আমি একজন ছাএ কল্যাণকামী রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হলে রাষ্ট্র প্রধান জনগনের সেবক হবেন, এতে সন্দেহ নেই। বাঙ্গালী বিলাসী জীবনে অভ্যস্ত নয়। সামন্তবাদী ব্যবস্থায় যে বিলাসী ব্যবস্থার পত্তন হয়েছিল তাহা ব্রিটিশ রাজশক্তির দ্বারা সৃষ্ট সমাজের সার্বজনিনতা ছিল না। ছিল শুধু শোষণ যন্ত্রণা দুঃখ, কষ্ট, ক্ষুধা, দারিদ্রতার ভয়াল কুৎসিত রুপ। এ বিষয়ে স্মরণযোগ্য ৭৬ এর মনান্তর এবং ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষ।
বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা সত্যজিৎ রায় তার অশনি সংকেত ছবিতে বাংলার দুর্ভিক্ষের ছবি তুলে ধরেছেন এবং চিত্র শিল্পী জয়নুল আবেদিন দুর্ভিক্ষের ছবি এঁকে উপনিবেসবাদিদের শোষণের চিত্র তুলে ধরেছেন। আধুনিক কল্যাণকামী রাষ্ট্রে সরকারের ব্যয় বহুমুখী। এ ব্যয় ব্যবস্থা মেটাতে সমাজের বিত্তশালীদের কর প্রদান করতে হবে। তবেই সরকারিভাবে গড়ে উঠবে সড়ক সেতু, স্কুল কলেজ, হাসপাতাল যাবতীয় সামাজিক তথা রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান। জরুরী অবস্থাকালীন দেশবাসী দেখেছে সমাজের রাঘব বোয়াল নামে কথিত ব্যক্তিরা কর প্রদান না করার অজুহাতে জেল জরিমানার সম্মুখীন হয়েছেন।
কর ফাঁকি দেয়ার একটা সংস্কৃতি প্রচলিত ছিল। এতে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হয়ে লুটপাটের সংস্কৃতি চালু হয়েছিল। এ ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে দেশবাসীর সামনে রূপকল্প ২০২১ প্রদান করা হয়েছে। যাহা সরকারের দুরদর্শিতার প্রমান মেলে। এ ব্যবস্থার সফল বাস্তবায়ন হবে-স্বতঃস্ফুর্ত কর প্রদানের মাধ্যমে।
তাই ২০১১কে রূপকল্প না ভেবে সফল বাস্তবায়নের লক্ষে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমাদের সহযোগিতার হাত বাড়ায়ে অভিষ্ট লক্ষে পৌঁছাতে হবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।