সবুজের বুকে লাল, সেতো উড়বেই চিরকাল দুইদিন আগে সামুতে যা ঘটে গিয়েছে, এনিয়ে অসংখ্য লেখা এসেছে। সেই দিকে না গিয়ে খুব সংক্ষেপে দুটি কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি।
এ নিয়ে সন্দেহের আর কোন অবকাশ নেই যে একটি বিশেষ চক্র, সামুকে ধবংসের চক্রান্তে লিপ্ত। আজকে থেকে না, অনেকদিন আগে থেকেই।
বাক স্বাধীনতার নাম করে দেখা গিয়েছে যে, ইসলাম এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে জঘন্য উক্তি মন্তব্য এবং কুৎসিত আক্রমনকে সামু ক্রমাগত প্রশ্রয় দিয়ে এসেছে।
একথা ভুললে চলবে না যে, বাংলাদেশের মুসলমানদের বা ইসলামকে, বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতেই দেখতে হবে। নরেন্দ্র মোদি বা পাদ্রি টেরি জোন্স বা নেতানয়াহুদের দৃস্টিভঙ্গি দিয়ে নয়।
মুক্তচিন্তা বা বাকস্বাধীনতা ফেরি করে বেড়ানো পশ্চিমা সভ্যতাতেও কিন্তু সীমাবদ্ধতা আছে। সেখানে হলোকাস্ট বা ইহুদিদের বিরুদ্ধে কিছু বলাটা আইন লংঘনের মধ্যে পড়ে।
তাহলে এটা সুস্পস্ট যে, মুক্তচিন্তা এবং বাকস্বাধীনতার একটা নির্দিস্ট সীমা আছে।
সবচেয়ে বড় কথা সামুরও নির্দিস্ট নীতিমালা আছে। যার মধ্যে ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ানোর বিরুদ্ধেও ব্যাবস্থা নেয়ার কথা আছে।
তাহলে প্রশ্ন জাগে যে, কোন পীরিতির কারণে ইসলাম বিদ্বেষিদের বিশেষ আদর দিয়ে সামুতে দিনের পর দিন প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। সামুর তো জানা উচিত ছিল যে, এরা কালসাপের মত। ছোবল দিবেই।
তারই বহিঃপ্রকাশ দেখলাম কয়েকদিন আগে জনৈক জারজের নবী (সঃ)কে নিয়ে পোস্ট প্রদান। এটা ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পনা মাফিকই করা হয়েছিল। যাতে দ্বিমুখি আক্রমনে সামুকে বিপর্যস্ত করা যায়।
স্টিকি পোস্টে সুলেখক দুর্যোধন যতই শুধু জাশির উপর দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজের বুদ্ধি বিবেচনার উপর অবিচার করেছেন। নবীজি(সঃ) এর অপমানের প্রতিবাদে সাধারণ মুসলমান ব্লগাররা শুধু না বিবেকবান সব ব্লগারই প্রতিবাদ করেছিলেন।
তাই প্রতিবাদকারিদের ঢালাওভাবে জাশি বানিয়ে ফেলাটা তাদের অপমান করারি সামিল।
সামু থেকে বিতাড়িত বাকশালি চক্রের ইশারায় একজন পোস্ট দিয়েছে। আর বিক্ষুব্ধ সাধারণ ব্লগারদের ক্ষোভকে নিজেদের পাতে ঝোল টানার কাজটি করেছে জাশিরা।
ফলাফল, ইসলামের দোহাই দিয়ে জাশিরা যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নেয়া সামুর প্রতি প্রতিশোধ গ্রহন। আর অন্য ব্লগের বাকশাল পন্থিরা (যারা সামু থেকে একদা বিতাড়িত হয়েছিল) এই সুযোগে সামুকে ইসলামের ধুয়া তুলে সরকার কর্তৃক ধবংস করতে উদ্যোত।
সবচেয়ে জঘন্য কাজটি হয়েছে বোন জানা এবং তার স্বামি আরিলকে নিয়ে পর্ণের মত জঘন্য চিত্র দিয়ে পোস্ট দেয়া। যারা এই কাজটি করেছে, তারা বাংলাদেশের কেউ তো নয়ই এমনকি কোন মানুষের জাতও নয়।
আর এই প্রথমবারও কিন্ত এই কাজটি করা হয়নি।
চলবে...। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।