষায় মানব পাচার বিরোধী আইন এবং পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধ আইন প্রণয়ন করেছে। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।